২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


ইউনাইটেড হিন্দুসের সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ
হিন্দু নির্যাতন আমরা নীরবে মেনে নেবো না
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৪
হিন্দু নির্যাতন আমরা নীরবে মেনে নেবো না সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ


২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বিলটি পাস হলে ২০২১ সালের পুজোয় সন্ত্রাসী হামলা হতো না আর আজ আমাদের দুশ্চিতাগ্রস্ত থাকতে হতো না। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমাদের ভাইবোনদের (হিন্দুদের) নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে, সেটা আমরা নীরবে মেনে নেবো না। এটা ঠেকাতেই হবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভোট দিলেও হামলা এবং নির্যাতনের শিকার হয়, আর ভোট না দিলেও নির্যাতন এবং হামলার শিকার হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ওপর আবারও হামলা হতে পারে। যে কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড হিন্দুর অব ইউএসএ ইনকের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সুশীল সিনহার পরিচালনায় এবং সংগঠনের সভাপতি ভজন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের চিফ নিত্যানন্দ কিশোর, চেয়ারম্যান ডা. প্রভাব দাস, উপদেষ্টা শিতাংশু গুহ, ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাবতোষ মিত্র, ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়দেব গাইন, সাধারণ সম্পাদক রাম দাস ঘরামী, ডিরেক্টর মনিকা রায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভবতোষ মিত্র। সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের পর লিখিত বক্তব্যে ভবতোষ মিত্র বলেন, দেশে আরেকটি নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন উপলক্ষে দেশে যে অস্থিরতা বিরাজমান, এর সুযোগ নিয়ে ২০০১ সালের অক্টোবর কিংবা ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে বর্বর সহিংসতা চালানো হয়েছিল তার সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। দেশে এখন অগ্নিসন্ত্রাস চলছে। ট্রেনে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এমনকি একজন পুলিশ অফিসারকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিরোধীদল এবং তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচন বয়কট করে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হিন্দুরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাইলে তাদের ওপর ২০০১ সালের মত অত্যাচার চালানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। হিন্দুদের ওপর সম্ভাব্য সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ঠেকানো এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে দ্রুতগতিতে সেটা মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা যে প্রশাসনের নেই, সেটা আমরা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জানি। আমরা অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছি যে সেনাবাহিনী কিছুদিন অন্তত মাঠে থাকবে, কিন্তু আপনাদের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ-সব রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই যে, নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হোক এবং বিজিবি ও র‌্যাব বাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হোক।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডে হিন্দু নির্যাতনের ইতিহাস দীর্ঘদিনের এবং এর হোতারা একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী-তারা ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী, মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি, যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সহাবস্থানে বিশ্বাস করে না, নারী-পুরুষের সম-অধিকার, নারীর শিক্ষা ও কর্মের অধিকার, শিল্পকলা, সংগীত, গণতন্ত্র, অর্থাৎ আধুনিক মানব সমাজের যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন তার কিছুতেই বিশ্বাস করে না। ওই বর্বর গোষ্ঠী, ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর নোয়াখালী ম্যাসাকার করে দিয়ে এই ভূখণ্ডে হিন্দু নির্যাতনের সূত্রপাত করেছিল, তারপর ১৯৫০-এ ভৈরব ব্রিজ ম্যাসাকার, ১৯৬৪ সালের ম্যাসাকার, ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ, দেব-দেবীর মূর্তি ও দেবালয় ধ্বংস করেছিল তো বটেই, এমনকি সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশেও তারা তাদের সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতার ধারা বজায় রেখেছে। 

বাংলাদেশ আমলে ১৯৭২ সালের অক্টোবরে পূজামণ্ডপ ও দেবীর প্রতিমা ধ্বংস করা দিয়ে হিন্দু নির্যাতনের সূচনা করে বর্বররা। পরবর্তী সময়ে নিয়মিতভাবে হিন্দু নির্যাতন করে এসেছে অসংখ্যবার। রামু, নন্দীরহাট, নাসিরনগর, সুনামগঞ্জ, সাঁথিয়া, বোরহানউদ্দীর, ঠাকুরগাঁও প্রভৃতি জায়গার ঘটনা এবং ২০২১ সালের পুজোয় নানুয়ার দিঘীর পাড় থেকে শুরু করে দেশের ২২টি জেলায় যুগপৎ হিন্দু নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনা এর অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ বাঙালির প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম এবং অত্যাচারের মুখে ৯০ লাখ মানুষের দেশত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশেও হিন্দু নির্যাতনের এই নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে, সেটা ছিল অকল্পনীয়। অথচ বাস্তবে সেটাই ঘটে চলেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত একদিকে হিন্দুদের প্রতি প্রতিটি সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ আর অন্যদিকে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী, মৌলবাদী, ও উগ্রপন্থীদের মধ্যযুগীয় অত্যাচারের ফলে লাখ লাখ হিন্দু দেশত্যাগ করে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে ভারতে, যেখানে তারা অবৈধ, পরিচয়হীন মানুষ হিসেবে আত্মগোপন করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। বৈষম্যের উদাহরণ যদি জানতে চান তো ধরুন, ১৯৭২ সালে পাকিস্তান আমলের শত্রু সম্পত্তি আইনকে বহাল রেখে হিন্দুদের কাছ থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন একর জমি অধিগ্রহণ করে নিয়েছে সরকার। ১৯৭৪ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশন করা হয়েছে, কিন্তু হিন্দু ফাউন্ডেশন করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত রমনা কালীবাড়ি পুনর্নির্মাণে সাহায্য করা তো দূরের কথা সেখানে যুগের পর যুগ হিন্দুদের প্রবেশাধিকারও দেওয়া হয়নি। একইভাবে বর্তমানে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন, কিন্তু একটি মন্দিরও নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ সবাই মিলে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে আমাদের ভাইবোন ও বন্ধুবান্ধবদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছে। আর নির্যাতনে সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকার কথা যদি জানতে চান, তাহলে ধরুন, লোগাং ম্যাসাকারের কথা, বিএনপি সরকার তো সরাসরি বিডিআর পাঠিয়ে আবাদিদের সঙ্গে মিলে ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রামে লোগাংয়ে আদিবাসীদের গণহত্যা করে পুরো গ্রামটিকে বুলডোজার দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল, যে ঘটনার নিন্দা করে ১৭ জন ইউএস কংগ্রেসম্যান সে বছরের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন। আর ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে জেতার পর বিএনপি এবং জামায়াত যৌথভাবে একরাতে ভোলার চর ফ্যাশনে এক স্পটে ২০০ হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল (Mohammad Badrul Ahsan, Editorial Page, The Daily Star, November 16, 2001)। সেই সময় ধর্ষিতাদের মধ্যে হিন্দু মেয়ের হার ছিল ৯৭ শতাংশ (দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২)। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হিন্দুপ্রধান গ্রামগুলো আগুনে পুড়িয়ে হিন্দুদের উচ্ছেদ করেছিল, যা গার্ডিয়ান পত্রিকা রিপোর্ট করেছিল। সন্ত্রাসীরা বাঁশখালীতে শীল পরিবারের ১১ জনকে জ্যান্ত পুড়ে মেরেছিল (The Bangladesh Observer, Nov. 20, 2003) বলতে গেলে পুলিশের চোখের সামনে সেসব হৃদয়বিদারক ঘটনা ডেইল স্টার, জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ, বাংলাদেশ অবজারভার, দি ইকনোমিস্ট প্রভৃতি পত্রিকায় তখন নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। 

তিনি আরো বলেন, অত্যাচারের মুখে দেশত্যাগ এবং ছলেবলে ধর্মান্তরিত করার ফলে দেশে হিন্দুর সংখ্যা যেখানে ১৯৯৮ সালে ছিল মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ (The World Fact Book 2010. CIA), সেখানে বর্তমানে সেটা নেমে এসছে ৭.৯৫ শতাংশে (বাংলাদেশ সেন্সাস রিপোর্ট, ২০২২)। আর পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের হার যে স্থলে ব্রিটিশ আমলে ছিল ৯৮ শতাংশ, বর্তমানে সেটা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। প্রফেসর আবুল বারাকাতের ভবিষ্যদ্বাণী হলো- ‘ত্রিশ বছর পর বাংলাদেশে কোনো হিন্দু থাকবে না (ঢাকা ট্রিবিউন, ২০ নভেম্বর ২০১৬)’। পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু সংখ্যালঘু মুসলমানদের জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্বের হারের গ্রাফটা আমাদের ঠিক বিপরীত। বাংলাদেশে হিন্দুদের বিলুপ্তি ঠেকাতে হলে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে দমন করতে হবে। আওয়ামী লীগ তার ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ওয়াদা করেছিল, নির্বাচনে জিতলে তারা একটি সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করবে এবং একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস করবে, কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে সেই প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা করেননি। ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে একই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বিলটি পাস করা হলে ২০২১ সালের পুজোয় সন্ত্রাসী হামলা হতো না আর আজ আমাদের এমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকতে হতো না। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমাদের ভাইবোনদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে, সেটা আমরা নীরবে মেনে নেবো না। এটা ঠেকাতেই হবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আমরা ইউনাইটেড হিন্দুস্ অব ইউএসএ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর নিম্নোল্লিখিত সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য পেশ করছি, আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে হিন্দুদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ২) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে প্রয়োজনে পুলিশ-বিডিআর এবং সামরিক বাহিনী নিযুক্ত করতে হবে। ৩) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বুলেটিন রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার করতে হবে। ৪) ধর্ম অবমাননার নামে হিন্দুদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্ট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ৫) যুক্তরাষ্ট্রের মতো হেইট ক্রাইম ও স্পিচ আইন অন্তর্ভুক্ত করে একটি কঠোর সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস করে অবিলম্বে জজ সাহাবুদ্দীন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৬) অবিলম্বে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার এ সংগ্রামে আমরা আপনাদের পাশে পাবো বলে আশা করছি। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

শেয়ার করুন