যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট গত ২৭ মে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলার ৫ লাখেরও বেশি অভিবাসীর জন্য মানবিক প্যারোল সুরক্ষা বাতিল করার অনুমতি দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত নিম্ন আদালতের একটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়, যা এতদিন অভিবাসীদের অস্থায়ী আইনি সুরক্ষা বজায় রাখছিল। এর আগে আরেকটি মামলায় আদালত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভেনেজুয়েলান অভিবাসীর সাময়িক বৈধ মর্যাদা বাতিলের ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল। সব মিলিয়ে এখন প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে জোরপূর্বক বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশটি ছিল সংক্ষিপ্ত এবং এতে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি, যা জরুরি শুনানির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে দেখা যায়। তবে বিচারপতি কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন এবং সোনিয়া সোটোমেয়র এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি জ্যাকসন তার ভিন্নমতে লিখেন, এ আদেশ কার্যকরভাবে ৫ লাখ অভিবাসীর জীবন ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে, যদিও তাদের আইনি দাবি এখনো আদালতে বিচারাধীন।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানবিক প্যারোল মূলত একটি সাময়িক সুরক্ষা ব্যবস্থা, যা যে কোনো সময় বাতিলের অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের রয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ দাবি করে, আদালতের হস্তক্ষেপ এই প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় নয়। তবে ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল বিচারক ইন্দিরা তালওয়ানি গত এপ্রিল মাসে এক আদেশে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই প্যারোল সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হলে, অভিবাসীরা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বেন-তাদের হয় দেশ ছেড়ে যেতে হবে, নয়তো সবকিছু হারানোর ঝুঁকি নিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জরুরি আবেদন করে এবং শেষ পর্যন্ত আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি আপাতত বহাল
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাতিল করে দেওয়া একটি নিম্ন আদালতের রায় সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস জানায়, চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। এর ফলে ট্রাম্পের ঘোষিত বেশির ভাগ শুল্ক আপাতত বহাল থাকছে।
এর আগে ইউএস কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড-এর তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বিচারক প্যানেল ট্রাম্প প্রশাসনের ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্কগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে তা স্থায়ীভাবে বাতিল করে। আদালত রায়ে বলে, ১৯৭০-এর দশকের ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার অ্যাক্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের শুল্কারোপের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ এবং এককভাবে অসীম ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ নেই।
উল্লেখযোগ্যভাবে বিচারক প্যানেলে একজন ট্রাম্প-নিযুক্ত বিচারকও ছিলেন। প্যানেল সর্বসম্মতভাবে রায় দিয়ে ট্রাম্পের শুল্ক বাতিল করে এবং ভবিষ্যতে ওই শুল্কে পরিবর্তন আনারও সুযোগ নিষিদ্ধ করে দেয়। পাশাপাশি প্রশাসনকে ১০ দিনের মধ্যে রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, এই রায় যদি বহাল থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্সির ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি আমাদের সার্বভৌমতার ওপর সবচেয়ে কঠিন আর্থিক আঘাত। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সব দেশ এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া।
এই রায় ও তার স্থগিতাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি ও প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। আপিল আদালতের এই সাময়িক রায় ট্রাম্প প্রশাসনকে কিছুটা সময় দিলেও, চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত অনিশ্চয়তা রয়ে যাচ্ছে। মামলাটি এখন আরো উচ্চতর পর্যায়ে, সম্ভবত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেক্সাসে অবৈধ অভিবাসন রোধে আইসের সঙ্গে শেরিফদের সহযোগিতা বাধ্যতামূলক
টেক্সাসের আইনসভা গত ১ জুন স্টেটের শেরিফদের যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস )-এর সঙ্গে সহযোগিতা বাধ্যতামূলক করে নতুন একটি বিতর্কিত বিল পাস করেছে। গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ইতিমধ্যেই বিলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং এই বিল এখন স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। সিনেট বিল ৮ (এসবি ৮) নামের এই আইনটি প্রস্তাব করছে যে, স্টেটের অধিকাংশ কাউন্টিতে শেরিফদের আইসের সঙ্গে ২৮৭ (জি ) নামে পরিচিত ফেডারেল চুক্তিতে প্রবেশ করতে হবে। এই চুক্তি স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারীদের সীমিত অভিবাসন কর্তৃত্ব প্রদান করে। বর্তমানে টেক্সাসে ৭৩টি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইতোমধ্যে এই ধরনের চুক্তিতে রয়েছে। বিলটি সিনেটে ২০-১১ এবং হাউসে ৮৯-৫২ ভোটে পাস হয়। বিলটি যারা সমর্থন করেছেন, তারা বলেছেন এটি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। হাউসে বিলটির নেতৃত্ব দেন রিপাবলিকান ডেভিড স্পিলার, যিনি বলেন, এটি কেবল সীমান্ত সুরক্ষা নয়, বরং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা বিলটির কড়া সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এটি অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে, বর্ণবৈষম্য বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
টেক্সাস স্টেট সেনেটর রোলান্ড গুটিয়েরেজ, যিনি একজন অভিবাসন আইনজীবীও, আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে এই আইন বর্ণবৈষম্যমূলক চেকপয়েন্ট এবং পুলিশি হয়রানি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, যেসব মানুষ দেখতে হিসপ্যানিক বা মেক্সিকানদের মতো, তাদের শুধু গায়ের রঙের জন্যই থামানো হতে পারে। তবে বিলটির সহ-লেখক সেনেটর চার্লস শোয়ার্টনার বলেন, মানুষ অভিবাসন বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তারা চেয়েছে আমরা এ বিষয়ে কিছু করি এবং এই বিল তারই ফল। বিলের চূড়ান্ত সংস্করণে একটি অনুদান কর্মসূচি যোগ করা হয়েছে, যা স্থানীয় সরকারের বাড়তি খরচের অংশ পূরণে সহায়তা করবে। নতুন এই আইন পাস হলে এটি টেক্সাসের অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হবে, এবং এটি ফেডারেল সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক ও দায়িত্ব নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ফ্লোরিডায় নির্মাণস্থলে আইসের অভিযান শতাধিক অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার
ফ্লোরিডার টালাহ্যাসিতে একটি নির্মাণস্থলে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৯ মে অনুষ্ঠিত এই অভিযানে অংশ নেয় একাধিক ফেডারেল ও স্টেট সংস্থা। অভিযানে নেতৃত্ব দেয় আইসের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস টালাহ্যাসি ইউনিট এবং সহায়তা করে আইস-এর এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রিমুভাল অপারেশনস, ফ্লোরিডা হাইওয়ে প্যাট্রোল, এফবিআই, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস, ইউএস মার্শালস সার্ভিস, ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব ল এনফোর্সমেন্ট এবং আইআরএস-এর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা নিকারাগুয়া, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া এবং হন্ডুরাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসী। অভিযানের সময় এক ব্যক্তি পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করলে তাকে রাজ্য হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে চারটি হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। অপর একজন অস্ত্র বের করার চেষ্টা করেছিল বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আইসের এইচএসআই টালাহ্যাসির সহকারী বিশেষ এজেন্ট নিকোলাস ইনজেনো বলেন, এই ধরনের অভিযানের লক্ষ্য হলো অবৈধ নিয়োগ বন্ধ করা, নিয়োগকারীদের দায়বদ্ধতার আওতায় আনা এবং বৈধ কর্মীদের চাকরি সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমরা ভবিষ্যতেও স্থানীয়, রাজ্য ও ফেডারেল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান চালিয়ে যাব। আইস কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, যেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ফেডারেল আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে তাদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে অনিশ্চয়তায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা
যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ভিসা ইন্টারভিউ স্থগিত করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এই স্থগিতাদেশ আসন্ন শরত সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বৈশ্বিক প্রতিভা আকর্ষণের ক্ষমতাও এই সিদ্ধান্তে দুর্বল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক কূটনৈতিক বার্তায় জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোকে নতুন করে এফএম ও জে ক্যাটাগরির ছাত্র ও এক্সচেঞ্জ ভিসার সাক্ষাৎকার গ্রহণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতীত ও মুছে ফেলা পোস্ট পর্যালোচনা করে তা সংরক্ষণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, আমরা ভিসা যাচাই ও পর্যালোচনার জন্য সবধরনের উপলব্ধ তথ্য ব্যবহার করি। আমাদের লক্ষ্য, এমন কেউ যেন ভিসা না পান, যারা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনসুরক্ষার জন্য হুমকি।
এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বড় উদ্যোগের অংশ, যার আওতায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘বিদেশি প্রভাব’ এবং ‘বিরোধী কার্যকলাপ’ ঠেকাতে চায়। তবে সমালোচকদের মতে, এটি রাজনৈতিক মত প্রকাশ দমন এবং শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা হরণ করার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় একটি তুর্কি ফুলব্রাইট স্কলারকে আটক করা হয়েছিল, যিনি ইসরায়েল বয়কটের পক্ষে একটি প্রবন্ধে সহ-স্বাক্ষর দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আদালত তার মুক্তির নির্দেশ দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মে মাসে ভিসা আবেদন অপেক্ষাকৃত কম থাকলেও জুন বা জুলাইতে এই স্থগিতাদেশ চালু থাকলে তা কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গড়ে এক মিলিয়নের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন, যারা প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে অবদান রাখেন এবং ৩ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি চাকরি সমর্থন করেন।
বিশেষ করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসা খাতে এদের অবদান উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালের জাতীয় বিজ্ঞান বোর্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত খাতে কর্মরত ১৯ ভাগ পেশাজীবী এবং ৪৩ ভাগ ডক্টরাল স্তরের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী বিদেশে জন্মগ্রহণকারী। এছাড়াও বহু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এমন ১৪৩টি স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সাবেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, যারা গড়ে প্রতি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৬০টি চাকরি তৈরি করেছেন। আন্তর্জাতিক প্রতিভা আকর্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কৌশলগত শক্তি। এই শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করেই যেসব নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে, তা শুধু আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে না, বরং অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত নেতৃত্বকেও দুর্বল করছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কী করবেন : নিজ নিজ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপডেট দেখুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, যারা দেরিতে আসার চিঠি, ডিফারাল সুযোগ এবং অন্যান্য সহায়তা দিতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতন থাকুন; আপনার পোস্ট ভিসা পর্যালোচনায় প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দূতাবাসের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ করুন। এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে এবং এর প্রভাব পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার দরজা বন্ধ করে দেয়, তবে আগামী প্রজন্মের উদ্ভাবক, চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশ হয়তো অন্য দেশ বেছে নেবে।