২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:৬:২০ পূর্বাহ্ন


মুসলিম ছাত্রদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে জর্জিয়ার ডবিন্স মিডল স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৪
মুসলিম ছাত্রদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে জর্জিয়ার ডবিন্স মিডল স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ডবিন্স মিডল স্কুল


কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার-জর্জিয়া) গত ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার ডবিন্স মিডল স্কুলের বিরুদ্ধে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনে টাইটেল সিক্স নাগরিক অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছে। গত বছরের ১৫ নভেম্বর, ২০২৩এ, ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ছাত্রকে স্কুলের একজন কাউন্সিলর ক্লাস থেকে বের করে দেয়। বের করে দেওয়ার সময় তাকে বলা হয়েছিল সে যে স্কার্ফটি পড়েছে তাতে ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করা হয়। এই বিষয়টি ঐ ছাত্রীর কাছে ’আপত্তিকর’ মনে হয়েছে। পলডিং কাউন্টি স্কুলের নিয়ম বা ড্রেস কোডের কোনও লঙ্ঘন না হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীটিকে আলাদা করে স্কার্ফ সরাতে বলা হয়েছিল। ছাত্রীটি তার ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যের জন্য লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, এর ফলে সে বিব্রত, উদ্বিগ্ন এবং লজ্জিত বোধ করেছেন। ডবিন্স মিডল স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ডক্টর ব্রয়লস কর্তৃক একজন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ছাত্রের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং অন্যায় আচরণের জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার পরদিন ছাত্রীর মা কথা বলেন প্রিন্সিপাল ব্রয়লসের সঙ্গে। সহকারী প্রিন্সিপাল রনেটা সিম্পসন এবং চীফ কাউন্সিলর কোর্টনি জেমস সত্য বলা সত্ত্বেও প্রিন্সিপাল ব্রয়লস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি স্কার্ফ সরানোর নির্দেশ দেননি। কেয়ার -জর্জিয়া ৩০ নভেম্বর, ২০২৩-এ ছাত্রীর পক্ষে প্রিন্সিপাল ব্রয়লসকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যাতে তাকে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাননি। সেই সঙ্গে তিনি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

কেওন গ্রান্ট, কেয়ার -জর্জিয়া স্টাফ অ্যাটর্নি বলেছেন, আমরা ইসলামফোবিক, আরব-বিরোধী, এবং ফিলিস্তিন-বিরোধী ঘটনার রিপোর্টে ব্যাপকভাবেপেতে বৃদ্ধি দেখেছি। রাজ্যের বিভিন্ন পাবলিক স্কুল থেকে অনেক রিপোর্ট এসেছে। যদিও আমরা প্রাথমিকভাবে বৈষম্য মোকাবেলা করার জন্য এই স্কুলগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু স্কুলের অসহযোগিতার কারণে আমরা ব্যর্থ হই। যার ফলে আমরা আমরা টাইটেল সিক্সথ অভিযোগ দাখিল করি। এর ফলে শুধুমাত্র আমাদের ক্লায়েন্টদেরই সাহায্য করবে না, সেই সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও রক্ষা করবে, যারা অন্যান্য স্কুলে অনুরূপ আচরণের সম্মুখীন হতে পারে। সারা দেশের স্কুলগুলোতেও মুসলিম ছাত্রদের সঙ্গে একই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে কেয়ার জানিয়েছে।

শেয়ার করুন