০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৯:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন


বিএনপিকে বিতর্কিত করতেই কী জামায়াত মাঠে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৭-২০২৩
বিএনপিকে বিতর্কিত করতেই কী জামায়াত মাঠে


বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতে এবং এর পাশাপাশি বিতর্কিত করতে জামায়াতে ইসলামী দলটি হঠাৎ মাঠে নেমেছে। দেশে-বিদেশে বিএনপি’র কপালে জঙ্গী-উগ্রপন্থীদের কালিমা লেপনা করতেই রাজনৈতিক অঙ্গণে এখন হুংকার ছাড়ছে জামায়াত। যেনো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা প্রমাণ করা যায় যে, বিএনপি অতীতেরই মতো একটি মৌলবাদি সাম্প্রদায়িক ও স্বাধানীতা বিরোধী শক্তিকে মাঠে রেখে আসম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে মাঠে নেমেছে। আর এমন কাজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সমর্থন আছে। তবে আওয়ামী লীগ আর জামায়াত উভয়ই তাদের নেতাকর্মীদের কাছে দায় এড়াতে এধরনের কর্মকান্ডকে রাজনৈতিক কৌশল বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এসব খবর মিলেছে উভয় দলের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজনের সাথে কথার পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠ পর্যবেক্ষণ করে। 

কি করছে জামায়াত?

খোদ রাজধানীতে ১০ বছর পর পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশ করে তারা। এই সমাবেশের অনুমতি পেতে নানান ধরনের নাটক দেখতে হয়েছে। দেখা গেছে, প্রথমে সমাবেশ করার অনুমতি চাইতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশের নানান ধরনের হয়রানি বা আটকের শিকার হয়েছেন। আবার এ-ও দেখা গেছে সেখান থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। আবার ছাড়া পেয়েই জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ১০ জুনের সমাবেশ করার ডাক দিয়ে তা সফলও করে ফেলেতে দেখা গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও আলেমদের মুক্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশ করে। আর প্রথম সমাবেশে কোনোভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু না বলে সরকার এবং সব দলকে নিয়ে জানানো হল আলোচনা এবং সরকার ও বিরোধীদের ‘ঐক্যের’ আহ্বান।  জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাাহ মো. তাহের এই আহবান জানান। তার ভাষায় এই ‘ঐক্যের’ মধ্য দিয়ে একটি ‘সঠিক বাংলাদেশ’ গড়ার কথা বলেছে দলটি, যা রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

সামনের দিনে কর্মসূচি

বিভিন্ন সূত্রের পাশাপাশি দলটির নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী এবার বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে। এ কর্মসূচির পরেই বাছাই করা কয়েকটি জেলা ও বিভাগ হয়ে ঢাকায় বড় সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যেসব এলাকায় দলটি নির্বাচনে গেলে প্রার্থী দেবে সেসব স্থানে সমাবেশ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের রাজনৈতিক শক্ত অবস্থানের জানান দেবে। আগামী ১৫ জুলাই সিলেটে সমাবেশ করতে দলটির পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনে অনুমতি চাওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং বিভাগীয় বড় শহরে সমাবেশ করতে যাচ্ছে জামায়াত। এমন কি দলটি বা তাদের কোনো নেতা যেনো ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে জামায়াত করার কারণে বাদ না পড়ে যান তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। জানা গেছে, জামায়াতের নেতারা ভিন্ন নামে নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করেছেন যা ক্ষমতাসীন সরকার ভালোভাবেই জানেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেই শুণ্যতা পূরণে জামায়াতে একটা ভালো ভূমিকার আশ্বাস পেয়েই তারা মাঠে নেমে গেছে। জানা গেছে, তাঁরা নিবন্ধন পেয়েও যাবেন।

জামায়াত নিয়ে সরকারের আচরণ 

রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াতের এভাবে মাঠে নামার পেছনে যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহানুভূতি আছে তা-ও স্পস্ট হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার ও দন্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সবশেষ ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। আর সেই জামায়াত ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে। সব সন্দেহ গিয়ে পড়ছে সরকারের ঘাড়ে। আর জামায়াতের ঘাড়ে গিয়ে পড়ছে দলটি সরকারের সাথে বড়ো ধরনের ডিলিং বা আঁতাত করেছে। তা না হলে এমন রুঢ সময়ে জামায়াত সমাবেশ করার সুযোগই পেতো না। এদিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমে মুখও খুলেছেন, তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতের অভিধানে ‘আঁতাত’ শব্দ নেই। জামায়াত ১০ বছর পর ঢাকায় সমাবেশ করেছে, তা যদি আঁতাত হয়, তাহলে যারা নিয়মিত সমাবেশ করছে তারাও কি সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে?’ তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে যা-ই বলা হউক না কেনো সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে ফুটে উঠেছে যে ক্ষমতাসীনদের সাথে ভালো দরকষাকষি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও বলে বসেন যে ‘রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। 

বিএনপি যেভাবে বেকায়দায় পড়বে

২০১৪ সালে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। লাগাতার অবরোধ, নাশকতা, সহিংসতার মধ্যেই ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। ভোট গ্রহণের আগের রাতেই সারাদেশে পাঁচশ’র মতো ভোটকেন্দ্রে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। আগের দিন থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছিলেন। আর এমন ঘটনাকে পুঁজি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীনরা বিভিন্ন ধরনের ডকুন্টোরি তৈরি করে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত মিলে দেশে সারা দেশে সহিংস আন্দোলন গড়ে তুলেছে। এসব ঘটনায় অনেকে মনে করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জামায়াত বিএনপি’র ঘাড়ে বন্দুক রেখে এধরনের সহিংসতায় সহযোগিতা করেছে। কারণ যুদ্ধাপরাদের দায়ে অনেক জামায়াত নেতা ফাঁসির হুকুম হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত পড়ে কঠিন বিপদে। তারা নিজেদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিএনপি’র ঘাড়ে বন্দুক রেখে এমন তান্ডব চালায়। কিন্তু শেষ বিচারে সব দায় ভার গিয়ে পড়ে বিএনপি’র ঘাড়ে। তবে অনেকে মনে করে এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন কলকাঠিও কাজ করেছে। তারাই কৌশলে জামায়াতের একটি অতি বিপ্লবীদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। এতে অবশ্য বিএনপি’কে মৌলবাদিদের প্রধান সহযোগি হিসাবে দাঁড় করাতে সরকারের কৌশলই সফল হয়েছে। আর এই ধরনের ইমেজধারী জামায়াত এখন মাঠে নামতে দেখলে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানে পশ্চিমারা আতংকিত হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে এমন সত্যতার আভাস মিলেছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া গত ১০ জুলাই সোমবার বৈঠক ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সফর, বৈঠক ও তাঁর আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়। এতে আরো বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া সফর শুরুর সময় জানিয়েছিলেন, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা, মানবাধিকার রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর টুইটেও তিনি তারই ইঙ্গিত দেন। ‘মুক্ত ও অবাধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্র, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক জোরদার করা’ নিয়েই যে তাঁদের কথা হয়েছে, টুইটে তা তিনি বলেন। গত ১১ জুলাই মঙ্গলবার উজরা ও তাঁর সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশ সফর শুরু করবেন। তার আগে ভারতের নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধি ও সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা করলেন। কিন্তু তার টুইটে আছে, যাতে অনেক কিছুর আভাস মেলে। ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার’ যে উল্লেখ তিনি করেছেন, তাতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার ইঙ্গিত মেলে বলেই গণমাধ্যমের খবরে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার স্বার্থে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা এবং মৌলবাদের আশঙ্কার বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় আলোচিত হয়েছে। আর এজন্য পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন এমন সময়ে জামায়াতের মাঠে নামা বিএনপি’র জন্য বিপদজ্জনক। কারণ এখন বলা হবে জামায়াতের মতো মৌলবাদি দলও বাংলাদেশে দীর্ঘ বছর পরে আবারো মাধা চাড়া দিয়েছে উঠেছে বিএনপি’র আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে। এবং ভবিষ্যতে আরো মাথা চাড়া দেবে যদি এখনই না থামানো যায়। এখানে উল্লেখ্য ভারতসহ পশ্চিমারা জামায়াতে ইসলামীকে একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদি পাকিস্তানপন্থী দল হিসাবেই গণ্য করে। এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে ইইউ’র মতো সংস্থাও জামায়াতকে মৌলবাদি সাম্পদায়িক দল হিসাবে মনে করে। অথচ বিএনপি ও তার সাথে জোট এধরন অভিযোগগুলি কাটিয়ে উঠে দেশে বিদেশে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বলে একটি ক্লিন ইমেজ তৈরির করতে পেরেছে। তারা এজন্য জামায়াকে ধারে কাছেই রাখছে না বিএনপি ও তার জোট সঙ্গীরা। কিন্তু ঠিক এমনই সময়ে জামায়াতের মাঠে নামা তাই সবার দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকে মনে করছে, বিএনপি’কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত এবং বেকায়দায় ফেলতে জামায়াত ক্ষমতাসীন সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। 

আরো প্রশ্ন বিএনপির একদফায়ও জামায়াত চুপ কেনো?

এদিকে সরকার পতনে একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনে বিএনপির যখন মাঠ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন জামায়াত একেবারের চুপ। ১২ জুলাই বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। আর একই কর্মসূচি নিয়ে তাদের সাথে যুগপৎ কর্মসূচিতে থাকবে বাকি ৩৫ দল। তবে এমন কমসূচির ব্যাপারে একেবারে নিরব থেকে জামায়াত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তাদের ১০ দফা দাবি নিয়ে। সে কর্মসূচি সফল করতেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। রাজনৈতিক মহলে জামায়াতের এমন তৎপরতাতেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, জামায়াতের আসলে কৌশলটি কি? জামায়াত-আওয়ামী লীগ মিলে-মিশে কি বিএনপি’কে ঘায়েল করতে মাঠে ১৯৮৬ কিংবা ১৯৯৬ সালের মতো? যদিও জামায়াতের অনেক নেতা মনে করেন তারাই অনেক বড়ো কৌশলী। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন উত্তপ্ত অবস্থায় জামায়াত বা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কতটা কৌশলি হয়ে নিজ নিজ পক্ষে জয়ের মালা ছিনিয়ে আনবেন সেব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান। আবার অনেকে মনে করেন অতীতে অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তেই জামায়াত ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই পারঙ্গম বেশি।

শেয়ার করুন