০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৫২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন শ্যাংসন নিয়ে আশঙ্কা আতঙ্কের কারণ নেই
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২২
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন শ্যাংসন নিয়ে আশঙ্কা আতঙ্কের কারণ নেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন


‘আমেরিকা বিভিন্ন দেশের উপর যেমন যাদের উপর চাপ তৈরি করতে চায়, তাদের উপর শ্যাংসন ট্যাংশন দিয়ে দেয়। আবার মনে আছে না মোদীর (ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী) উপর শ্যাংসন দিল, সেটা আবার তুলেও নিল। সুতারং আমেরিকা হাজার হাজার শ্যাংসন দেয়। বড় লোকরা হাজার হাজার শ্যাংসন দেয়। এগুলো একদিকে আসে, আরেক দিকে যায়।’- কথাগুলো বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এসব (আমেরিকার শ্যাংসন) নিয়ে মোটেও ভাবিনা। আমাদের সাথে আমেরিকার সাথে অনেক ভাল সম্পর্ক। আমাদের সাথে আমেরিকার সঙ্গে অনেক এনগেজমেন্ট। এ বছরই আমরা আট- আটটা ১৬টা মিটিং করেছি। আমাদের সাথে সম্পর্ক ভাল বলেই তারা বিভিন্ন রকম সাজেশন দেয়। আপনার (সামনের এক সাংবাদিককে দেখিয়ে) সাথে আমার সাথে ভাল সম্পর্ক থাকলে, আপনি আমাকেও সাজেশন দিবেন। তারা আমাদেরকে সাজেশন দেয়। দিস ইজ গুড। কারো আতংকের কারণ নেই। আশংকারও কারণ নেই।’

প্রশ্ন ছিল- নতুন করে শ্যাংসন আসতে পারে কি-না? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, ‘কোনো আশংকার কারণ নেই।’ 

নতুন করে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের ভ্রমন সতর্কতা দিয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা সে দেশের নাগরিকদের জন্য। কারণ ওদের লোক যদি এ দেশে আসে, তারা যদি আহত হয়, তাদের দায় দায়িত্ব এ্যাম্বেসী যদি নিতে না চায় এটা তো নাথিং রং।’ 

বিএনপির ২৭ দফা ভাওতাবাজি 

বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তাঁর মতে বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাঁওতাবাজি। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএসবিস) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিএনপির ২৭ দফা প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে দেশে হত্যা, গুম, খুন হয়েছে। তখন ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৫৫ জন মানুষ মারা হয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের ওপর বোমা হামলা হয়, তিনি তখন প্রাণে বাঁচলেও অনেকেই মারা যান। সে কারণে বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাঁওতাবাজি। এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়। যারা সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারা কীভাবে মানবাধিকারের কথা বলে? ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়। এমনকি আদালতের জজ সাহেবও শান্তিতে থাকতে পারেননি।’ মোমেন বলেন, ‘তাঁদের আগে সামাল দেওয়া দরকার। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা নাকি এখন সব ঠিক করে দেবেন। এটি হাস্যকর।’

বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা হয় এবং ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয় জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা একটি শোভাযাত্রা করেন নিজের অফিসের সামনে। সেখানে গ্রেনেড হামলা হয়, ২৪ জন মারা যান এবং ৩৭০ জন জীবনের তরে পঙ্গু হয়ে যান।’ 

তিনি বলেন, ‘ওদেরকে মানুষ ভয় করে। কারণ দেখলেন না ওরা কিছু সভা করলো। কিন্তু বাসমালিকরা নিজ থেকেই বাস বন্ধ করে দিল। সরকার তাদের বলেনি। কারণ বাস মালিকরা ভয় পায় ওদের। যদি নিজেদের সম্পদ জ্বালাইয়া দেয়। লোকরা গাড়ি বের করে না ভয়ে। ওই যে একটা কথা আছে না, ন্যাড়া একবারই যায় বেলতলা। ওরা যতই বলুক মানুষ ওদের আর গ্রহণ করবে না।’ 

শেয়ার করুন