২০১৪ সন থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছে আফগানিস্তান। ছোট একটা পরিসংখ্যানই বলে দেবে দুই দলের শক্তিমত্বার পার্থক্য। আটটি ম্যাচ খেলেছে একে অপরের বিরুদ্ধে। এতে আফগানিস্তান জিতেছে পাচটি বাকী তিন ম্যাচে বাংলাদেশ। আফগানরা প্রতিটা ম্যাচ জিতেছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। বাংলাদেশের জয়গুলো হোমে।
বাংলাদেশ এখন টি-২০ ক্যানো যে কোনো ফরম্যাটেই আফগানিস্তানকে মনে করে অস্ট্রেলিয়া। এ যেন এক পাহাড় সাকিবদের সামনে। এতটা নার্ভাস বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধেও থাকে না। যে নার্ভাস তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। আসলেই আফগানদের পাওয়ার ক্রিকেট ভয়ের কারন বাংলাদেশের। শুধু আফগানিস্তান কেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার ব্যাটিংটা করতেই জানে না। বাংলাদেশে অমন কোনো ট্রেনিংই নেই যেখানে পাওয়ার ক্রিকেটের প্রাকটিসটা হয়। দুই দলের পার্থক্যটা এখানেই। এশিয়া কাপের এ ম্যাচে টসে জিতে টেনশনমুক্ত ব্যাটিং করতে প্রথমই বেছে নেয় ব্যাটিং, বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
কিন্তু ওই যে আফগান বোলারদের বুদ্ধিমত্বার বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১২৭ করেছে বাংলাদেশ। টি-২০ ক্রিকেটে এখন ২০০ রানও সেভ না। সেখানে ১২৭ দিয়ে কী হবে? ব্যাট হাতে এতটা ব্যার্থ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এটা কল্পনা করা যায়নি। মোসাদ্দেকের ৩১ বলে করা ৪৮ ছাড়া আর কোনো ইনিংস কাউন্ট করার মত নয়। আসলে আফগান বোলারদের প্লানের কাছে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। বিশেষ করে মুজিব, রশীদ খানরা জানেন, কিভাবে কী করতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। দুই বোলারই নেন ৩টি করে উইকেট।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে একটু দেখেশুনেই খেলছিল আফগানরা। কিন্তু শেষ ৬ ওভারে ফিরে আসে তারা আপন মার্কে। একের পর এক চার ছক্কা হাকিয়ে মুহুর্তেই পরিস্থিতি বদলে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় অনায়াসেই। আফগানরা যে বাংলাদেশের বোলারদের উপর যথেষ্ট আস্থা আছে সেটাই তারা প্রমান করেছে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫.৩ ওভারে দুই ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জারদান ও ইব্রাহিম জারদান মিলে সংগ্রহ করেন ৬৯ রান। কতটা অ্যাটাকিং ব্যাটিং করেছেন তারা সেটা এ পরিসংখ্যান প্রমানে সহায়তা দেবে। দু’জনই রান করেন যথাক্রমে ৪৩ ও ৪২। ফলে ৯ বল হাতে রেখে সাত উইকেটে জিতেছে তারা ম্যাচ। এতে করে প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হলো আফগানিস্তানের। বাংলাদেশ পরের ম্যাচে খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সে ম্যাচের বিজয়ী খেলবে সুপারফোরে। ফলে ওই দুই দলের জন্যই সে ম্যাচ ফাইনাল তুল্য ডু অর ডাই।