০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৮:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সভা অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৩-২০২৪
বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সভা অনুষ্ঠিত


বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা কথা বলছে এমনকি পণ্যের দাম বেঁধেও দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা না নেওয়ায় বাজার চলছে তার ইচ্ছামত। আর দাম বেঁধে দিয়েও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একারণে বাজারে বাজারে বিক্ষোভ করবে বাম জোট কর্মসূচিও দিয়েছে। 

সিপিবি কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক তৈমুর আলম খান অপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লী সদস্য নজরুল ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগর ও বাসদের নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, সাইফুল ইসলাম সমীর, মঞ্জুর মঈন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা আক্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির রুবেল শিকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার ও বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২০ মার্চ, বুধবার, সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সামনে, ২৩ মার্চ, শনিবার, বিকাল ৪টায় মিরপুর ১০ নম্বর ও ২৪ মার্চ, রবিবার, সকাল ৯টায় শান্তিনগর বাজারের সামনে বিক্ষোভের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এদিকে সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তবাজারের নামে বাজার সিন্ডিকেটের গুটিকয়েক মানুষ, চাঁদাবাজ কমিশনভোগীদের পকেটে যাচ্ছে জনগণের টাকা। আর এসব হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে।

দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানো, ‘উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা’, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানিকৃত পণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা, সারাদেশে সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করা ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দক্ষ দুর্নীতিমুক্তভাবে এসব কাজ করতে হবে। মুক্তবাজারের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যা এ সরকারের পক্ষে সম্ভব না। এর জন্য বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।

ধাপে ধাপে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ার কথা বলে এই মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দায়মুক্তি দিয়ে, অহেতুক, অযৌক্তিক উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির দায় জনগণের নয়। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের গণবিরোধী পদক্ষেপের জন্যই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর সাথে জড়িত নীতি প্রণেতা , দুর্নীতিবাজ ও কমিশনভোগীদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে আরও দাম কমানো এবং সারাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবেই বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিও জানানো হয় সভা থেকে।

শেয়ার করুন