২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


তারেক রহমানও সিট ভাগাভাগির বিরুদ্ধে
সিট ভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান বিএনপির
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২২
সিট ভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান বিএনপির


আগে থেকেই সিট ভাগাভাগির ফয়সালা করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠেছে। তারা যে কোনোভাবেই দলের ভেতরে এমন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার বিরুদ্ধে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছে এধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধের। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে তারা এধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান দেখাচ্ছে দলটি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে রটে গেছে যে, দলের একটি অংশ বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে সরকারের সাথে দফারফা করছে। তারা চাচ্ছে একটি সিট ভাগাভাগির নির্বাচন। বলা হচ্ছে এমন দফারফায় বিএনপিকে সত্তর থেকে আশিটা আসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করা গেছে। এনিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নানান ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। যা নিয়ে দলের ভেতরে বাইরে মারাত্মক সন্দেহের আবহ তৈরি হয়েছে। 

সন্দেহ যে কারণে দানা বাঁধছে

জানা গেছে, বিএনপির একটি অংশ জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে দলের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে যে সরকারের সাথে দফরফা করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে হবে। তাদের মতে,এ সরকারের আন্তর্জাতিক লবি খুবই শক্ত। এর পাশাপাশি দেশে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে দেশের ভেতরেও একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে ফেলেছ। অন্যদিকে বিএনপির সাথে আন্তর্জাতিক শক্তি বিশেষ করে এসময়ের গেম প্লেয়ার রাষ্ট্রগুলির সম্পর্ক তেমন সুখকর নয়। জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর মতো মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশসহ আমেরিকা এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলিও বিএনপিকে সমর্থন দিতে ভরসা পাচ্ছে না। অন্যদিকে দেশের ভেতরে এখনো কোনোভাবেই নিজ শরিক এবং এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে তাদের সাথে যারা জোট করতে আগ্রহী তাদেরকে জামায়াতের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানও পরিষ্কার করছে না। এর পাশাপাশি আগের শরিক দল এবং নতুন করে বাম প্রগতিশীলদের একটি অংশ যারা বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ হতে চাইছে তাদেরও জামায়াতের ব্যাপারে খোলাসা করে কিছু বলছে না। তাছাড়া ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসংক্রান্ত কার্যক্রম চালু থাকবে কি-না এ পাশাপাশি জামায়াতসহ এই ঘরানার দলের সাথে সম্পর্ক রাখবে কি-না সেব্যাপারেও খোলামেলা কথা বলছেন না বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে। আর একারণে দেশে আওয়ামী লীগের সাথে শরিক বাম প্রগতিশীলদের বাইরে বিরাট একটি অংশ বিএনপির সাথে শেষমেশ ঐক্য করতে রাজি হয়নি। এমনকি তারা যুগপৎ আন্দোলনেও ভরসা পাচ্ছে না।  জানা গেছে, সিপিবি বাসদ ছাড়াও বাম মোর্চাভুক্ত বাকিদলগুলি বিএনপিকে এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না যে তারা(বিএনপি) জামায়াতের সাথে সর্ম্পকচ্ছেদ করবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির বিদেশিদের কাছে এখনো তাদের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ইমেজ বা অবস্থানটি তুলে ধরতে পারেনি। তবে এর এর বিপরীতে এসব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অবস্থান বেশে পরিষ্কার বিধায় তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, এর পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশেরও নেক নজর পাচ্ছে। আর একারণে এমন পরিস্থিতির সুযোগে বিএনপির একটি অংশ সমঝোতার নির্বাচনে তদবির করে যাাচ্ছে। তারাই প্রচার চালাচ্ছে যে এবারেও সমঝোতার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিক। আপাতত প্রধান বিরোধীদল হয়েই থাকুক।

খালেদা জিয়ার কানেও গেছে সমঝোতার খবর

এদিকে বিএনপিতে একটি অংশ যে সরকারের সাথে দেনদরবার করছে সে ব্যাপারটি খালেদা জিয়ার কানে গেছে। একারণে এবারে ঈদের দিন ১০ জুলাই রোববার রাতে স্থায়ী কমিটির সাথে সাক্ষাতে তিনি সিট ভাগাভাগির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। ঈদের দিন সোয়া ৮টায় গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান নেতারা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বললেন, সরকারের উসকানিতে পা দিয়ে কোনোভাবেই দলের শক্তি ক্ষয় করা যাবে না। বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে ধীরে সুস্থে কর্মসূচি দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। এর আগেও খালেদা জিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেন। এবছর ঈদুল ফিতরের দিনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দেখা করতে গেলে তিনি সরকারের সাথে কোনো সমঝোতা হবে নাএবং তাদের না যেতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেছিলেন কোনো ধরনের আপস করবেনও না। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক ধৈর্য ধরেছে। অনেক কিছু হারিয়েছে। তাই তাদের (সরকার) সাথে কোনো সমঝোতা হবে না। সমঝোতায় গেলে বিএনপি ধবংস হয়ে যাবে। দেশবাসী আমাদের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করবে।খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি সরকারের সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ধরনের সমঝোতা করে সিট ভাগাভাগির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেন। এর পাশাপাশি দলের ঐক্য ধরে রাখতেও তিনি দায়িত্বশীলর ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে দলের সিনিয়র নেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।

সন্দেহ গয়েশ্বরের কণ্ঠেও

এদিকে সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যেও আবারো সন্দেহ দেখা গেছে।  বিএনপিতে কোনো দালালের জায়গা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্বার্থে বিএনপি করতে হবে। যাঁরা নিজের স্বার্থে বিএনপি করতে চান তাঁরা ঘরে বসে থাকুন। এর আগে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আ.লীগের অধীনে নির্বাচনের ফাঁদেপা না দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়-এ সিদ্ধান্তের প্রতি দেশের সব রাজনৈতিক দলকে অটল থাকার আহ্বান জানান।  তবে তিনি তার বক্তব্যে বলেননি কোন দল?  গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন দৃঢ়তার সাথে যে, আমরা যদি অতীতের মতো নির্বাচনের ফাঁদে পা না দিই, আমরা যে কথা বলেছি, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয়-এ সিদ্ধান্তে যদি শেষদিন পর্যন্ত থাকতে পারি, তাহলে শেখ হাসিনা সরকার নেই। তার নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই নেই নেই...। আবার গত শনিবার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, এই সরকার বিদেশিদের নিয়ে আবার ভাগবাটোয়ারা করতে চায় এবং তা আগেভাগেই করতে চায়। কিন্তু সময়মতো ভাগবাটোয়ারা দেবে, অতীত তা বলে না। তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতি করে গণতন্ত্রের জন্য, ভাগবাটোয়ারার জন্য নয়। 

দেশকে ফজলুল হক মিলন 

এব্যাপারে বিএনপির গাজীপুর জেলা সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলনের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, বিএনপির মাঠে আন্দোলন লোক দেখানো। গোপনে সরকারের সাথে সিট ভাগাভাগিতে ব্যস্ত। এর পাশাপাশি দলটি সামনে একটি বিরোধীদল হিসেবে সরকারের সাথে দরকষাকষি করছে? এটা কি সত্য? বিএনপি নেতা এ কে এম ফজলুল হক মিলন দেশ পত্রিকাকে বলেন,এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই না। বহু বড় বড় নেতা বিভিন্ন সময়ে দালালি করেছে, বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। কেন নেতা বা ব্যক্তি চক্রান্ত হালে পানি পায়নি। আমাদের ম্যাডাম খালেদা জিয়া যা বলেছেন তা-ই হবে। তিনি বলেছেন কোনো সিট ভাগাভাগি না, সরকারের পতন চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। অন্যদিকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এটা বলেছেন। কারণ কোনো ধরনের সিট ভাগাভাগি করার মতো দল বিএনপি না।

ফজলুল হক মিলন আরো বলেন,জনগণের সমর্থন নিয়ে এককভাবে দল চালানোর মতো যোগ্য এদলের রয়েছে। দরকার শুধু একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই কেউ যদি মনে করে বিএনপি সিট ভাগাভাগির নির্বাচনের আশায় বসে আছে তা আসলেই পাগলের প্রলাপ আর পাগলামি ছাড়া কিছুই না। এসমস্ত যড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপিকে কখনো দুর্বল করতে পারেনি। অতীতে পারেনি,ভবিষ্যতেও পারবে না। বহু অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে আমাদের নেত্রীর ওপর। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানর ওপর। হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীদের ওপরও অকথ্য নির্যাতন। তৃণমূল থেকে সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের পাশে ছিল। আমরা জেল খেটেছি। নিষ্পেষিত হয়েছি। আমাদের ওপর এবং এর পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। কোনোভাবেই কিন্তু সে চক্রান্ত সফল হয়নি। অতএব এব্যাপারে এখন কেউ দুঃশাসন দেখাবে না, দেখিয়ে লাভ নেই।

তাছাড়া যেদিন থেকে দল প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেদিন থেকেই চক্রান্ত হয়েছে। কোনো লাভ হয়নি। এখানে সরকার উৎখাতের আন্দোলন চলছে। এবং সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। সরকারের ক্ষমতার মসনদ কম্পমান। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি ভাগাভাগি করে ক্ষমতার শেয়ার নিতে চাইবো? এই দুর্নীতিবাজ অবৈধ্য সরকারের সাথে আঁতাত করে? এটা স্রেফ স্ট্যান্টবাজি। এটা কেউ করে থাকলে দলে ভেতরে বাইরে তার কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। নেতাকর্মীদের সাথে এধরনের ঘটনা কোনো ধোপেই টিকবে না। 

জানতে চাওয়া হয় সম্প্রতি কি খালেদা জিয়ার সাথে এব্যাপারে আপনাদের কথা হয়েছে? এব্যাপারে ফজলুল হত মিলন বলেন, উনার সাথে সম্প্রতি তো আমার কথা হয়নি। কিন্তু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনা করেই এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেনএবং সকলের সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হচ্ছেন তারেক রহমান। নিশ্চয়ই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের চেয়ারপারসন এবং দলেল নীতিনির্ধারকমহল হাইকমান্ডের  সাথে আলাপ-আলোচনা করেই এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। অতএব এব্যাপারে কোনো ফাঁকফোকরও নেই, সন্দেহের অবকাশও নেই। কোনো সুযোগও নেই। 

আপনারা সরকারের সাথে সিট ভাগাভাগিতে যাচ্ছেন না এবং এর পাশাপাশি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে চাচ্ছেন-এতে কি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা একমত? ঐক্যবদ্ধ? এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলন বলেন,শতভাগ ঐক্যবদ্ধ, হান্ড্রেড পার্সেন্ট ঐক্যবদ্ধ।


শেয়ার করুন