২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের দাবী
‘ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের সাথে অসম চুক্তি বাতিল কর’
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০১-২০২৩
‘ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের সাথে অসম  চুক্তি বাতিল কর’


জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের দিল্লিতে ২০১০ সালে সম্পাদিত হাসিনা মনমোহন চুক্তির ত্রয়োদশ বার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শুরুতে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়।

সমাবেশে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন,বাংলাদেশের রাজনীতি অর্থনীতি ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হস্তক্ষেপ এখন নগ্নভাবে দেখা যাচ্ছে।দেশের শাসক শ্রেণীর ফ্যাসিবাদী শাসন,লুন্ঠন দুর্নীতির ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে  নাক গলাচ্ছে।

২০১০ সালে ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি যা হাসিনা মনমোহন চুক্তি নামে পরিচিত তা বাতিলের দাবী তুলে তিনি বলেন,এই চুক্তি বাংলাদেশকে ভারতের সাথে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেধে ফেলেছে। কানেকটিভিটির নামে ভারতকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে করিডোর দেয়া,বিশ্বব্যাংক আইএমএফ-এর মতো কঠোর শর্তে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহণ,চট্টগ্রাম মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেয়া,ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি,সন্ত্রাস দমনের নামে যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠন প্রভৃতি বাংলাদেশের জন্য অসম,অধীনতামূলক ও অপমানজনক।

প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধে এই চুক্তিতে কোনো ধারা নেই।নেই অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির উপর বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার। 

বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি জাতীয় সংসদে পেশ করার কথা বলা হলেও গত ১৩ বছরে জাতীয় সংসদে এই চুক্তি পেশ করা হয়নি। ফয়জুল হাকিম আরও বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিআর এডমিরাল ইলিন লাবাকারের বাংলাদেশ সফর বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী সামরিক আধিপত্য বিস্তারের অংশ। 

লুটেরা সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ শাসক শ্রেণীর সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম বেগবান করার আহবান জানিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।



শেয়ার করুন