২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন


১০ ডিসেম্বর কী ঘোষণা বিএনপির
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১২-২০২২
১০ ডিসেম্বর কী ঘোষণা বিএনপির


বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তপ্ত এক মুহূর্ত অতিক্রম করছে। কী ঘটছে, কী ঘটতে যাচ্ছে এটা নিয়ে জনমনেও রয়েছে শঙ্কা।এ নিয়ে প্রতিনিয়ত রঙ বদলাচ্ছে, ছড়াচ্ছে উত্তাপ। রাজনীতির মাঠে বিএনপির সরব উপস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর। আওয়ামী লীগের টানা তিন টার্ম ক্ষমতার বেশিরভাগ সময় এ বিএনপি ছিল নীরব নিস্তব্ধ। বিএনপির নিষ্ক্রিয়তা অসহ্য ঠেকেছিল আওয়ামী লীগেও। তাইতো মাঠে নামাতে তাদেরও ছিল সরব আহ্বান। কিন্ত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে অন্তত এক বছরের বেশি সময় আগে বিএনপি যখন মাঠে নামলো, রাজনীতির মাঠে একটু-আধটু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা, তখনই শুরু এমন উত্তেজনা। মূলত বিএনপির মাঠে নামা শুরু ছিল নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে  তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। সেটার সঙ্গে পরবর্তীতে এসে যোগ হয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি সংকট- এমন আন্দোলন করতে যেয়ে তাদের ৮জন কর্মী নিহত হওয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তি। বিএনপির দ্বিতীয় ধাপের আন্দোলন কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। 

কেননা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় সম্মেলনগুলো করেছে তারা এক এক করে। সেখানে মানুষের জনসমাগম বিএনপি নিজেও অনুমান করতে পারেনি। বাসসহ যানবাহন ধর্মঘটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার পরও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ওই উপস্থিতি বিএনপির আন্দোলনের প্রাণ সঞ্চার করেছে। ওই জনসমাগমের ওপর ভিত্তি করে বিএনপিও এখন কঠিন থেকে কঠোর হচ্ছে। আন্দোলনের যে দাবি ছিল সেগুলো থেকে তারা চলে গেছে, এখন একদফাতে। সেটা দ্রুত সরকারের পদত্যাগ করে একটা জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। এ দাবিটাই ইদানীং মুখ্য দাবি হিসেবে বিএনপি বলে আসছে। 

১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপির কী বলতে চায় বিএনপি   

আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যে যেমন জানার আগ্রহ তেমনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যেও রয়েছে উৎকণ্ঠা। এ বিষয়টাতে সরকার ভীষণ উদ্বিগ্ন। তারা বিভিন্ন সময় যা বলে আসছেন, সেটা হলো বিএনপি ১০ ডিসেম্বর জনসভা করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় বসে যেতে পারে। অনেকটা ২০১৩ সনে শাপলা চত্বরে হেফাজত টাইপে। এ নিয়ে বিএনপিকে অন্য বিভাগীয় সম্মেলনের মতো সমাবেশ করতেও দিতে নারাজ। ইতিমধ্যে বিএনপির প্রত্যাশিত নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেবেনা বলে দৃঢ়তা দেখিয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ একাধিক নেতারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে বিএনপির দৃঢ়তাকে দুরভিসন্ধিমূলক উল্লেখ করে সেখানে অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানায়। তার পরিবর্তে দিতে চায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ডিএমপি বিএনপির চাওয়ার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিয়ে দিয়েছে। বিএনপির দাবি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন খাঁচা টাইপের। প্রবেশদ্বার সংকীর্ণ। এমন উদ্যানে এমন বিশাল সমাবেশ বা নিজেদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করতে যাওয়া চিন্তার বিষয়। 

নয়াপল্টন নিয়ে বিএনপি বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা তাদের এটা অন্যসব বিভাগীয় সমাবেশের ন্যায় সমাবেশ। তবু ভরসা নেই তাতে। বিএনপি একবার নয় দু’বার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও এ ব্যাপারে সরকার অনড়। বাধ্য হয়ে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন, যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ তীর ছাড়া ঢাকার যে কোনো স্থানে সমাবেশের প্রস্তাব সরকার দিতে পারে। তাহলে সেখানে তারা বিবেচনা করবে। নতুবা নয়াপল্টনেই হবে সমাবেশ। 

তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ কেউ বলে ফেলেছেন তারা কী ঘোষণা দেবেন ওইদিনে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমাদের অন্য বিভাগীয় সম্মেলনের মতোই একটা। এর মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায়ে যে সম্মেলন সেটার সমাপ্তি ঘটবে এবং পরবর্তী যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিও এখান থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। দলটি পরবর্তীতে দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি কী হবে সেটা পরিষ্কার করে জানান দেবেন। এ ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই। কিন্তু এটাতে ভরসা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, এ সম্মেলন থেকে একদফা আন্দোলনের কর্মসূচিও দেয়া হতে পারে। সেটা সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। এ কথা মির্জা ফখরুল আগেও বলেছেন। তবে চূড়ান্তভাবে ঘোষণাটা তিনি ওইখানে দেবেন। 

মির্জা ফখরুল ইদানীং আরো একটা প্রস্তাবনার কথা বলছেন, সেটা হলো এ সরকার কীভাবে পদত্যাগ করে সরে যাবে তার একটা রূপরেখা। অবশ্যই সেটা সাংবিধানিক ভিত্তিতে। তিনি বলেন, এ জন্য একটা জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা দেবেন। সে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফখরুলের ভাষায়- যেহেতু এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তারা এভাবেই সরে যেতে পারে। এরপর জাতীয় সরকার ঠিক করবে পরবর্তীতে কীভাবে কী করবে। কীভাবে দেশের অর্থনীতি ঠিক করার উদ্যোগ নেবে। কীভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়টা। 

মির্জা ফখরুলের আরো একটা দাবি রয়েছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গত ১৪ বছরে যে মামলা, গায়েবি মামলা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বিনা অপরাধে জেলে রয়েছেন তাদেরকে মুক্তকরণ। মিথ্যা ও ফরমায়েশি রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি আদায়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু চিন্তাও করে না দাবিও করে না। একটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের এ প্রত্যাশা স্বাভাবিক। এগুলো দাবি না করলে বিএনপিই বা কেন মাঠে থাকবে। 

আওয়ামী লীগ সরকারে অবিশ্বাস     

বিএনপি কী বলবে না ঘোষণা দেবে এ খবর স্পষ্ট সরকারের কাছেও রয়েছে। তবু বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তার মূল অর্থ বিএনপির বিভিন্ন সম্মেলনে জনস্রোত। প্রায় দের যুগ ক্ষমতার বাইরে থেকেও বিএনপি এতোটা সুসংগঠিত থাকলো কীভাবে এটাই চিন্তা করে কুলকিনারা পাচ্ছে না তারা। তবে এটাও তারা অনুধাবন করছেন যে যারা সমাবেশে যাচ্ছেন তাদের সবাই যে বিএনপির নেতাকর্মী তাও না। গ্রামগঞ্জে বিভিন্নস্থানে সরকার দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের টর্চার নির্যাতনে কিছু মানুষ অতীষ্ঠ। তারাও এ সময় এসে বিএনপির সমাবেশে হাজির হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে এমন একটা সমস্যা দলের নেতাকর্মীদের হওয়া স্বাভাবিক। সে সংখ্যা খুব যে বেশি তাও না। তবে এর সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, করোনা পরবর্তী দেশের অর্থনীতি বিভিন্ন কারণে বর্তমান সরকার অনেক উন্নয়ন ও মেগা প্রজেক্ট করলেও সাধারণ মানুষ নিছক নিজেদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের আকাশ ছোয়া মূল্যে দিশেহারা। তারা সংসারের নিত্য প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। সরকার ওই সকল মানুষের জন্য বিনামূল্যে বিতরণ, কম মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেও সেটা সামগ্রিকভাবে কাভার করছে না। বঞ্চিত মানুষ দুর্দশাগ্রস্ত, চিন্তিত, তারা এসে শামিল হচ্ছে। ফলে নতুন কিছুর আশায় তারা বিএনপির পতাকা তলে সমাবেত হচ্ছে। 

ফলে বিএনপিকে বিনা বাধায় সব কর্মসূচি করতে দেয়ার অর্থ সাধারণ মানুষের সংযুক্ত বেড়ে যাবে বিএনপিতে। এটাই বড় চিন্তার কারণ। ফলে লাগাম টেনে ধরার সময় এখনই। সে থেকেই ঢাকার সমাবেশে যাতে পর্যাপ্ত মানুষের উপস্থিতি না ঘটে ও বিএনপি যাতে নির্বিঘেœ চাহিদা মোতাবেক সমাবেশ করতে না পারে সেটাই কেউ কেউ মনে করেন। কারণ বিএনপির এমন কোনো শক্তি এখনো হয়নি যে তারা চাইলেই যে কোনো স্থানে বসে যাবে, আন্দোলন করবে। দেশের পুলিশ, র‌্যাবসহ নানা সংস্থা রয়েছে। যারা সদাপ্রস্তত যে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে। এটা সবাই অনুধাবন করেন এবং বিএনপিও সেটা করে।  

যে অপেক্ষা আওয়ামী লীগে 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন, দেশের বর্তমান সংকট মূলত ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ফসল। এছাড়াও দেশে যে মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে সেগুলোর খরচ মেটাতে বর্তমান পরিস্থিতির অবতারণা। ফলে এমনটা খুব বেশিদিন থাকবে না। যেহেতু সরকারের এখনো বাকি এক বছর। ফলে যথেষ্ট সময় রয়েছে এসব ঘাটতি মিটিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে দ্রব্যমূলসহ সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে। এর জন্য প্রয়োজন সবার একাগ্রতা। বিএনপি যা করছে এটাতে সমস্যা হচ্ছে। বিদেশিরা সব বিষয় অধিকতর জেনে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সহায়তা প্রাপ্তিতেও সমস্যা হচ্ছে। ফলে বিএনপিকে কিছুটা নিভৃত রাখতে পারলে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা হবে। এর জন্য বাংলাদেশ তাকিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ কবে শেষ হয়ে সব স্বাভাবিক হবে। তাহলে আকাশছোঁয়া মূল্যে জ্বালানি থেকে শুরু করে অন্যান্য দ্রব্যাদিও আর আমদানি করতে হবে না। কিন্তু সেটা বন্ধ হওয়ার তো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এটাই দুশ্চিন্তার বিষয়।  

বিএনপির নেতাকর্মী ধরপাকড় 

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীতে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্নস্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তাদের বাড়ি তল্লাশি করে একটা ভীতিকর অবস্থার তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু নেতা-কর্মী আটকও করেছে ডিএমপি। এর মধ্যে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুও রয়েছে। ফলে রাজধানীতে বিএনপি কর্মীরা অনেকটাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বা গা-ঢাকা দিয়ে চলছেন। এর সঙ্গে হচ্ছে মামলাও। সব মিলিয়ে বিএনপি বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে এটা বোঝাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। কারণ সমাবেশটা তাদেরও প্রেস্টিজ ইস্যু ও কর্মসূচি। এটা না হলে যেমনটা বিএনপির ক্ষতি, কিন্তু তার চেয়ে ঢের বেশি ক্ষতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তথা, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা চায় একটি সুষ্ঠু পরিবেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং সেখানে সব দলের অংশগ্রহণ। বিএনপির সমাবেশে বাধা মানেই সেটাতে উন্নয়ন সহযোগীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। 

বিএনপি চায় সুশৃঙ্খল সমাবেশ 

বিএনপি নিরবচ্ছিন্নভাবে, সুষ্ঠুভাবে, সুশৃঙ্খলভাবে একটা আন্দোলন পরিচালনা করতে চেয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও চাচ্ছে। এ জন্যই  এ আন্দোলন করতে যেয়ে ৮ জন কর্মী নিহত হওয়ার পরও তারা হরতাল, ধর্মঘটের মতো জনদুর্ভোগ টাইপের কোনো কর্মসূচি তারা দেয়নি। মির্জা ফখরুলসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের দাবি, ১০ ডিসেম্বর পূর্বঘোষিত একটা কর্মসূচি। এটা দেশের সব বিভাগীয় সমাবেশের ন্যায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাত্র। এ ভিন্ন অন্যকিছু নয়। অন্য বিভাগে যদি সুশৃঙ্খলভাবে বিএনপি সমাবেশ  করতে পারে, তাহলে ঢাকাতে কেন পারবো না। এটা তো গণতান্ত্রিক অধিকার। 

বিএনপি বলছে, আসলে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সরকারই। তারাই ভয় পাচ্ছে। কিন্তু আমরা এটাকে সাধারণ একটা সভার মত করবো এবং নয়াপল্টনে করতে চাই যেহেতু দলীয় কার্যালয়ের সামনে আমরা হরহামেশাই করে আসছি। নিয়মিত যদি এখানে করতে পারি, তাহলে ১০ ডিসেম্বর কেন নয়। দিন হলো শনিবার। এদিন সরকারি অফিস ছুটি। জনদুর্ভোগ হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তাহলে বাধা কেন? 

তবু সরকার যেহেতু নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেবে না বলে মনস্থির করে ফেলেছে। এখন তাদের জন্যও এটা একটা প্রেস্টিজ ইস্যু। ফলে বাধ্য হয়েই শান্তির পথে হাটা বিএনপি এখন বিকল্প ভেন্যু চাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএনপি মহাসচিব সেটা বলেছেনও। কিন্তু তিনিও শর্ত দিয়েছেন সে ভেন্যু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা তুরাগ তীর হবে না। ঢাকার মধ্যে অন্য যেকোনো স্থান। বল এখন সরকারের কোর্টে। বিকল্প এ ভেন্যু ঘোষণা দেয়াই এখন জনমনে স্বস্তি।

শেয়ার করুন