০৬ জুলাই ২০১২, শনিবার, ১০:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন


তীব্র গরমে দেশজুড়ে ভয়াবহ লোডশেডিং
উপদেষ্টাদের পাপের আগুনে জ্বলছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাত
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৭-২০২৪
উপদেষ্টাদের পাপের আগুনে জ্বলছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে মানববন্ধন


এবার আর প্রবাসে থেকে মিডিয়ায় শুনে বা পড়ে বলছি না, ঈদের ছুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবং তিনদিন সীমান্ত শহর সাতক্ষীরায় অবস্থান করে দেখেছি, দেশজুড়ে দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা গড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। আষাঢ়ের তাল পাকা তীব্র গরমের অতিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বাংলাদেশিরা। সবাই জানে জ্বালানি সরবরাহ সংকটে অব্যাহতভাবে ১৩০০০-১৪০০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। সরকারের গ্রিড নন গ্রিড মিলে ৩০ হাজার মেগাওয়াটের অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, গলার ফাঁস হয়ে পড়েছে।

দেশের গ্যাস উৎপাদন ক্রমাগত কমছে, দুটি ভাসমান টার্মিনালের একটি ৩ জুন ঝড়ের সময় নৌবাহিনীর জলযানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমে গেছে। এমনিতেই ১০০০-১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি। এখন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। অতি উঁচু মার্কের উপদেষ্টাদের পাপের আগুনে জ্বলছে জ্বালানি বিদ্যুৎ খাত। এমতাবস্থায় দেশবাসীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু এটাতে উপদেষ্টাদের কোনো ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না, বিপাকে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারকে। এতে করে কখন যে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতের মাফিয়াদের মুখোশ খসে পরে কে জানে!

কি বিড়ম্বনা আমলা নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের এহেন পরিণতই বিষয়ে অনেকেই কিন্তু নিয়মিত পূর্বাভাস দিয়েছেন। টনক নড়েনি পলিসি মেকারদের। আমি যতটুকু গবেষণা করে দেখেছি, তাতে আগামী আগস্ট মাসের আগে উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখি না। শুনেছি, অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। দেশে হয়তো দিবানিদ্রায় জ্বালানি উপদেষ্টা মহোদয়। জানি না, সরকারপ্রধান বুঝতে পারছেন কি না দেশজুড়ে সরকারের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। 

সার কারখানাগুলোর অধিকাংশ বন্ধ আছে। শিল্পকারখানাগুলোতে উৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এহেন অবস্থায় তোড়জোড় চলছে জ্বালানি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির। সরকারের ভুল নীতি, অবাধ দুর্নীতির কেন খেসারত দেবে দেশবাসী?

শেয়ার করুন