০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৩৬:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস পালিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস পালিত বক্তব্য রাখছেন সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান


আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওযামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত ১১ জুন মঙ্গলবার নবান্ন পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং প্রচারও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হামিদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দুরুদ মিয়া রনেল, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক নাফিকুর তুরান, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, সদস্য সাহানারা রহমান, সাহাদত হোসেন, মেহরাজ ফাহমি, যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রায়হান মাহমুদ, ছাত্রলীগ নেতা হায়দার মাহমুদ, সঞ্জিত হোসেন প্রমুখ।

ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তথাকথিত এক-এগারোর সরকার গভীর যড়ষন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছিলেন। কিন্ত তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আন্দোলন ও বিশ্বনেতাদের চাপে অবশেষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, সেনাসমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় (২০০৭ সালের ১৬ জুলাই) গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রেফতারের পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে তাকে আটক রাখা হয়। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি পান তিনি। কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এর পরই চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেওয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়।

শেয়ার করুন