০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর শোক দিবস পালন
জাতীয় শোক দিবসে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২২
জাতীয় শোক  দিবসে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নূরুল আমিন বাবু


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। এই সংগঠনের সকল মতাদর্শের মানুষ রয়েছে। রয়েছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা, যারা বিএনপি করেন তারা, যারা জাতীয় পার্টি করেন তারাসহ অন্যান্য দলের সমর্থকরা। এখানে মতের অমিল থাকতে পারে কিন্তু সাংগঠনিক স্বার্থে সবাই এক এবং অভিন্ন। যে কারণে তাদের পক্ষেই অসম্ভবে সম্ভব করা। হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সেøাগানই আমরা হিংসা রাজনীতি চাই না, সম্প্রীতির রাজনীতি চাই। আমরা ধ্বংসের রাজনীতি চাই না, গড়ার রাজনীতি চাই, আমরা বিদ্বেষের রাজনীতি চাই না সৌহার্দ্যরে সম্প্রীতির রাজনীতি চাই, প্রতিশোধের রাজনীতি চাই না, ভ্রাতৃত্বের রাজনীতি চাই, বিভক্তির রাজনীতি নয়, মৈত্রীর রাজনীতি চাই। আমরা মিলেমিশে একটি দেশকেই উপস্থাপন করতে চাই। আর সেই দেশটি হলো আমাদের প্রিয় জন্মভ‚মি বাংলাদেশ।

জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী অন্যান্য বছরের মতো এবারো মিলিমিশে একই আমব্রেলার নিচে এসে পালন করলো জাতীয় শোক দিবস। তবে অন্যান্য বছরের তুলানায় এবারের আয়োজনটি ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার আয়োজিন করা হয় অনেক বড় আকারে। স্থাপন করা হয় বিশাল আকারের স্ক্রিন বোর্ড। যার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিব ভাষণটি প্রচার করা হয়। দেশি-বিদেশিরা একনজরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখেছেন। কেউবা শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছে।

একযুগেরও বেশি সময় ধরে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের পাশাপাশা তারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী এবং সবশেষ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীও পালন শুরু করেছে। এদের অনুষ্ঠানের বিউটি হচ্ছে যখন শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়, তখন আওয়ামী লীগের সমর্থক সামনের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়, অন্যরা সহযোগিতা করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর সময় বিএনপি সমর্থকদের নেতৃত্বে রাখা হয় এবং এরশাদের সময় জাতীয় পার্টির সমর্থকদের নেতৃত্বে রাখা হয়।

আহŸায়ক এবং এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর নিজামুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সোহেল গাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সভাপতি শাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম নমি, চেয়ারপারসন মামুন মিয়াজি, বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসিফ বারী টুটুল। সহযোগিতায় ছিলেন মোহাম্মদ মানিক বাবু, এম রহমান, কবির চৌধুরী জসী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সংগঠনিক সম্পাদক আফতাব জনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বিপ্লব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর খান আলম, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতি খান টিপু। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এম আজিজ, হারুণ ভুইয়া, ফাহাদ সোলায়মান, দেবাশীষ দাস বাবলু, নূরুল আমিন বাবু। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন মইনুল ইসলাম, আসেফি বারী টুটুল, শাহ জে চৌধুরী,লিটু চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানকে সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মীর নিজামুল হক, শাকিল মিয়া এবং মোহাম্মদ আলম নমি।

অনুষ্ঠানটি বিকেলে শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণনান, জেসিকা গঞ্জালেস।

দোয়া পরিচালনা করেন কাজী কাইয়্যুম। এরপর থেকেই বিতরণ করা হয় খাবার। হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করেন। উল্লেখ্য, অন্যবারের তুলনায় এবারের আয়োজনটি ছিলো বৃহৎ এবং বিশাল। বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা খাবার বিতরণ করা হয়।


শেয়ার করুন