০১ মে ২০১২, বুধবার, ০৮:৪৬:২৩ অপরাহ্ন


ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
দেশ রিপোর্টে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বনভোজনে পুরস্কার বিতরণ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজন ও মিলনমেলা গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলভূমি ওয়ানটাগা পার্কে অনুষ্ঠিত এই বনভোজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ সাবেক ছাত্রছাত্রীর পদচারণায় বনভোজনস্থল হয়ে ওঠে এক টুকরো মিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃষ্টিভেজা আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল ১০টা থেকেই সাবেক অ্যালামনাইরা বনভোজনস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। 

সংগঠনের সভাপতি সাঈদা আকতার লিলির উদ্বোধনী বক্তৃতার পর পরই সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসউদ্দীনের নেতৃত্বে শুরু হয় সকালের নাশতা পরিবেশন। তাকে সহযোগিতা করেন বনভোজন উপকমিটির আহ্বায়ক রুহুল আমীন সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইউসুফ আলী ও সদস্যসচিব লিয়াকত আলী।

সাকালের নাশতার পর শুরু হয় খেলাধুলা। বিপুলসংখ্যক অ্যালামনাই ও তাদের পরিবারের সদস্য ও ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণে বনভোজনের খেলার মাঠ হয়ে ওঠে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম।

খেলাধুলার পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গোলাম মোস্তফা, তাজুল ইসলাম ও এমএস আলম। তাদেও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন রুহুল সরকার, মো. ইউসুফ ও লিয়াকত আলী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাইদা আকতার লিলি ও গাজী সামসউদ্দীন।

খেলাধুলার পরপরই পরিবেশন কারা হয় মধ্যহ্নভোজ। জ্যামাইকার সাগর রেস্টুরেন্টের মুখরোচক খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ অ্যালামনাই, তাদের পবিারের সদস্যরাও সম্মানিত অতিথিবৃন্দ চরম তৃপ্তির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

এরপর শুরু হয় স্মৃতিচারণ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের শুভেচ্ছা বক্তৃতা। সভাপতি সাঈদা আকতার লিলির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসউদ্দীনের পরিচালনায় স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এভাবে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান।

আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূপুর চৌধুরী ও গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান পরিবেশন করেন রওশন আরা কাজল, ফকরুল আলম ও অন্য শিল্পীরা।

অবশেষে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ ও র‌্যাফেল ড্র। এ পর্বটি পরিচালনা করেন রুহুল আমীন সরকার, ইউসুফ আলী ও লিয়াকত আলী। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কার্যকরি সম্পাদক গাজী সামসউদ্দীন, মোল্ল সুনিরুজ্জামান, তাজুল ইসলাম, স্বপন বড়ুয়া, হানিফ মজুমদার, আজাহার আলী খান, এমএস আলম, সাইফুল ইসলাম, হারুন অর রশীদ, ডা. চৌধুরী সারোয়ারল হাসান, ফখরুল আলম, একে আজাদ তালুকদার ও অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী পুরস্কার বিতরণের পরপরই শুরু হয় র‌্যাফেল ড্র এবং সঙ্গে সঙ্গে পুরস্কার অনুষ্ঠানে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। তেরোটি র‌্যাফেল ড্রর পুরস্কারের মধ্যে আকর্ষণী পুরস্কার ছিল অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর দেওয়া নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউয়র্ক এয়ার টিকেট। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হলেন জাহাঙ্গীর আলী। 

গোলাম মোস্তফার উপস্থাপনায় ধীরে ধীরে র‌্যাফেল ড্রর ১৩ বিজয়ীদের মধ্যে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। র‌্যাফেল ড্রর পুরস্কার যারা স্পন্সর করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, গিয়াস আহমেদ, তৈয়বুর রহমান হারুন, আজাহারুল আলী খান, হানিফ মজুমদার, খলিলুর রহমান, পরিধান, একে আজাদ তালুকদার, মোহাম্মদ আলম জঙ্গী, সৈয়দ মিজান রহমান, তিতাস সুপার মার্কেট। সন্ধ্যায় সভাপতি সাঈদা আকতার লিলি উপস্থিত সব অ্যালামনাই, তাদের পরিবারবর্গ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন