২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:০৭:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ নিবে যুক্তরাষ্ট্র
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ নিবে যুক্তরাষ্ট্র


বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনে হলে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গত ৩০ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং সহিংসতার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মিলার বলেন, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সকলের দায়িত্ব। ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া-এটা সকলের দায়িত্ব। বিরোধীদলের সমাবেশে হামলা এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে ছিল- “বাংলাদেশে বিরোধীদলের সমাবেশে হামলা এবং সহিংসতা নিয়ে আপনার (স্টেড ডিপার্টমেন্ট) বিবৃতিটি লক্ষ্য করেছি। পুলিশ অনেকটা পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে। তারা সমাবেশের পূর্বে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির শতশত নেতাকর্মীকে আটক করেছে, আটক থেকে বাদ পড়েনি বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। বিরোধী নেতাকর্মীদের দেশজুড়ে বিরুদ্ধে শত শত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে?”

এর উত্তরে মিলার বলেন, “২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংগঠিত রাজনৈতিক সহিংসতায় আমরা নিন্দা জানাই। পুলিশ সদস্য এবং রাজনৈতিক কর্মীর নিহত হওয়া, হাসপাতাল ও বাসে আগুন দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। একইভাবে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। আমরা কর্তৃপক্ষকে আহবান জানাই তারা যেনো ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সকলের দায়িত্ব। ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া-এটা সকলের দায়িত্ব।”

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নে মিলার বলেন, “আমাদের কূটনীতিকদের বিস্তৃত পরিসরে যোগোযোগ করতে হয়, যেমন সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে হয়। এটা তাদের নিয়মিত কাজের অংশ এবং কূটনীতিকরা তাদের এই কাজ অব্যাহত  রাখবেন।”

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা বিভিন্ন সংগঠন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, “আমি বাংলাদেশ নিয়ে এর আগে করা প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছি সেটা এক্ষেত্রেও কার্যকর। আমরা এটা স্পষ্ট করে বলেছি যে- বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে প্রয়োজনে হলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ নেবো। যা আমি পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে এই  মুহূর্তে পর্যালোচনা করছি না।”

শেয়ার করুন