১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ০৫:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন


ফিলিস্তিনিসহ সারা বিশ্বের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা
যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতরের তিন সহস্রাধিক জামাত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতরের তিন সহস্রাধিক জামাত এস্টোরিয়ায় ঈদ জামাত


এক মাস সিয়াম সাধনার পর গত ৩০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ভাবগম্ভীর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিন হাজারের অধিক জামাতে মুসলমানেরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহও বন্ধ থাকায় মুসলিম আমেরিকান শিক্ষার্থীরাও স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ আনন্দে জড়িয়ে পড়েন। নতুন প্রজন্মের প্রতিানিধিরাও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সবকিছু মিলিয়ে ভিন্ন এক আমেজে এবার ঈদ উদযাপিত হচ্ছে বাংলাদেশি আমেরিকানদের ঘরে ঘরে। তবে অভিবাসনের মর্যাদা নেই এমন লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম। তবে ঈদ জামাতে উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি ছিল না। আবহাওয়া ভালো থাকায় অধিকাংশ মসজিদের পক্ষ থেকে খোলা আকাশের নিচে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। আবার ঠান্ডার কারণে মসজিদের ভিতরেই একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। এসব ঈদ জামাতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাও নামাজ আদায় করেন। এই ঈদ জামাতের ফিলিস্তিনি মুসলিমসহ সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। তবে লোকাল এবং আন্তর্জাতিক মুনসাইটিং নিয়ে ৩১ মার্চও কোনো কোনো মসজিদের উদ্যোগে ঈদ পালন করা হয়। এই সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে।

জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এর উদ্যোগে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর জ্যামাইকার টমাস এডিসন হাইস্কুল মাঠে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০-১২ হাজার নরনারী ঈদের জামাতে অংশ নেন বলে সংশ্লিষ্টরা দাফন করেন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মুনাজাতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে সমগ্র মুসলিম জাহান, তথা মানব জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয়। এই জামাতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদাসহ হাজার হাজার শিশু-কিশোর-কিশোরী, নর-নারী এবং বয়োবৃদ্ধরাও অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন জেএমসির ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ। ঈদের জামাতের আগে মূলধারার রাজনীতিক ও অফিসিয়ালদের মধ্যে স্টেট সিনেটর জন সি ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন ও আগামীর মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানী, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানী উইলিয়ামস, বাংলাদেশি-আমেরিকান জাজ সোমা সাঈদ, জেএমসির ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান ডা. নাজমুল এইচ আলম, সভাপতি ডা. মোহাম্মদ এম রহমান তুহিন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেএমসির সেক্রেটারি আফতাব মান্নান। সহযোগিতায় ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার।

দারুস সালাম মসজিদ

বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত জ‍্যামাইকা দারুস সালাম মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল মুকিত। দ্বিতীয় জামাত ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মাহমুদ, ৩য় জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ আশরাফ আহমেদ এবং চতুর্থ জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। প্রথম জামাত ছাড়া অন্য তিনটি জামাতে মহিলারা নামাজ আদায় করেন। প্রতিটি জামাতেই ফিলিস্তিনিসহ সারা বিশ্বের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

নিউইয়র্ক ঈদগাহ

মোহাম্মাদী সেন্টারের উদ্যাগে নিউইয়র্ক ঈদগাহর যে আয়োজন শুরু হয় ২০১১ সনের ঈদুল ফিতর উদযাপনের মাধ্যমে, তারই ধারাবাহিকতায় এবারেও ঈদুল ফিতরের নিয়মিত পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কের মিনি বাংলাদেশখ্যাত জ‍্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায়। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া প্রতি ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ৫টি জামাতেই মুসল্লির সংখ‍্যা ছিল সন্তোষজনক। বৃষ্টি না হলেও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে প্রথম দুই জামাতে মুসল্লির সংখ্যা অপ্রতুল থাকলেও শেষ জামাতগুলো ছিল ভরপুর। 

পাঁচজন ইমামের দু’জনই ছিলেন নতুন প্রজন্মের ইমাম। হাফেজ কারি মুসতানজিদ বিল্লাহ রাব্বানী ও হাফেজ মুসতাঈন বিল্লাহ রাব্বানী। মুসল্লিরা তাদের পেছনে নামাজ আদায় করতে পেরে ছিলেন দারুণ প্রফুল্ল। আরো যে তিনজন ইমাম ছিলেন তারা হলেন- শাইখ কারি আবুল খায়ের, শায়েখ মাওলানা হাফেজ আতীকুল্লাহ বদরপুরী ও শায়খ হাফেজ কারি আলম কাবাবিশী। মোহাম্মদী সেন্টার ও নিউইয়র্ক ঈদগাহর প্রতিষ্ঠাতা ইমাম কাজী কায়্যুম ছিলেন সার্বিক পরিচালনায়। ইমাম কাজী কায়্যূম সহযোগিতার জন‍্য তিনি স্থানীয় ব‍্যবসাপ্রতিষ্ঠান, জেবিবিএ, ইন্ডিয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও এনওয়াইপিডি-১১৫ প্রিসিংটকে ধন‍্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মুনা সেন্টার অব আমেরিকার উদ্যোগে ওজোনপার্কের ৮০-৫০ পিটকিন অ্যাভিনিউয়ে নিজস্ব ভবনে ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মওলানা আবু উবায়দা। ২ সহস্রাধিক নর-নারী এতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের আগে ব্রুকলিন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এরিক গাঞ্জালা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

ফুলতলী জামে মসজিদের উদ্যোগে স্থানীয় স্কুল ইয়ার্ডে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল আলীম।

আল ফোরকান জামে মসজিদের উদ্যোগে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ১ম জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া বককর এবং ২য় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান। 

ওজোনপার্কের সিটিলাইন ফরবেল স্টিটের ওপর মসজিদ আল আমানের উদ্যোগে দুদিনে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ মার্চ রোববার ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা রশিদ জামিল। ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ইমামতি করেন শায়েখ আহমদুল হক।

নিউইয়র্কের হাজিক্যাম্প মসজিদ হিসেবে পরিচিত জ্যামাইকার মসজিদ মিশন সেন্টারের উদ্যোগে মসজিদ ভবনে তিনটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে- সকাল ৭টা, ৮টা ও ৯টায়। এতে শত শত নর-নারী পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এস্টোরিয়ার আল আমীন জামে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে মসজিদ সংলগ্ন ৩৬ স্ট্রিটের ওপর খোলা রাস্তায় ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মাওলানা লুৎফফর রহমান চৌধুরী। ঈদ জামাতের আগে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন ও সেক্রেটারি আমীর হোসেন। এই জামাতেও শত শত নর-নারী জামাতে অংশ নেন।

এদিকে নিউজার্সি স্টেটের প্যাটারসন মসজিদ আল-ফেরদৌসের আয়োজনে স্থানীয় পাবলিক স্কুল-৫-এর পারকিং লটে খোলা মাঠে ঈদের বিশাল ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ মঞ্জলালী। ঈদ জামাতের আগে প্যাটারসন সিটি মেয়র এন্দ্রে সায়া ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম খান ও সাবেক সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলী প্রমুখ।

নর্থ ব্রঙ্কস জামে মসজিদ

গত ৩০ মার্চ নিউইয়র্কে নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার অ্যান্ড জামে মসজিদের উদ্যোগে খোলা মাঠে বিশাল ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯টায় ব্রঙ্কসের ওভাল পার্কের খোলা মাঠে এই ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এই ঈদ জামাতে অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়েখ আল্লামা মুহাম্মদ সাইফুল আজম বাবর আল আজহারী। তিনি ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

নামাজ শেষে মিলাদ ও মুসলিম বিশ্বসহ সমগ্র মানবতার কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন শায়েখ আল্লামা মুহাম্মদ সাইফুল আজম বাবর আল আজহারী।

নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদের উদ্যোগে খোলা মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের বিশাল দুটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের নিকটবর্তী খোলা মাঠে (পিএস ১০৬, ২১২০ সেন্ট রেমন্ডস অ্যাভিনিউ, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক ১০৪৬২)। রোববার সকাল ৮টা এবং সকাল ৯টায় এ জামায়াত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুল মুসল্লি এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া এবং দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন হাফিজ বদরুল আলম। ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং নামাজ শেষে মুসলিম বিশ্বসহ সমগ্র মানবতার কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।

মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদের পরিচালনায় জামাতের পূর্বে বক্তব্য রাখেন মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর, প্রধান উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম, ফান্ড রেইজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী, সংক্ষিপ্ত আর্থিক বিবরণ তুলে ধরেন কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, বক্তব্য রাখেন সহ-কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী।

আটলান্টিক সিটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত 

সুব্রত চৌধুরী : নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। গত ৩০ মার্চ আটলান্টিক সিটির বিভিন্ন মসজিদে প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সমবেত হন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও রংবেরঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে ঈদের জামাতে অংশ নেন। ঈদ জামাতে বিপুলসংখ্যক মহিলার অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনে এদিন সকাল থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমরা ঈদ আনন্দে শরিক হতে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল, এছাড়া অনুকূল আবহাওয়ায় এবারের ঈদ পেয়েছিল ভিন্ন এক মাত্রা। 

মসজিদ আল হেরা: আটলান্টিক সিটির ২৪২৬, আটলান্টিক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত বাংলাদেশি আমেরিকানদের অর্থায়নে নির্মিত ও তাদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মসজিদ আল হেরায় ঈদের জামাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমসহ অন্যান্য কমিউনিটির মুসলিমরাও অংশ নেয়। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম মহিলাও ঈদের জামাতে অংশ নেয়। ঈদের নামাজ আদায় শেষে খুতবা প্রদান করা হয়, দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সুখ-সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। এখানে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মসজিদ আল হেরার খতিব, মুহাদ্দিস আজিম উদ্দিন। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে খাবার, ডোনাট, জুস বিতরণ করা হয়।

ইসলামিক সেন্টার অব আটলান্টিক: সিটি বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আটলান্টিক সিটির ১৬, উত্তর ফ্লোরিডা অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত বাংলাদেশি আমেরিকানদের অর্থায়নে নির্মিত ও তাদের দ্বারা পরিচালিত ইসলামিক সেন্টার অব আটলান্টিক সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের অন্যতম বৃহত্তম জামাত। এখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। পুরুষদের পাশাপাশি নামাজের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা থাকায় বিপুলসংখ্যক মহিলাও এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি ইকবাল হোসেনের মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার পর ঈদের নামাজের জামাত শুরু হয়। ঈদ জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ তাসদীদ। ঈদের নামাজ শেষে শিশু-কিশোরদের মধ্যে মিষ্টি, ডোনাট, আইসক্রিম, জুস, খেলনা বিতরণ করা হয়।

মসজিদ আল তাকওয়া: আটলান্টিক সিটির ৩৫৩৬-৩৮ আটলান্টিক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল-তাকওয়ার উদ্যোগে ১০০৮, এবসিকন বুলেভার্ডের আরমরি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের অন্যতম বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় এখানে ঈদের নামাজ শুরু হয়। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন সাঈদ আবুজাহরা। বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। 

এছাড়াও নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার আল আরাফাহ ইসলামিক সেন্টার ও আমেরিকা মুসলিম সেন্টার, ম্যানহাটনের মদিনা মসজিদ, ব্রুকলিনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার ও বায়তুল জান্নাহ জামে মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টার, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদ, আর রহমান মসজিদ, ওয়াশিংটন ডিসিসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি, কানেকটিকাট, মেরিল্যান্ড, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া, ওহাইও, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, অ্যারিজোনা প্রভৃতি স্টেটে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন