০১ মে ২০১২, বুধবার, ০৮:৪১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


৯ মণ ঘিও মেলেনি, রাধার নাচও হয়নি
জালালাবাদ ভবন নিয়ে সাবেক কয়েকজন সভাপতি
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
জালালাবাদ ভবন নিয়ে সাবেক কয়েকজন সভাপতি সাবেক কয়েকজন সভাপতি ও জালালাবাদ ভবন


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। দীর্ঘ ৩৮ বছর পর জালালাবাদবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এস্টোরিয়ার মতো জায়গায় জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভবন ক্রয় করা হয়েছে। এই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বিদায়ী সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী, হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজ এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম। এই ভবন নিয়ে ইতিমধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে কার্যকরি কমিটিসহ পুরো জালালাবাদবাসী। কার্যকরি কমিটির অধিকাংশ সদস্য এই ভবনের বিপক্ষে হলেও অধিকাংশ জালালাবাদবাসী ভবনের পক্ষে। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জন সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন- সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল বাসিত, এম এ কাইয়্যুম, মাহবুবুর রহমান, সৈয়দ শওকত আলী, কামাল আহমেদ, আজমল হোসেন কুনু, বদরুন নাহার খান মিতা, বদরুল হোসেন খান, জন উদ্দিন ও মায়নুল হক চৌধুরী হেলাল। এর মধ্যে সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এবং কামাল আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। ১১ জন সভাপতির মধ্যে অধিকাংশ সভাপতি ভবনের পক্ষে। তারা বলেন, ভবন নিয়ে রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই। উপদেষ্টাদেরও একপেশে সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন অধিকার নেই। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনে এখন যে অচলাবস্থা তাতে সাধারণ সভাই একমাত্র সমাধানের পথ। কমিটির বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি  চিহ্নিত গোষ্ঠী যে নোংরা রাজনীতি বা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে তা করা উচিত নয়। তারা বলেন, জালালাবাদ আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি, কিন্তু সামান্য ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র জালালাবাদকে বিভক্ত করা হবে আমরা তা মেনে নিবো না। তারা বলেন, এই অবস্থায় সমঝোতা ছাড়া কোন উপায় নেই। তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ আমরা চাই না। একজন সাবেক সভাপতি লিখেছেন- আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকারে, সভা-সমাবেশে নানাভাবে আশ্বাস দিয়েছি, কেউ কেউ প্রচেষ্টাও নিয়েছি নিজস্ব ভবনের। কিন্তু পারিনি। ‘৯ মণ ঘিও মেলেনি, রাধার নাচও হয়নি’। আমাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়্যুম বলেছেন, আমরা জালালাবাদ ভবন চাই। ভবন ক্রয়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা তার সমাধান চাই। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কোনো অধিকার নেই অর্থ ফেরত চাওয়ার। কারণ কার্যকরি কমিটিতে বা সংগঠনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে উপদেষ্টা পরিষদ সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারেন। কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না। তারা সমস্যার সমাধান না করতে পারলে সাধারণ সভায় তার সিদ্ধান্ত হবে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, তৃতীয়পক্ষ যারা বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করছেন, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জালালাবাদ প্রতিষ্ঠার সময় আমরা ছিলাম। কিন্তু আমাদের বিষয়গুলো জানানো হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ জালালাবাদ চাই, আমরা ভবন চাই। এটা করা সম্ভব সমঝোতার মাধ্যমে। কারো নোংরা রাজনীতি করা উচিত নয়।

সাবেক সভাতি আব্দুল বাসিত বলেন, আমি জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে এর সমাধান করা হোক, কারণ আমরা ভবন চাই। তিনি মনে করি ৩৮ বছর পর জালালাবাদবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যারা স্বপ্ন পূরণ করেছেন তাদের ধন্যবাদ। যদি কোন সমস্যা থাকে, তাহলে তা সমঝোতার মাধ্যমে বা সাধারণ সভার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোস্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেন,

নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের জন্য কেনা বাড়িকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি তার বিবৃতিতে স্বাগত ‘জালালাবাদ ভবন’ উল্লেখ করে বলেন, নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের জন্য কেনা বাড়িকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর জন্য সকলের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আসুন, নিজস্ব ভবনে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করি।  তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি, মাহবুবুর রহমান, ত্রিশ বছর আগে জালালাবাদের সভাপতি ছিলাম। আমার পরে এক ডজনেরও বেশি কমিটি জালালাবাদের দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন। আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকারে, সভা-সমাবেশে নানাভাবে আশ্বাস দিয়েছি, কেউ কেউ প্রচেষ্টাও নিয়েছি নিজস্ব ভবনের। কিন্তু পারিনি। ‘৯ মণ ঘিও মেলেনি, রাধার নাচও হয়নি’। আমাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

আমেরিকার ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে ‘নন-প্রফিট’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋত প্রাপ্তি এক দুরূহ ব্যাপার। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবন কেনার সময় মরহুম এনামুল মালিক বড় অংকের অর্থ কর্জ দিয়েছিলেন। পরে সোসাইটি সে অর্থ পরিশোধ করে। মোহাম্মদ আজিজ সভাপতি ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন মরহুম মালিকের পাওনার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করা হয়।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হওয়ায় এর নামে ঋত পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ পৃথক কর্পোরেশন গঠন করে জালালাবাদের জন্য একটি বাড়ি কিনেন যা স্বপ্ন পূরণের দ্বার খুলে দেয়। এ অবস্থায় যেখানে মইনুল ইসলামকে অভিনন্দন জানানোর কথা সেখানে তাঁকে তিরস্কার আয়োজনের খবর শুনে বিস্মিত হয়েছি। এ যেন ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোসাই’।

মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, মইনুল ইসলামের স্টেটমেন্ট পড়েছি। আমি সন্তুষ্ট এতে। ভালো লোকেশন। বাংলা পত্রিকা ও সাপ্তাহিক নিউইয়র্কের অফিস ছিল এক বøক পরেই। ভবনের আয় ভালো। মর্টগেজ দেয়ার পর হাতে অর্থ থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনকে ঘর ভাড়া দিতে হবে না, এখন যা দেয়া হয় গাঁটের কড়ি খরচ করে। ভবনে সমাজকল্যাণ কাজের সুযোগও রয়েছে। এ ছাড়া ঘরের দাম ইতিমধ্যে অর্ধ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মইনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি ভবনের মালিকানা ও রেসপন্সিবিলিটি জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। আমি পরামর্শ দেবো, তা গ্রহণে অ্যাসোসিয়েশন এখনই পদক্ষেপ নেবেন এবং ভবনে জালালাবাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

যারা বিরোধ পছন্দ করেন, আগুনে ঘৃতাহুতি বা উস্কানী দেন, বিবাদ-বিসম্বাদকে জিইয়ে রাখেন- আপনারা তাদের পরিহার করুন। সমঝোতার জন্য চাপ দিন। এতে কমিউনিটির মঙ্গল। আমি জানি, বর্তমান সভাপতি বদরুল খান একজন ত্যাগী সাহসী নেতা। আশা করবো, সমঝোতার পথে তিনি সবার আগে থাকবেন এবং নেতৃত্ব দেবেন। তিনি বলেন, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জালালাবাদের ঐক্য সম্প্রীতিকে বাইরের মানুষ সম্মান করে, শ্রদ্ধা জানায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমীহও করে। এই সম্মান নষ্ট হতে দেয়া যায় না। বিভেদ-বিসম্বাদে জালালাবাদকে জর্জরিত করে যারা এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইবেন জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।

ফেস বুকে জালালাবাদ

আবু কাউসার ওরফে কাউসার সমীর

সাবেক সদস্য জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন

জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ভালো কিছু না করতে পারলেও অন্যের ভালো কাজের বিরোধিতা করতে অত্যন্ত পারদর্শী। তেমনি কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে ‘জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্কের একটি ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে।

প্রবাসে অন্যতম বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি সংগঠন হচ্ছে, ‘জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্ক।’ উত্তর আমেরিকার নিউইয়র্কে গঠিত এই সংগঠনটি আমাদের সিলেটবাসীর একটি প্রাণের সংগঠন। যুগের পর যুগ পার হয়ে যাচ্ছে নিউইয়র্কে এই সংগঠনটির কোনো নিজস্ব ভবন ছিল না। কারণ নিউইয়র্কে একটি ভবন বা বিল্ডিং ক্রয় করতে নগদ টাকা দিয়ে সম্ভব নয়। এছাড়া লোন নিয়ে ক্রয় করতে হলেও একটি নন-প্রোফিট সংগঠনকে কোনো ব্যাংকে লোন দিবে না।

অপরদিকে যতোটুকু জানি যে, সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি হেলাল চৌধুরী ও সেক্রেটারি মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজের নেতৃত্বে জালালাবাদের একটি ভবন ক্রয় করা হয়েছিল। কিন্তু আসল সমস্যাটা হলো যে, কিছু লোকে সেই কৃতিত্বের অংশে ভাগ বসাতে না পারায় বলে বেড়াচ্ছেন যে, সেই ভবন নাকি জালালাবাদের নামে নেই? আমি নিজেও জানি এই ভবন জালালাবাদের সংগঠনের নামে নেই। ইচ্ছা করলেই নিউইয়র্ক সিটিতে একটি নন-প্রোফিট সংগঠনের নামে লোন নিয়ে একটি ভবন ক্রয় করা সম্ভব নয়। তবে সিলেটের কৃতীসন্তান মঈনুল ইসলামের মহানুভবতায় আমরা ভবন পেয়েছি। লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলারের ঋণে আমরা জালালাবাদবাসী নিউইয়র্কে একটি ভবন পেয়েছি। আরো যতোটুকু শুনেছি, উনার কাঁধে এই পাহাড় পরিমাণ দায়িত্ব তুলে না নিলে এই ভবন ক্রয় করা সম্ভব হতো না। এছাড়া ভবনটি কেনার সুবিধায় তার নাম কিংবা তার কোম্পানির নাম ব্যবহার করলেও তিনি উপযুক্ত সাক্ষীদ্বয়ের সম্মুখে লিখিত পত্রের মাধ্যমে এই ভবনটি জালালাবাদের মালিকানা হিসেবে  যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকটে উপযুক্ত ডকুমেন্টের মাধ্যমে নিজেকে নন-মালিকানা হলফনামা প্রদান করেছেন। এমতাবস্থায় এই ভবনের মালিক জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্ক। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয়।

তারপরেও যারা বলবেন এটি জালালাবাদের ভবন নয়, আমি অনুরোধ করে বলবো দয়া করে আপনারা এই সংগঠনটিকে আর বিতর্কে জড়াবেন না। এই মহান সংগঠনের একজন সাবেক নির্বাহী সদস্য হিসেবে ভবন ক্রয়ের সকল কারিগরের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং মঈনুল ইসলামের মহান উদ্যোগের প্রতি স্যালুট প্রদান করছি।

ইমাম কাজী কাইয়্যুম

কমিটি, উপদেষ্টা, শোকজ এসব দিয়ে কি এতোদিনের যুক্তরাষ্ট্রস্থ সিলেটবাসীর বহু প্রতীক্ষিত একটি ‘জালালাবাদ ভবন’ বা এর বিকল্প কিছু পাওয়া যাবে? যেখান থেকে প্রবাসী জালালাবাদবাসীর কল্যাণে ও উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম ও কর্মসূচি শুরু করা যাবে? যদি তাই না হয় এবং আমাদের মধ্য থেকে কেউ কোনো সুন্দর প্রস্তাব যেভাবেই হোক নিয়ে আসে, তা গ্রহণ করা কি লজ্জার বিষয়, নাকি ৪০ বছরের পুরোনো সংগঠন জালালাবাদের কমিটি আছে, নির্বাচন আছে, নির্বাচন কমিশন আছে, অভিষেক অনুষ্ঠান আছে, পিকনিক আছে, ইফতার পার্টি আছে, বিভিন্ন শহরে শহরে গিয়ে মিষ্টি বিতরণ আছে, সদস্যদের মনোরম নিজস্ব বাসাবাড়ি বিদেশেও আছে, দেশেও আছে, আছে হাজার ডলার খরচ আছে, পিছু টানাটানি আছে, হুমকি-ধমকি আছে, দুজন-পাঁচজন-দশজনে বসে গোপন মিটিং আছে। কিন্তু সংগঠনের নিজস্ব একটি ঠিকানাও নেই? যে জন্য কম সদস্য সংখ্যা নিয়ে চট্টগ্রাম ভবন ও সিলেটবাসীর ভোটের জোয়ারে চলা বাংলাদেশ সোসাইটি যাদের নিজস্ব ভবন আছে, তাদের নিকট লজ্জায় মাথা নিচু হওয়া কি লজ্জাজনক নয়?

ফের বলছি, কমিটি, উপদেষ্টা, সংবিধান এসব সংগঠনের উন্নয়নের জন্যই প্রযোজ্য হবার কথা। যে কমিটি, যে উপদেষ্টা পরিষদ ও যে সংবিধান সমিতিকে এতোদিনে একটি প্রাইম লোকেশনে একটি নিজস্ব ঠিকানা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, সেসবের কথা বলে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভালো কোনো কাজে বাধা প্রদান কোনো বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয় না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক!

শেয়ার করুন