২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১১:২২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


সকালে আটকের পর রাতে আদালতে তোলা হয় বিএনপি মহাসচিবকে
কারাগারে মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৩
কারাগারে মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ/ ছবি সংগৃহীত


কারাগারে পাঠানো হলো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে সকালে তার গুলশানস্থ বাসা থেকে আটক করার পর ডিবিতে নেয়া হয় মির্জা ফখরুলকে। সেখান থেকে রোববার রাতে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।


এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর খান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মির্জা ফখরুল আটক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গে্ছে। সকাল সাড়ে ৯টায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে সাদা মাক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম।

তিনি বলেন, ‘‘ এভাবে নিয়ে যাওয়া … আমার বলার কোনো ভাষা নাই। সিমপ্লিফাইড লোক, তিনি অসুস্থ, প্রচন্ড অসুস্থ … এটা বাইরের কেউ বুঝবেন না। এই সময়ে তাকে এই অসুস্থ অবস্থায়…প্রচন্ড কাঁশি, তার ফুসফুসের সমস্যা… বাংলাদেশে ট্রিটটমেন্ট করেন, সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন।”

‘‘ কিন্তু এভাবে যে তাকে নিয়ে যাবে এটা আামি কল্পনা করতে পারি নাই, আমি মেনে নিতেই পারছি না। আমি আশা করবো যতটা সম্ভব তাদের কথা বার্তা যা আছে সেগুলো সেরে তাকে আবার ফেরত নিয়ে আসবেন।আমি আশা করবো তাদের কাছ থেকে… এইটুকু অন্তুত আশা করতে পারি। তার যে অসুস্থতা সেখানে তার থাকার কথা না।”

কোথায় নিয়ে গেছে বলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘‘ না কিছু বলেনি। ডিবির লোকও ছিলো, পুলিশও ছিলো।”

রাহাত আরা স্বামীর গ্রেফতারের পূর্ব সময়টা তুলে ধরে বলেন, ‘‘ ওরা সকালে আসলো ওই সময় আমরা চা খাচ্ছিলাম। এসে প্রথমে বললো যে, স্যার আপনার সাথে কথা বলব। কিছু কথা-বার্তা বলে নিচে চলে গে্লো । বললো যে, স্যার আপনার সাথে কথা বলার জন্য আসছিলাম। যাওয়ার সময়ে তারা বাসায় ভেতরে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস এবং এই এপার্টমেন্টে নিচের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে গেছে।”

‘‘ আমার যতটুকু ধারণা তারা নিচেই ছিলো। ১০ মিনিট পরে আবার আসলো যে, স্যার আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। যা বলে প্রত্যেকবার …স্যার উপরের অর্ডার আছে ।”

গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ‘দিলরুবা’ এপার্টমেন্টে দ্বিতীয় তলায় একটি বাসায় বিএনপি মহাসচিব থাকেন। স্ত্রী চিকিতসার জন্য উত্তরার ভাড়া বাসা পরিবর্তন করে গুলশানে আসেন।

গোয়েন্দা পুলিশ দল তুলে নেয়ার সময়ে বাসায় তার একান্ত সহকারি ইউনুস মিয়া ও একজন গৃহকর্মী ছিলেন। তুলে নেয়ার একটা আগ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ দল গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে।

এদিকে গত রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গুলশানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাসায় পুলিশ অভিযান চালায় বলে তাদের পরিবার জানিয়েছে।ওই সময় তারা বাসায় ছিলেন না। তবে আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ছেলে তাজওয়ার এম আউয়াল গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বাসা থেকে।

রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

শেয়ার করুন