০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মুনার ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে বক্তারা
দুনিয়ার জান্নাত হচ্ছে আল্লাহর ঘর মসজিদ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
দুনিয়ার জান্নাত হচ্ছে আল্লাহর ঘর মসজিদ বক্তব্য রাখছেন মোমিন মজুমদার


মুনা সেন্টার অব জ্যাকসন হাইটসের ফান্ড রেইজিং ডিনার অনুষ্ঠিত হয় গত ৪ নভেম্বর বাদ মাগরিক মুনার জ্যাকসন হাইটস সেনটারে। মসজিদের সভাপতি মোমিন মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কায়কোবাদ কবীর এবং কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ফান্ড রেইজিং ডিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুনার সাবেক এক্সিজিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুনা নর্থ জোনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আতাউল এইচ ওসমানী, মাদানী মসজিদের প্রেসিডেন্ট গোলাম সরোয়ার, মুনা নর্থ জোনের অফিস সম্পাদক দিদারুল আলম ও মুনা এস্টোরিয়া চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট আব্দুস সবুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন প্রথমে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণ করেন এবং আল্লাহ যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন সেই দোয়া করেন। তিনি কোরআন এবং হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এই দুনিয়ার জান্নাত হচ্ছে আল্লাহর ঘর মসজিদ। আর এই মসজিদ নির্মাণে এবং রক্ষণাবেক্ষণায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখবেন এই দান খয়রাতই আমাদের সঙ্গে যাবে। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত। মৃত্যুর সময় আমরা বাড়ি, গাড়ি, অর্থকিছুই নিয়ে যেতে পারবো না, আমাদের সঙ্গে যাবে শুধু ভালো কাজের ফল, দান খয়রাতের অংশ, সেই সঙ্গে আমল। আর যদি মসজিদে নির্মাণ করি বা রক্ষণা-বেক্ষণে অংশগ্রহণ করি। তিনি উদহারণ টেনে বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনা গিয়ে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। সেই মসজিদের নাম হচ্ছে মসজিদে নববি। এই মসজিদ মাটি ও খেজুরের পাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই মসজিদ যারা বানিয়েছেন তারা এখন নেই। কিন্তু বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন এবং দোয়া করেন। যারা মসজিদ তৈরি করেছেন তারা দোয়া পাচ্ছে এবং দুনিয়া ধ্বংস পওয়া পর্যন্ত দোয়া পাবেন। সুতরাং আমাদের আল্লাহর ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা উচিত। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে জ্যাকসন হাইটসে এই মসজিদ হবে সবচেয়ে বড় মসজিদ। তিনি আরো বলেন, এই প্রবাসে আমরা দেখি একটি আঞ্চলিক সংগঠনের নির্বাচনে ২/৩ লাখ ডলার খরচ করি। তারা কেন অর্থ খরচ করছেন? সম্মান পাওয়ার জন্য। আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন মসজিদ নির্মাণ করলে সম্মান পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তিন ধরনের কাজ করলে তিনি তাদের মাফ করে দেবেন। এই তিনটি কাজ হচ্ছে-উত্তমভাবে অজু করা, ২. বেশি বেশি মসজিদে যাওয়া এবং এক ওয়াক্ত নামাজের পর আরেক ওয়াক্ত নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। রোজ কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ সাত শ্রেণির মানুষ রক্ষা পাবে, তাদের মধ্যে যারা মসজিদের সঙ্গে তাদের জীবনকে সম্পৃক্ত করেছেন, মসজিদে আবাদ করেন।

রাশেদুজ্জামান গাজায় নিহত শিশুদের স্মরণ করেন তার বক্তব্যের শুরুতে। তিনি মুনা সম্পর্কে বলেন, ১৯০ সালে মুনা প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমরা সবাই জানি আমরা একটি ভিন্ন পরিবেশে এসেছি। আমরা যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি তারা ঘুমাতে যেতাম আজানের শব্দে, আর ঘুম থেকে উঠতাম আজানের শব্দে। কিন্তু এখানে সেই সুযোগ নেই। আমাদের সন্তানদের দীনি শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। মুনা প্রতিষ্ঠার আগে আমরা দীন প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মসজিদে গিয়েছি, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সেই মসজিদ থেকে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমাদের কোনো মসজিদ ছিল না। আমাদের জন্য এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন এলাকায় আমরা মুনা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। মুনা সেন্টারে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে দীনি শিক্ষাব্যবস্থা করেছি এবং সোশ্যাল সার্ভিস প্রদান করছি। আমাদের তিনটি সেন্টারে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে মুনার ১৮টি সেন্টার রয়েছে। এসব সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কর্জে হাসানার মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কোন ঋণ নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, জ্যামাইকাতে একটি হাইস্কুল করা হবে।

সভাপতি মোমিন মজুমদার সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি আমাদের তৃতীয় ফান্ড রেইজিং। আপনারা জানেন, আমরা এই মসজিদ ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল ক্রয় করি। আমরা সব সময় বলি, এটি শুধু মসজিদ নয়, এটা ইসলামি সেন্টার। এখানে নামাজ পড়ার পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষা দেওয়া হবে, সোশ্যাল সার্ভিস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এই মসজিদ ক্রয় করার সময় আমাদের প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। এখনো ১.২ মিলিয়ন ডলার কর্জে হাসানা রয়েছে। তিনি বলেন, এখনো কাজ চলছে। তবে আমরা যে অর্থ কর্জে হাসানা নিয়েছিলাম তার এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে। কর্জে হাসানা পরিশোধ করার জন্য আমরা ১ হাজার মানুষকে টার্গেট করেছি। সবার কাছ থেকে ২ হাজার ডলার করে পেলে আমরা সেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবো। তিনি বলেন, আমরা গত সমার থেকে ক্লাস শুরু করেছি, মহিলা, ইয়ং এবং নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আশা করি সবাই উদার হৃদয় নিয়ে এগিয়ে আসবেন।

সভাপতি মোমিন মজুমদার জানান, ফান্ড রেইজিং থেকে ২ লাখ ডলার সংগৃহীত হয়েছে।

শেয়ার করুন