২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৫৫:০০ অপরাহ্ন


সম্ভব্য নতুন স্যাংশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
সম্ভব্য নতুন স্যাংশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ বাংলাদেশের গার্মেন্টসে কর্মরত নারী শ্রমিকরা/ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশের উপর নতুন করে স্যাংশন আরোপিত হতে পারে- এ দুশ্চিন্তায় অর্থনৈতিক সেক্টরে শঙ্কা। হয়তো কিছু হবে না। আবার হতেও পারে। দোদুল্যমান এমন পরিস্থিতি কুড়ে খাচ্ছে। অর্থনীতি তছনছ হবার উপক্রম, ব্যবসায়ী মহল উদ্বিগ্ন। আলোচনায় যে বিষয় নিয়ে সরগরম, সেটা মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে আসতে পারে স্যাংশন। সেটা কী, ক্লিয়ার হওয়া না গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা ওই জাতীয় কোনো বিধি নিষেধ আরোপ। হতে পারে ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের উপর বা সামষ্টিগতভাবেও। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা আন্তর্জাতিক ট্রেড এর সঙ্গে জড়িত, উদ্বিগ্ন তারাই বেশি। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে যে সকল ব্যবসা আন্তর্জাতিক ট্রেড এর সঙ্গে উপর নির্ভরশীল তারা এ সম্ভাবনায় ভীত। 

এমনিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনার অভিঘাতের পর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হিমশিম খেয়েছে। এরপরও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি নির্ভর করে রেমিটেন্স, গার্মেন্টস সেক্টরের অর্জিত ডলার থেকে। সবদিক সামাল দিয়ে বেশ ভালই এগিয়ে যাচ্ছিল। এরপর দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক ঢামাঢোলে আবার পেছাতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমাজোট যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে চাইছে, তার পূর্বশর্ত হিসেবে চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন। যা হবে আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু সে কথায় অনেকটা গা নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। ‘আমার দেশ আমার গণতন্ত্র, আমার ভোট আমি দেব, আমার সংবিধান মোতাবেক’ এ নীতিতে চলছেন ক্ষমতাসীনরা। নীতিটা দুর্দান্ত। এর সঠিক বাস্তবায়নে রাজ্যের ফারাক রয়েছে বলে জানান দিচ্ছে পশ্চিমারা। সমস্যার মূল সেখানে। এ নিয়ে দুই পক্ষে টানাপড়েন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের মিত্রদের পরামর্শ বা প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ না দেয়ায় কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ তারা। বিষয়টা এমন পর্যায় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্রদের প্রেস্টিজ ইস্যুতে দাঁড়িয়ে যাওয়ার। সম্ভাব্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগত বা সামষ্টিগত স্যাংশন বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা এ ধরনের কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাওয়ার মূলে এ দ্বিমত ও সংশ্লিষ্ট কারণগুলোতে। 

দেশের বিভিন্ন সেক্টরে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে যা খবর বেরুচ্ছে প্রতিনিয়ত। রেমিট্যান্স কমে যাওয়া, রপ্তানি আয়ে ভাটা, ডলার সঙ্কট, এলসি খোলা নিয়ে ব্যাংকের গড়িমসি থেকে শুরু করে নানা জটিলতা দিন দিন বেড়েই চলছে। এবং এমন সমস্যা তিলে তিলে উর্ধ্বগতিতে রূপ নিচ্ছে। 

বড় দুশ্চিন্তা গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে। যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা নিষেধাজ্ঞা কিংবা স্যাংশন আসে, সেটা যে কোনো সেক্টরের জন্য হোক না কেন, দুশ্চিন্তার কারণ। তবে এরমধ্যে বেশি চিন্তা গার্মেন্টস নিয়ে। কারণ এ সেক্টরের উপর বর্তালে তা বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত বিচলিত করে দিতে পারে। আর সেটা হবে বড় দুঃসংবাদ। কারণ তৈরি পোষাকের এক্সপোর্ট প্রায় পুরাটা ইউরোপ আমেরিকার দখলে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আসে বাংলাদেশে এ সেক্টর থেকে। লাখ লাখ খেটে খাওয়া মানুষ এ সেক্টরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। এসব সেক্টরে যদি কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা মার্কিনীরা দেয়, তাতে খুব বড় প্রভাব হয়তো পড়বে না। কিন্তু একই সঙ্গে বরাবরের মত যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মিত্রদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা হবে বড় কিছু। তছনছ হয়ে যাবে সব। যার প্রভাবে টালমাটাল হয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি। বেকার হয়ে যাবে লাখ লাখ শ্রমিক। বন্ধ হয়ে যাবে গার্মেন্টগুলো। শুধু গার্মেন্টসই বা কেন, গার্মেন্টেসের পণ্য তৈরিতে সহযোগিতায় যে সকল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যেমন পলি ফ্যাক্টরী, কার্টন ফ্যাক্টরী, জিপার কারখানা, বোতাম, সুতা, শিপিং লাইনস, পণ্যবহনকারী কার্গো ট্রাক, লরি, পরিবহন, ব্যাংক, বীমাসহ এ সংশ্লিষ্ট সব। 

শুধু এখানে থেমে নেই সব। গার্মেন্টস থেকে জুট ক্রয় করে এগুলো সদরঘাট, কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিশাল মার্কেট গড়ে উঠেছে যারা ওই জুট বিক্রি করছে। সেগুলো ক্রয় করে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদি, সাভার ছাড়া দেশের বহু জেলা শহর থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে ছোট ছোট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য পোষাক তৈরি করে এসব মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় যোগান দিচ্ছে। এর অধিকাংশ বিদেশেও রপ্তানি হয়। ঢাকার মত চট্টগ্রাম কেন্দ্রিকও এমন জুট ব্যবসা ও ব্যবসায়ী নির্ভর ফ্যাক্টরী কর্মসমাজ বিদ্যমান। ফলে এ কাজে থাকা ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ এ খাত বিপন্ন হয়ে পড়বে। সাথে রয়েছে তৈরি পোষাকের অর্ডারের সঙ্গে অর্থ। যা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আদান প্রদান হচ্ছে। অর্থগুলো হাত ও বাংক বদল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক স্থানে। ফলে বৈদেশিক ওই মুদ্রার চলাচল বহুস্থানে। যার উপর এখন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ, লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান জড়িত। শ্রমিকরা যেসব স্থানে থাকছেন সেসব স্থানের ভাড়া দেয়া ঘর, হোটেল রেস্তোরা, দোকানপাট, বাজার প্রভৃতি। এ এক বিশাল সার্কেল। ফলে পশ্চিমাদের এক সিদ্ধান্তের আঘাত বাংলাদেশের বহুস্থানের উপর সরাসরি আঘাত হানবে। 

অবশ্যই বাংলাদেশের এমন একটি মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে বা যারা- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের মিত্ররা যদি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা ওই জাতীয় নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেবে। ফলে বর্তমান সময়ে সবার প্রত্যাশা এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত যেন না আসে সে দিকে।

এমনিতেই দীর্ঘদিন থেকে গার্মেন্টস সেক্টরে ঢিলেঢালা ভাব। নিয়মিত অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না বিভিন্ন শঙ্কার কারণে। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে এক বায়ারের শর্ত। কোনো নিষেধাজ্ঞা এলে অর্ডারের মাল নেবে না সেটা যদি শিপমেন্ট হয়ে যায় তবুও। এমন শর্ত একজন বায়ার দিয়েছেন যতদূর শোনা যায়- কিন্তু এর অ্যাফেক্ট গোটা এ সেক্টরে। কারণ ব্যাংক ব্যাক টু ব্যাক এলসি থেকে শুরু এ জাতীয় কর্ম সম্পাদনে প্রচণ্ড সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

এর বাইরে ব্যাংকে তারল্য সঙ্কটের খবর বেরুচ্ছে। রেমিটেন্স কত আসছে কোন মাসে সে খবর মাস ছয়েক আগে কেউ খবর রাখতো না। এখন শুধু মাস নয়, প্রতি সপ্তাহে কত আসছে সে খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে মিডিয়া। যার অর্থ এমন রিপোর্টে মানুষের আগ্রহ। যার মাধ্যমে এক ধরনের শঙ্কা বিস্তার করছে। 

ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ অনুসন্ধানে তারা দেখেছে বলে জানা গেছে যে, ডলার বাজার অস্থিরতার নেপথ্য পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রায় ২৭ শতাংশ কমেছে। একাধারে ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়ণের সুযোগ নিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী ও কিছু এক্সচেঞ্জ হাউজ কম দামের কেনা ডলার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করে অস্বাভাবিক মুনাফা করছেন। আবার প্রবাসীদের একটা অংশও বিলম্বে দেশে ডলার পাঠান বা বিরতও থাকেন। কেউ কেউ বিভিন্ন কারনে বাড়তি ডলার প্রেরণ করলেও হঠাৎ সেগুলো স্থগিত করে রেখেছেন। কারণ সবার মতে আগামী জাতীয় নির্বাচনটা সম্পন্ন হোক ঠিকঠাক। সব কিছু স্বাভাবিক হলে পরবর্তিতে ভাববে। এছাড়াও কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের মধ্যে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ডলার যত বিলম্বে বাজারে ছাড়া হবে তত বেশি রেট পাওয়া যাবে। মানুষের এমন প্রত্যাশা থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৩ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় ৭৫ পয়সা ডলারের দাম কমিয়েছে। তবে সব সময় ডলারের দর কমানো সম্ভব নয়। ফলে এটা নিয়ে একটা অস্থিরতা রয়েই গেছে। 

শুধু গার্মেন্টস সেক্টর নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক সেক্টরে আমেরিকার দেনা পাওনা। এর মধ্যে উড়োজাহাজের খুচরা যন্ত্রাংশ, তেল গ্যাস প্রভৃতি। সেটা নিয়েও দুশ্চিন্তা শুরু হতে পারে বৈ কি! যদিও ইতিমধ্যে কোন কোন মন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলছেন, আমেরিকার নতুন স্যাংশন আসছে। আবার প্রধানমন্ত্রী ষেখ হাসিনা অন্যভাবে বলেছেন, বিএনপির টানা হরতাল- অবরোধের কারণে আগামী বছরের মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। খোন প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী যখন দুর্ভিক্ষ এবং স্যাংশনের কথা বলেন তখন দুশ্চিতা বা আতঙ্কের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। অন্য আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ এখনো অব্যাহতভাবে রয়েছে। তারা শেষ পর্যন্ত দেখতে চায়। সেক্ষেত্রে তারা ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে। আবার অপেক্ষা নাও করতে পারে। সরকারকে শেষ সুযোগ দেয়ার কারণে ১০ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৩টি দেশে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখনো বাংলাদেশে দেয়নি- এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বিজিএমইএ’র সভাপতির শঙ্কা 

দেশের পোশাক খাতের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে নানা ধরনের চাপ আসছে বলে জানিয়েছেন পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান। সংকট উত্তরণে এ খাতের সব অংশীদারদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, ‘ইউএস থেকে ইস্যু আছে আপনারা দেখেছেন যে প্রেসিডেন্ট মেমোরেন্ডাম সাইন করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওরাও ভিজিট করে গেছে, সেটারও প্রেশার। ক্রেতারা এরই মধ্যে ক্লজ দিয়ে গেছে যে, স্যাংশন হলে পেমেন্টতো দূরের কথা তারা গুডস নেবে না, গুডস দিলেও পেমেন্ট দেবে না। এই ক্লজে আমাদের ব্যাংক এলসি খুলবে না।’ সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর খুলশিতে স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সবশেষ 

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তার মধ্যে রয়েছে কৃষিপণ্য (খাদ্যশস্য, বীজ, সয়াবিন, তুলা, গম এবং ভুট্টা), যন্ত্রপাতি এবং লোহা ও ইস্পাত পণ্য। আর যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের মধ্যে আছে তৈরি পোশাক, জুতা, টেক্সটাইল সামগ্রী ও কৃষিপণ্য। 

বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত ইস্যুর কারণে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশটির জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করে। ওই স্থগিতাদেশের সময় যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাণিজ্য সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ভিত্তি হিসাবে বাংলাদেশ সরকারকে শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেয়। তখন থেকে এই পরিকল্পনার কয়েকটি লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে পরিদর্শন, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে আরও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জিএসপির ওপর স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ওপর সামান্যই তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য বস্ত্র ও তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধার আওতাভুক্ত নয়।

ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির অর্থ তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে এসব সেক্টরে। এর বাইরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের প্রভাবিত বিভিন্ন সেক্টর থেকে সহায়তা পায় বাংলাদেশ। এরমধ্যে রোহিঙ্গাদের ভরন পোষনের খরচ থেকে শুরু করে হেলথ সেক্টর, আইনশৃংখলা বাহিনীর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জমাদিসহ নানান বিষয়। সম্পর্কের অবনতিটা যেন এমন পর্যায়ে না যায় যাতে বাংলাদেশের মত একটা দেশকে এসব বিষয়ের উপর থেকে সুবিধাবঞ্চিত বা সুবিধাপ্রাপ্তি ধীরালয় হয়। এ ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের জনগণের একট্টা প্রয়োজন অন্তত যতদিন না এসব সেক্টরে সকল সমস্যা সামাধান করে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়া যায়।

শেয়ার করুন