২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৫:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


মির্জা ফখরুল বললেন
দুঃশাসনের কারণেই গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
দুঃশাসনের কারণেই গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


সরকারের দুঃশাসনের কারণেই বাংলাদেশের ওপরে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের নানা চাপ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্যে তারা (সরকার) বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মানুষের যে আকাংখা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ তার সব কিছু তারা চুরমার করে দিয়েছে। যার ফলে কি হয়েছে আমরা সব জানি। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়-এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের কথা নয়, লজ্জার কথা যে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আজকে আমাদের ওপরে আরেকটা দেশ থেকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেনো? কারণ এই আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার আজকে দেশকে এমন জায়গা নিয়ে গেছে তাদের দু:শাসনের কারণে, তাদের দুর্বৃত্তায়নের কারণে, তাদের লুটের কারণে যে আজকে একটা এই ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্রে ফিরে আসার আর কোনো পথ আন্তজাতিক ভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্ব দেখতে পারছে না।

 জনগণকে জাগিয়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন একমাত্র একটাই পথ আবার জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে, যেভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব জাগিয়ে তুলেছিলেন মানুষকে যুদ্ধের জন্যে, যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যেভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রামে-গঞ্জে চারণ কবির মতো গান গেয়ে মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামিয়েছিলেন। আজকে সেই একইভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বিদেশ থেকে যিনি ১০ দফা দিয়েছেন, ২৭ দফা দিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সেই দাবিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রকে এখানে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাকে এখানে প্রাতিষ্ঠিক রূপ দেয়ার জন্য গনতন্ত্র মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে-এই শাহাদাত বার্ষিকীকে এই হোক শপথ।

বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনে জিয়াউর রহমানের দর্শন তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, তার যে আরাধ্য ছিলো, তিনি যে চেয়েছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন যে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবেন এবং সেজন্যে শত শত মানুষ প্রাণ দিয়েছে। আজকে শত মানুষ গুম হয়ে গেছে, ৪০ লক্ষ মানুষ মিথ্যা মামলায় ভুগছে। আজকে সকলের স্বার্থে আমাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করে গণতন্ত্র ফেরানোর যুদ্ধে, এই সংগ্রামে  জয়ী হতে হবে। গুলশানে হোটেল লেকশোরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই সেমিনার হয় গত ৫ জুন সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান।

দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক লুতফর রহমান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, মজিবুর রহমান সারোয়ার, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, এবিএএম আশরাফ উদ্দিন নিজাম, আফরোজা আব্বাস, নেওয়াজ হালিমা আর্লী, রেহানা আখতার রানু, হেলেন জেরিন খান, রিয়াজ উদ্দিন নসু, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, মীর হেলাল উদ্দিন, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান শিমুল, হায়দার আলী লেলিন, আতিকুর রহমান রুমন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন