২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন


চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা শেষে মির্জা ফখরুল
‘খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৪-২০২৩
‘খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ’


গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগন যেভাবে কাজ করছে তা অব্যাহত রাখতে বলেছেন খালেদা জিয়া।


ঈদের দিন রাতে গুলশানের বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ বার্তা হচ্ছে এটা যে, দেশবাসী যেন ভালো থাকে তাদের মঙ্গলের জন্য। গণতন্ত্রের জন্য তারা যেভাবে কাজ করছে সেই কাজ যেন তারা করে সেটাই তিনি বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাদেরকে (সাংবাদিকদের) ঈদের শু্ভচ্ছো জানিয়েছেন এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জােিন্য়ছেন।”


রাত ৮টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির ৮ সদস্য গুলশানের ‘ফিরোজা‘য় খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে আসেন।


এক ঘন্টার অধিক সময় সাক্ষাত শেষে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বাসার বাইরে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।


তিনি বলেন, ‘‘ সৌজন্য এই সাক্ষাতে তিনি আমাদের কুশল জানতে চেয়েছেন এবং সমগ্র দলের যারা কারাগারে আছেন তাদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তাদের যে কষ্ট সে সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন।দেশের হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা সেগুলো সম্পর্কেও তিনি অবহিত আছেন। যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, অর্থনীতির অবস্থা যে দিন দিন খারাপ হচ্ছে সেই বিষয়গুলো তিনি অবহিত আছেন এবং একই সঙ্গে আবহাওয়া যে প্রচন্ড তাপদাহ গেলো এ বিষয়টাও উল্লেখ করে তিনি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৈর্শ্বিক জলবায়ুর যে পরিবর্তন হচ্ছে তা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।”


প্রায় এক বছর পর দলের চেয়ারপারসনের সাথে দেখা হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আপনারা জানেন যে, উনি কারাগারে যাওয়ার পর তার সঙ্গে সাক্ষাত আমাদের অনেক সীমিত ছিলো। তিনি বাসায় আসার পরে এই ঈদের দিনগুলোতে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই। আমাদের সঙ্গে আলোচনা অনেকদিন পর সেজন্য সবাই কিছুটা আবেগ আপ্লুত ছিলাম। আমরা আশা করি যে, আমরা খুব শিগগিরই তার সঙ্গে আরো ঘন ঘন সাক্ষাত হবে এবং সামনে বেরিয়ে আসবেন।”


‘খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ’


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ তিনি(খালেদা জিয়া) এখনো বেশ অসুস্থ, এখনো তার চিকিতসা চলছে। ডাক্তার সাহেবরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন।”


সন্ধ্যা ৮টায় মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। এক ঘন্টা তারা সেখানে ছিলেন।


‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে’ ‘ফিরোজা’র দোতলায় দলীয় প্রধানের সাথে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সর্বশেষ গত বছরের কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়ার দেখা পেয়েছিলেন এই নেতারা। দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয় বিএনপি প্রধানকে।


এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৭ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাত পান না। ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ নিকট স্বজনরা ফিরোজায় আসেন।


ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়াকে এবার ফিরোজায় ঈদ করেছেন। নাতনি, পূত্রবূধসহ ভাই-বোনদের নিয়ে দুপুরে দুপুরের খাবার খান খালেদা জিয়া।


শেয়ার করুন