৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:০১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


‘ড. ইউনূস নিয়ে পিটার হাসের মন্তব্য যথাযথ’
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২৪
‘ড. ইউনূস নিয়ে পিটার হাসের মন্তব্য যথাযথ’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস


নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে সমর্থন জানিয়ে কথা বলায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী যে দাবি জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে স্টেড ডিপার্টমেন্টের মুখমাত্র ডেভিড মিলার বলেন, সোজা কথায় বলতে গেলে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ড. ইউনূস প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন সেটা তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একজন শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে নিজ দেশের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেছেন। 

রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, ‘নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করে কথা বলায় বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। আপনি জানেন যে, সরকার রাজনৈতিক কারণে ইউনূসকে হয়রানি করছে এবং সরকারের এরকম আচরণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রমাগত প্রতিবাদ জানিয়ে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?’

জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আপনি যে মন্তব্যের কথা বলেছেন (পিটার হাসের মন্তব্য) এবং প্রশ্ন করেছেন সে বিষয়ে, অর্থাৎ মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো নিয়ে আমাদের উদ্বেগের জায়গাগুলো নিয়ে এর আগেও কথা বলেছি। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশে প্রয়োগ করা আইনের মাধ্যমে হয়রানি, হুমকি এবং ভীতি প্রদর্শনে এসব আইনের অপব্যবহার হতে পারে। সোজা কথায় বলতে গেলে, পিটার হাস ড. ইউনূস প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন সেটা তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একজন শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে নিজ দেশের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেছেন।

অপর এক প্রশ্ন ছিল ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি প্রসঙ্গে। জবাবে মিলার বলেন, “এমন কর্মসূচির প্রচারণার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। একজন ক্রেতা কী সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটা নিয়ে স্পষ্টতই আমি কোনো মন্তব্য করবোনা, সেটা বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের যেকোনো দেশের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ এবং ভারত উভয়ের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মূল্যায়ন করি। একটি মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।”

কী লিখেছিল পিটার হাস 

এর আগে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মাদ ইউনুসকে নিজ বাসায় দাওয়াত করে আপ্যায়ন করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করে। সেখানে পিটার হাস লেখেন, ড. ইউনুস এবং মিসেস বেগমের আতিথেয়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তাদের কাজ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসার ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি আরও লেখেন, ড. ইউনুস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। 

উল্লেখ্য, ড. ইউনূস মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আয়োজিত এক নৈশভোজে অংশ নেন। এর পর থেকেই এ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। যদিও ইউনূস সেন্টার থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রধান চিফ টেকনোলজি অফিসার গ্রেগ নেলসনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত হাস এই বৈঠকের আয়োজন করেন।

শেয়ার করুন