২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:১৩:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


কেউ দেখছে দিবাস্বপ্ন
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৪
কেউ দেখছে দিবাস্বপ্ন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ


মাঠের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ নির্বিঘ্নেই হয়ে যাবে। প্রধান বিরোধীদল নানা অজুহাতে নির্বাচন বর্জন করে শাসক দল আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখন সর্বাধিক স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে একটানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের কোনো বাধা নেই।

অন্য কোথায় কেমন জানি না ঢাকা-১৮ আসনে কিন্তু নির্বাচন জমে উঠেছে। পোস্টারে ছেয়ে গেছে চারিদিক। মাইকিং হচ্ছে দুপুর থেকে রাত। জনগণের মধ্যেও আলোচনা আছে। বিশেষ করে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে মুখিয়ে। অধিকাংশের ধারণা নির্বাচন বর্জন করে সঠিক কাজটি করেনি বিএনপি। আর এই সুযোগে নানা অজুহাতে বিএনপির শীর্ষস্থানীয়সহ নানা স্তরের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নানাভাবে নানা মানুষ সন্ত্রাসমূলক কাজ করছে। একচেটিয়াভাবে দোষ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। সরকারি দলের কৌশলের ফাঁদে ধরা পড়েছে বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো। 

পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, বিরোধীদলগুলো এখনো বিশ্বাস করে, নির্বাচন শেষে বিদেশি প্রভুরা সরকারকে অপসারণ কওে, তাদের ক্ষমতায় বসাবে। বাস্তবতার ভিত্তিতে অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায়, নির্বাচিত সরকার ভারত, চীন ও রাশিয়াসহ বেশকিছু দেশের সমর্থন পাবে। কালক্রমে বিভিন্ন কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায় করে নেবে নতুন সরকার। ১৫ বছর ক্ষমতায় না থাকা বিএনপির তৃণমূল হতাশ হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। নির্বাচনে আসলে ৬০-৭০ আসনে জয় সম্ভব ছিল। এবারের নির্বাচনে ঢালাও কারচুপির সুযোগ ছিল না। 

ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশের প্রয়োজন। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই তীব্র অর্থনৈতিক সংকট, অনিশ্চিত জ্বালানি নিরাপত্তা সামাল দিতে হিমশিম খাবে বাংলাদেশ। তবে এটিও মানতে হবে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সাহসী কিছু পদক্ষেপ নিয়ে শেখ হাসিনাই পারবে পরিস্থিতি সামাল দিতে। সরকারকে অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে নিজেদের দল থেকেই শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। আমলাদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ লাঘব করে যোগ্য ব্যক্তিদের উপযুক্ত স্থানে পদায়ন করে কাজের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। দেশ হতে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ সম্পদ ফিরিয়ে আনার বাস্তব সম্মত ব্যবস্থা নিতে হবে। মন্ত্রিসভা থেকে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জানি না, একটি আগ্রাসী প্রতিবেশী দেশের প্রভাব কাটিয়ে কতটা স্বাধীনভাবে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারে। আশা করি, স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি হিসেবে সরকার নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। সব কাজে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে। ঘুণে ধরা শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে সত্যিকার শিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তুলবে। ২০২৪-২০২৮ বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। হেলাখেলা করে সুযোগ হারালে বাংলাদেশ, কিন্তু সংকটের গিরিখাদে হারিয়ে যাবে। কেউ কেউ দেখছে দিবাস্বপ্ন। কিন্তু আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এমন স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। বিদেশি কোনো শক্তি কখনোই নির্বাচিত নতুন সরকারকে পরিবর্তন করতে পারবে না।

শেয়ার করুন