১৭ মে ২০১২, শুক্রবার, ১০:১৫:১০ অপরাহ্ন


কমিউনিটিতে সাড়া ফেলেছে খলিল বিরিয়ানির সাহরি পার্টি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৪-২০২৪
কমিউনিটিতে সাড়া ফেলেছে খলিল বিরিয়ানির সাহরি পার্টি শেফ খলিলুর রহমান


গত ৩০ এবং ২৩ মার্চ রাতে অনুষ্ঠিত হলো কমিউনিটিতে সাড়া জাগানো শেফ খলিলের সাহরি পার্টি। প্রথম সাহরি পার্টির পর দ্বিতীয় সাহরি পার্টির আয়োজন করা হয়। প্রথ সাহরি পার্টির মত দ্বিতীয় সাহরি পার্টিও ছিলো জমজমাট।

ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানি হাউজের ফুড কোর্টের সুপরিসর রুমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এই স্পেশাল সেহেরির আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন পদক এবং বৃটিশ কারী এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সেফ খলিল রাত জেগে নিজ হাতে রোজাদারদের সেবা দিতে সাহরি প্রস্তুত করেন। ওপেন বাফেটের সাহরি খাবারে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় খাবারের আয়োজন ছিলো। ইলিশ মাছ ভুনা থেকে কয়েকপদের মাছের তরকারী, গরু, খাসি ভুনা, সাদা ভাত, পোলাও, নান রুটি, কলা, দুধ, নানা রকমের ফল, মিষ্টি ইত্যাদি। ছিলো চা, কফিসহ নানা আয়োজন।

রেস্তোরাঁর দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িতে তখন রাত দুটো। অথচ সন্ধ্যায় ইফতারের সময়ের যেমন জমজমাট অবস্থা থাকে, তেমনই দেখা গেল ব্রঙ্কসের খলিল ফুড কোর্টে। নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে রীতিমতো গমগম করছিল সুপরিসর রেস্তোরাঁটি। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। কুইন্স, নর্থ ব্রঙ্কসসহ নানা এলাকার মানুষ ছুটে এসেছিলেন খলিলের সাহরি পার্টির মজাদার খাবার উপভোগ করার জন্য।

মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, নবযুগ সম্পাদক সাহাব উদ্দীন সাগর, সাংবাদিক শাহেদ আলম, যমুনা টিভির হাসানুজ্জামান সাকি, সাংবাদিক দিদার চৌধুরি, ইউএস অন লাইন সম্পাদক সাখাওয়াত সেলিম, সাংবাদিক এম বি তুশার, টাইম টিভির ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার সামিউল ইসলাম, তার সহধর্মিনি আশরাফি পলক, সাংবাদিক হাবিব রহমান প্রমুখ।

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন স্বপরিবারে এডভোকেট এন মজুমদার, সিপিএ জাকির চৌধুরী, বাফার প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন, বিবিএ সাধারণ সম্পাদক এ ইসলাম মামুন, কমিউনিটি নেতা মোজাফফর হোসেন, কামরুজ্জামান বাবু, যুবলীগ নেতা জামাল হোসাইন, সুমন চৌধুরী, স্বপন তালুকদার, কারেকসন অফিসার কাজী রাশিদুল হাসান, জাসদ নেতা নুরে আলম জিকু, শো টাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলম, কমিউনিটি একটিভিস্ট আহসান হাবীব, রিয়েলটর নুরুল আজিম, সঙ্গীত শিল্পী মাহবুব।

সিপিএ জাকির চৌধুরী জানান, কাজের চাপে আমি এ পর্যন্ত কোন ইফতার পার্টিতে অংশ নিতে পারেনি। তাই স্বতপ্রবৃত্ত হয়েই এই সাহরি পার্টিতে অংশ নিয়েছিলাম। আমি ভাবতেও পারিনি মধ্যরাতের এই অনুষ্ঠান এতো জমজমাট হবে। কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি একটি মিলনমেলায় রূপ নিয়েছিল। আর খলিল ভাইয়ের নিজ হাতের রান্না অনুষ্ঠানকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে।

শেফ খলিল জানান, আজকের সাহরি পার্টিতে যে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি তাতে আমি অভিভূত। আমি আগামীতেও আরো সাহরি পার্টির আয়োজন করতে চাই এবং সবার সহযোগিতা চাই।

শেয়ার করুন