২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:৪০:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ /জাময়াত ইসলামীও গনমিছিল করবে/সর্বত্র সতর্কতা
বিএনপি ও সমমনা দলের আজ ঢাকায় গণমিছিল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১২-২০২২
বিএনপি ও সমমনা দলের আজ ঢাকায় গণমিছিল


রাজধানীতে আজ সরকার বিরোধী দলগুলো গণ মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণমিছিল করবে বিএনপি ও তার সমমনা দল। 

আজকে দুপুর আড়াইটা থেকে এ মিছিল শুরু হবে। এর আগে পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। 

 জানা গেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গোটা রাজধানী মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করার প্লান গ্রহণ করেছে। এজন্য বিএনপি রাজধানীর ১২ টি পয়েন্টে তাদের মিছিল শুরু করবে এবং সে লক্ষে তারা সেভাবে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছেন।

 গত ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগে বিএনপি'র শেষ বিভাগীয় সম্মেলনে যে ১০ দফা ঘোষণা করেছিল, সেই ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মূলত গণমিছিল। গণমিছিল সাফল্যমন্ডিত করতে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু বিএনপি নয় এতে অংশ নেবে সমমনা দলগুলোও। তাই এটাকে একটু ভিন্ন চোখে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এটা যাতে বড় ধরনের শোডাউনে না যেতে পারে এ জন্য এ সময় রাজপথে আওয়ামী লীগ অবস্থান নেবে বলে ঘোষনা করেছে। 

রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ 

 এদিকে রাজপথে বিএনপি যেন একাই শোডাউন করতে না পারে সে জন্য আওয়ামী লীগ ও পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছে। রাজধানীর ৯ টি স্পটে আওয়ামীলীগ তাদের নেতাকর্মীরা মাঠে নামবে। এছাড়াও রাজধানীর সর্বত্র নেতাকর্মীদের সজাগ থাকারও অনুরোধ করেছে বলে জানা গেছে। ফলে প্রধান প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন  মোড়ে মোড়ে আওয়মি লীগের উপস্থিতি থাকবে। মুলত আওয়ামী লীগের রাজপথে উপস্থিতির দাবী গণমিছিলের সুযোগে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যেন কোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না করতে পারে,  সেদিকে নজর রাখা।


জাময়াত ইসলামীও গনমিছিল করবে

বিএনপি ও সমমনা দলের সাথে জাময়াত ইসলামীও গনমিছিল করবে আজ। এর আগে তাদের এ কর্মসূচী স্থগিত করেছিল। কিন্তু আজ বিএনপির পাশাপাশি তারাও এমন কর্মসূচী করবে। মুলত তাদের প্রধান মিছিল শুরু হওয়ার কথা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বলে জানা গেছে। 

প্রশাসনে সতর্কতা

রাজধানীতে বিএনপি ও সমমনা দল ও জাময়াত ইসলামীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও শোডাউনের যে কর্মসূচী দিয়েছে এটাতে আইন শৃংখলা যাতে ঠিকমত বজায় থাকে এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বন করছে। 

মিছিল কর্মসূচির মাধ্যমে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও আইনশৃংখলার বিঘ্ন কেউ না করতে পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য প্রশাসনের ওই সর্তকতা। 


 

নতুন কর্মসূচি আসতে পারে

 জানা গেছে বিএনপি গোলাপবাগ দেয়া কর্মসূচির আজই শেষ দিন। সে মতে গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ গণমিছিলে কর্মসূচি ছিল। কিন্তু রংপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন ও ঢাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন এর কারণে এ দুটি স্থানে গণমিছিল স্থগিত করে এবং সেটা আজ ৩০ ডিসেম্বর করবে বলে ঘোষণা করেছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল তাদের জাতীয় সম্মেলনে সময় যেন রাজধানীতে কোন কর্মসূচি না রাখে বিএনপি বা অন্যান্য দলগুলো। সেজন্য তারা যে আহ্বান জানিয়েছিল, বিএনপি তাতে সাড়া দিয়ে তাদের সেদিনকার কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের ঘোষণা করে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের কর্মসূচির শেষ করতে চায় এর পরিপ্রেক্ষিতেই তারা তাদের সেদিনের কর্মসূচি ঢাকায় পিছিয়ে দেয়। 

বিএনপির পক্ষ থেকে জানা গেছে, তারা তাদের আজ শুক্রবারের কর্মসূচীও চায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে। 

বিএনপি আজ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। তবে সেটা কোনো বড় কর্মসূচী নয়। দলের অনেক শীর্ষ নেতাকর্মী কারাগারে থাকায় এ মুহুর্তে ছোট ছোট কর্মসূচীর মাধ্যমেই এগুনোর প্লান। ফলে আজকের পর পরবর্তীতে তারা কি করতে যাবে- তার একটা কর্মসূচীর ঘোষনা তারা তারা আজই দেবেন এমনটা জানা গেছে। 

রাজধানীতে সতর্কতা 

 এদিকে বিএনপির পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি প্রতিহত বাস মিরপুরে শোডাউনের জন্য আওয়ামী লীগ মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে রাজধানীতে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষ দুই দল মুখোমুখি হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ লাগতে পারে এই আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে।

 আজ শুক্রবার ছুটির দিন। সরকারি অফিস-আদালত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ। ফলে অফিসগামী মানুষের চলাচল থাকছে না। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ থাকবে। এরপরেও দেশের শীর্ষদুই দল মুখোমুখী হয়ে মাঠে নামলে এটা একটা বাড়তি টেনশনের কারণ।  ইতিপূর্বে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিএনপি'র যেসমস্ত কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব কর্মসূচি টেকনিক্যালি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতিহত করেছে। এতে করে কোথাও সংঘর্ষ ও হয় এবং তাকে মানুষ মারা গিয়েছে। ফলে রাজধানীতে এরকম কোন কিছু চায় না সাধারণ মানুষ ক্ষমতাসীন বিরোধী দল রাজনীতিকে কর্মসূচি গণতান্ত্রিক অধিকার এটা সবার জানা থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগ তাদের প্রধানপ্রতিপক্ষকে সহজে মাঠ ছেড়ে দেবেনা বলেই তাদেরও ওই মাঠে থাকার কর্মসূচী। এতেই রাজধানী বাসীদের মধ্যে ওই আতংক। 


শেয়ার করুন