শিকাগোতে আরব ও মুসলিমবিরোধী ঘৃণাজনিত অপরাধ ৭ অক্টোবরের পর প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার)। কেয়ার-শিকাগোর অপারেশনস ম্যানেজার ম্যাগি সøাভিন এক বিবৃতিতে বলেন, এ সংখ্যা বাড়তে থাকায় মুসলিম কমিউনিটিতে উদ্বেগ বাড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, কাজের স্থান, স্কুল এবং জনসমাগমস্থলসহ বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে এবং অনেকেই ফিলিস্তিনের সমর্থনে তাদের মতপ্রকাশের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছু পুলিশ বিভাগ সহযোগিতামূলক হলেও শহরে ঘৃণাজনিত অপরাধ বৃদ্ধির প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত এবং কিছু ক্ষেত্রে পুলিশকে বারবার তাগিদ দিতে হয়। ফেডারেল নজরদারি বাড়ছে এবং তিনি বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পরের সময়টির তুলনা করেন।
ম্যাগি স্লাভিন আরো বলেন, মুসলিম-আমেরিকান সম্প্রদায়কে কঠোরভাবে সেন্সরশিপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের সমর্থন প্রকাশের কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বা স্কুলে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহে শিকাগোর লিংকন স্কোয়ারে মুসলিম মালিকানাধীন মার্শাল আর্ট স্কুল রেডজোভিক জিউ জিতসুতে গুলির ঘটনা ঘটার পর কেয়ার-শিকাগো একটি ঘৃণাজনিত অপরাধ তদন্তের দাবি জানায়। শিকাগো পুলিশ বিভাগ প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে ঘৃণাজনিত অপরাধ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে অস্বীকার করে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার) জানিয়েছে যে, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে বিশেষ করে ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ শতাংশ ঘৃণাজনিত অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ অক্টোবরের পর সংস্থাটি প্রায় ৫ হাজার অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে মুসলিম ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক ঘটনাসহ ইলিনয়ে ৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনাও রয়েছে। অধিকাংশ অভিযোগ অভিবাসন ও আশ্রয়, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের বিষয় রয়েছে।