শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে রেখে প্রধানমন্ত্রীর আশায় পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণাতেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। গত ৩০ মে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ অলিউল্যাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ স¤্রাট। গেস্ট অব অনার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব দেওয়ান কাউসার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন ভিপি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফু রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন, অনুষ্ঠানের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, নীরা রাব্বানী, প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবীর, সমন্বয়কারী মাইনুল করিম টিপু, যুগ্ম সদস্য সচিব এম এ কাইয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, সাংবাদিক আনিসুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অ্যাসেম্বলিম্যান প্রার্থী হায়রাম মনসুরাতসহ মূলধারার কয়েকজন প্রার্থী বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছেন। এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। যে কারণে তিনি পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যে কারণে আমরা স্বাধীন। তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মূলধারার রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা কামনা করেন।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ। এজন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ এবং লাগাতার আন্দোলন। অনুষ্ঠানে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে কয়েক শত মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।
সভাপতি অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, আহবায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এবং সদস্য সচিব দেওয়ান কাউসার অনুষ্ঠান সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে চমৎকার আয়োজনের জন্য অনেকেই স্টেট বিএনপির কর্মকতাদের প্রশংসা করেছেন।