২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:১১:৪৯ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য দিলেন বিচারক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০২-২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য দিলেন বিচারক


ফরিদপুরে ডাকাতির অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন বিচারক হারুন অর রশিদ। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম। 

হারুন অর রশিদ ২০০৯-২০১০ সালে ফরিদপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি নগরকান্দা ও মধুখালী থানার দুটি ডাকাতির মামলায় ১৬৪ ধারায় দুই আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। ওই দুই আসামির আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ মারধরের ভয়ভীতি দেখিয়ে জবানবন্দি আদায় করেছে এবং তা বিধি মোতাবেক হয়নি। তাদের মক্কেলরা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত নন।

বিচারক হারুন অর রশিদ বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন। বর্তমানে ওই মামলা দুটি ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় শিহাবুল ইসলামের আদালতে চলমান রয়েছে।

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সানোয়ার হোসেন বলেন, আসামিপক্ষের দুই আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারকের সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে হারুন অর রশিদ বিদেশে রয়েছেন। কীভাবে তার সাক্ষ্য নেওয়া যায়, সেজন্য আইন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সানোয়ার হোসেন আরো বলেন, হারুন অর রশিদ দেশে ফিরে এসে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হলে আরো দুই থেকে তিন বছর সময় বেশি লাগতো। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হতো। তার জানামতে, অন্য কোনো মামলায় বিদেশে অবস্থানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্য ভার্চুয়ালি নেওয়ার ঘটনা দেশে এই প্রথম।

এ প্রেক্ষাপটে ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতে হারুন অর রশিদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ সময় আসামিপক্ষের দুই আইনজীবী বলেন, ‘আপনি (বিচারক হারুন অর রশিদ) স্বীকার করেন বা না করেন, আমাদের আসামিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মারধরের ভয় দেখিয়ে অসত্য তথ্য প্রদান করিয়েছে বা এ তথ্য স্বেচ্ছাপ্রণোদিত এবং সত্য নয়, যা বিধিমোতাবেক হয়নি।’

উত্তরে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘প্রত্যেক আসামিকেই দুইজন কনস্টেবলসহ আমার কাছে আনা হয়। তাদের শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মানসিকভাবে তারা বিমর্ষ ছিলেন বলে মনে হয়নি। তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি পড়িয়ে শুনিয়ে পরে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।’

শেয়ার করুন