৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন


কেফিয়েহ পরায় গ্র্যাজুয়েশন থেকে মুসলিম শিক্ষার্থীকে বাদ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৬-২০২৫
কেফিয়েহ পরায় গ্র্যাজুয়েশন থেকে মুসলিম শিক্ষার্থীকে বাদ ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যবাহী পট্টি কেফিয়েহ


পেনসিলভানিয়ার মন্টগোমারি কাউন্টিতে অবস্থিত লোয়ার মারিয়ন হাই স্কুলে এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে কেবল ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যবাহী পট্টি-কেফিয়েহ পরার কারণে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণভাবে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী এভান জানান, ১৩ জুন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি কেফিয়েহ ডিজাইনের হেডস্কার্ফ পরে উপস্থিত হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তা ‘রাজনৈতিক বার্তা’ বলে উল্লেখ করে। এভান তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেন-অনুষ্ঠান শুরুর আগে তাকে একপাশে ডেকে কেফিয়েহ খুলে ফেলতে বলা হয়। কারণ এটি ‘বাধা সৃষ্টি করতে পারে’ বলে কর্মকর্তারা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে কেফিয়েহ খুলে ফেলার পরই তাকে অনুষ্ঠানের বাকি অংশে অংশ নিতে দেওয়া হয়।

লোয়ার মারিয়ন স্কুল ডিস্ট্রিক্ট মিডিয়াকে জানায়, সমাবর্তনের কয়েক সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের ও তাদের পরিবারকে একটি দিকনির্দেশনা পাঠানো হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, এমন কোনো পোশাক পরা যাবে না যা রাজনৈতিক বার্তা বহন করে বা অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, আমেরিকার মুসলিম নাগরিক অধিকার সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার) ফিলাডেলফিয়া শাখা। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, শিক্ষার্থীর কেফিয়েহ পরা নিষিদ্ধ করা শিক্ষার পরিবেশে মুক্ত মতপ্রকাশের অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বর্ণবৈষম্যমূলক ও রাজনৈতিক প্রোফাইলিংয়ের উদ্বেগজনক উদাহরণ। স্কুল ডিস্ট্রিক্ট জানিয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী পোশাক নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কিছু পরিধান করেছিল, তাদের দুটি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। অন্যায্য পোশাক সরিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অথবা না সরিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শিক্ষার্থী ও নাগরিক অধিকারকর্মীদের মতে, একজন ছাত্রের ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রকাশ করার অধিকার কখনোই রাজনৈতিক বিবেচনায় খর্ব করা উচিত নয়। বিষয়টি এখন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

শেয়ার করুন