বাম গণতান্ত্রিক জোটের দাবী
সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৬-২০২২
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন,সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় এক বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। দুই জেলার প্রায় সকল রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসাকেন্দ্র, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক পথে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তলিয়ে যাওয়ায় দুই জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। মুঠোফোন সংযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। কার্যত পুরো জেলা এখন সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার ও আবাসনের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
আজ বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ,
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে এদাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রতি বছর উজানের পানির ঢল সিলেট ও সুনামগঞ্জের নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। কিন্তু সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, উন্নয়নের নামে হাওর অঞ্চলে অপরিকল্পিত সড়ক, বাঁধ ও কালভার্ট নির্মাণের ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করছে। এর দায় ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার সরকার এড়াতে পারে না। বন্যা কবলিত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা, খাদ্য সহ পানীয় জলের ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করার জন্য সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানাচ্ছি।
এছাড়া নেত্রকোণার কমলকান্দা, দুর্গাপুর খালিয়াজুড়ি, নেত্রকোণা সদর সহ জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ পাহাড়ী ঢল ও মৌসুমী বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দাবী জানানো হচ্ছে।
শেয়ার করুন