আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের অন্যতম এই হোতাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওনার নামের আগে একটা ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে। আওয়ামী শাসনামলে এটা তিনি ব্যবহার করতেন।।এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা লিখবেন কি না তা সময়ই হয়তো বলে দেবে। তবে ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি যখন এ ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার ঘোষণা দেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রে একটা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দীকুর রহমান বলেছিলেন, আ. সোবহান গোলাপ সেই ব্যক্তি যিনি শেখ হাসিনাকে নিয়ে পিএইচডি করেছেন। তিনি অবশ্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পিএইচডি নিয়েছেন সে কথা তিনি সে সময় উল্লেখ করেননি।
তোর বাপ!
বাংলাদেশের লোকাল বাসগুলোতে একসময় সিটের ওপরের দিকে ছাদের নিচে নানা রকম বর্ণ লেখা থাকতো। যেমন-ব্যবহারে বংশের পরিচয়, আপনার মালের ওপর নজর রাখুন। মহিলাদের আগে বসতে দিন ইত্যাদি ইত্যাদি। কালের পরিক্রমায় নতুন ঝকঝকে বাসগুলোতে হয়তো এমন সাবেকি মূল্যবান বর্ণগুলো আর চোখে পড়বে না। কিন্তু আমার কাছে এখনো মনে হয় সেসব কথাগুলো হয়তো তৎকালীন সুন্দর একটা সমাজ বিনির্মাণে কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছে। প্রসঙ্গটা এলো এই কারণে গত সপ্তাহে বাঙালি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে একটি পার্ক করা গাড়ি দেখা গেছে। গাড়ির নম্বর প্লেটের লেখাগুলো ছিল এরকম - TOR BAP (তোর বাপ)। জানা গেছে গাড়িটা একজন বাংলাদেশির। পথ চলতি একজন রসিক বাংলাদেশি নম্বর প্লেটটির একটি ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। অসংখ্য কমেন্ট থেকে কিছু কমেন্ট তুলে ধরা হলো।
১. একটা থার্ড ক্লাস বা ক্লাসবিহীন বাঙালির আমেরিকা আসার উদাহরণ। ২. ক্লাসলেস পিপল। ৩. কুরুচির পরিচয় এবং পারিবারিক শিক্ষার অভাব। ৪. স্টুপিড অ্যান্ড ক্লাসলেস। ৫. আমি নিশ্চিত যে লোকটি মানসিকভাবে অসুস্থ- ইত্যাদি ইত্যাদি।
জীবনের প্রথম শিক্ষা শুরু হয় মা-বাবার কাছ থেকে। মা-বাবা যেমনটা শিক্ষা আমাদের দেন, ঠিক সেরকমই শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। আর পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষাটাই আমাদের সারা জীবন চলার পাথেয়। ফাইল ভর্তি সার্টিফিকেট, অভিজাত পোষাক আর পকেট ভরা অর্থ মানুষকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে পরিচিত করে না। প্রকৃত মানুষের পরিচয় ফুটে ওঠে তার কথা, আচরণ, নম্রতা, ভদ্রতা আর দৃষ্টিভঙ্গিতে।
তাই আসুন না আমরা প্রত্যকেই সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি করে প্রবাসী সমাজটাকে আরো সুন্দর এবং উপভোগ্য করে তুলি।
হোম কেয়ারের ভেলকিবাজি!
একটা ক্লাসে কজন ছাত্র প্রথম হতে পারে? নিশ্চয়ই একজন। কারণ চাইলেও একের বেশি প্রথম হবার সুযোগটা নেই। প্রসঙ্গটা আনলাম এজন্য যে, নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানার বা বাংলাদেশি পরিচালিত হোম কেয়ারগুলোর একটা স্লোগান সবার নজর কাড়ে। তাহলো আমরাই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দেই। এটা কীভাবে সম্ভব তা বুঝে আসে না। এটা কি সত্যি না স্ট্যান্টবাজি!!