৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৪১:১০ অপরাহ্ন


জাতীয় না বিপ্লবী সরকার, নাকি দ্রুত নির্বাচন
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৪
জাতীয় না বিপ্লবী সরকার, নাকি দ্রুত নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা রাস্তায় চিত্রকর্ম দেখছেন


গত ৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় মুন্সিয়ানার ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তত ওয়ান ইলেভেনের মতো জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজনীয়তা এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। সে থেকে সাধারণভাবে চলছে রাষ্ট্র। রেমিট্যান্স, রিজার্ভ থেকে শুরু করে বেশ কিছু ইস্যুতে সফলতা দেখিয়েছেন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

হঠাৎ ঘোলা হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মাঠ। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যাশা বা দাবি সেগুলো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুঁসে উঠছে বড় বড় রাজনৈতি দল। যেখানে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ওই সব সিদ্ধান্তে সাপোর্ট দেওয়ার কথা, সেখানে উল্টো বিরোধিতা ও হুমকিধমকি, যা মোটেও আশা করছেন না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-জনতা। এমনকি কিছু রাজনৈতিক দলও। দেশে এমন এক বিভক্তিতে পরিস্থিতি ঘোলাটের দিকে যাচ্ছে মনে হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত প্রেশারে পড়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যে সংস্কারে হাত তারা দিয়েছেন, রাষ্ট্রকাঠামো ঠিক করতে সেটাও পড়ছে চ্যালেঞ্জের মুখে। এমন অবস্থায় ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে যে সময় প্রয়োজন সেটা পূরণে টিকে থেকে কাজগুলো করতে পারবে তো অন্তর্বর্তী নাকি অন্য কোনো উপায়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নেবেন এ প্রশ্ন জনমনে।

কী সে অবস্থান। এর একটা রূপরেখা বিএনপির সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে যদি রাজনৈতিক দলসমূহ না আসে, না আসুক। প্রয়োজনে জাতীয় সরকার গঠন করুন, সেটাতে রাজনীতিবিদরা রাজি না হলে বিপ্লবী সরকার গঠন করুন। কিন্তু এ সুযোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করতেই হবে এর কোনো বিকল্প নেই। 

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পার হচ্ছে। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন কিছু সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো যে সাধারণ মানুষ কর্তৃক তৈরি করা নয়, সেটা বুঝতে বাকি নেই। অঢেল অর্থ হাতে নিয়ে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার হাঁসফাঁস করছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশেরও অশান্তি তৈরির একটি দৃষ্টি বাংলাদেশ পানে বলেই সাধারণ মানুষ মনে করছে। 

পাহাড়ে সমস্যা, আশুলিয়া, গাজীপুরসহ গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যাপক ঝামেলা মিটিয়ে শান্ত করার পর আবারও এ সেক্টরে অশান্তি। গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মিরপুর, কচুক্ষেতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের তাণ্ডব, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া। তারও আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পুকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন ও রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে বৈঠক ও মতামত প্রকাশকরণ। 

রাজধানীতে সাত কলেজের বিক্ষোভ, ইসকন ও সনাতনিদের আন্দোলন, ৩৫ বছরের চাকরিতে ঢোকার দাবিতে থাকাদের বড় দাবি মেনে নেওয়ার পরও পুরোনো দাবিতে অনড়। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে একটা অস্থির অবস্থা তৈরি করা। প্রভৃতি সমস্যাগুলো একটা ইঙ্গিত কিন্তু বহন করছে। তাহলো অন্তর্বর্তীকে দ্রুত নির্বাচনে বাধ্যকরণ। যাতে সংস্কার, ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডসহ বিগত বড় বড় ঘটনার যেসব বিচারকার্য নিভৃতে কাঁদতে ছিল সেগুলো এড়ানো সম্ভবপর হয়। 

দেড় সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে ও ৪০ হাজারের মতো ছাত্র-জনতার অঙ্গহানি হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার মধ্য দিয়ে অর্জিত অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিকভাবে কাজ করতে না দেওয়ার পেছনে কী কারণ হতে পারে, সেটা এখন বাংলাদেশের মানুষকে লিখে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। কোথায় বসে কে কে কলকাঠি নাড়ছে, কারা নাড়ছে এটা তাদের নখদর্পণে। 

প্রশ্ন উঠতে পাওে, রাজনীতিবিদদের শত ব্যর্থতার পর হাল ছেড়ে দিয়ে (২০২৪-এর নির্বাচন) ঘরে চলে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতা যে আন্দোলন করলো তাদেরও তো একটা ভীষণ কমিটমেন্ট আছে। তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে দিতে হবে। তারা চায় দেশ যেন সুন্দর ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আধুনিক উপায়ে গঠন করা যায়। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন স্তরে সংস্কারকার্য শুরু। একটু সময় লাগলে সেটাও রাজনীতিবিদরা দেবেনও বলেছেন। কারণ ১৬ বছর যে কাটাছেঁড়া করে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত হয়েছিল, সে জঞ্জাল সাফ করা ভীষণ চ্যালেঞ্জিংও। কিন্তু এ কাজগুলো সুষ্ঠুধারায় করতে গিয়ে কিছুটা বাধা, অস্থিরতার মধ্যে এখন সময় পার করছেন অন্তর্বর্র্তী সরকার। 

এমন মুহূর্তে নানা স্থানে এমন অস্থিরতা মোটেও ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এগুলো কি কোনো বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে? চাইলেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন উপদেষ্টারা। এতে সরকার পরিচালনায় তাদের কিছু দুর্বলতা ফুটে উঠলেও ওটা তাদের জন্য বড় কোনো দুর্নামের বিষয় নয়। ছাত্র-জনতার দাবি অনুসারে সঠিক রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারই বড় কাজ এ মুহূর্তে। এজন্য কে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বা হবেন, সেটা থোড়াই কেয়ার। আর ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে যেহেতু সময়ের প্রয়োজন আর সেটাতে যদি জরুরি অবস্থা জারি করে হলে হয় বা জাতীয় সরকার অথবা বিপ্লবী সরকার গঠন করে করলেও হয়, সেটাই সম্ভবত করবেন ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বর্তী সরকার, সে ইঙ্গিত ইতিমধ্যে মিলেছেও। 

কিছু দিন আগে অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছিলেনÑ‘হয় এবার, না হয় নেভার।’ এ কথা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। রাষ্ট্রকাঠামোর যে পুরোনো জঞ্জাল সেগুলো ধুয়েমুছে ঠিক করতে হলে সেটা এবারই সম্ভব। নতুবা আর কোনোদিনই হয়তো সম্ভব নয়। হাসনাত তার অন্য এক ভিডিওবার্তায় বিগত সময়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যেসব দল রাজপথে লড়াই করেছিলেন, তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যেমনটা ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঐক্য তা প্রকাশ করে স্বৈরাচার হঠাতে সহায়তা করেছিলেন। 

বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের কেউ কেউ মনে করেন, সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তীকালীন দীর্ঘসময় থাকলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে দেশের বর্তমান সময় যেসব জটিলতা বিরাজ করছে, এগুলো উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বিএনপি সংবিধান সংশোধন, কোনো রাজনৈতিক দলকে ব্যান্ড করে দেওয়াসহ ছাত্র-জনতার দাবি ও সেগুলো প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্টতা যদি হয়, সেটাকে হঠকারিতা বলে মনে করছেন। বিএনপির বিরোধিতা এ প্রেক্ষাপটে। 

সমাজের কড় একটি অংশ ঠিকই সব সংস্কার ও বেশ কিছু উদ্যোগ ও সমাধান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত দিয়েই হোক বলে মনে করছেন। কারণ যে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গেলে তাদের পক্ষে বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন ও দাবি ওঠা ইস্যুগুলো কখনো নিষ্পত্তি হবে না।

কী বলেছিলেন মাহমুদুর রহমান 

বিএনপির সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও সম্পাদক, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ভিন্ন একটা দাবি উপস্থাপন করেছেন। তিনি সম্প্রতি এক সভায় বিএনপি যে বিষয়টি করতে দিতে নারাজ, মাহমুদুর রহমান সে সিদ্ধান্তের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে জাতীয় সরকার অথবা বিপ্লবী সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সরকারে রাজি না হয়, তাহলে আমি প্রফেসর ইউনূসকে রিকোয়েস্ট করবো, আপনি বিপ্লবী সরকার গঠন করুন এক্ষুণি। বিপ্লবী সরকার গঠন করে আপনি প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। ফরগেট আওয়ার পলিটিক্যাল পার্টি। তারা আসবে না তো আসবে না, জনগণ তাদের বিচার করবে।’

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনাকেও এক হাত নেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটি জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, আর বিএনপি তাতে দুঃখিত হয়। বিএনপি বলে এ নিষিদ্ধকরণ ঠিক হয়নি। এই নিষিদ্ধ হলে পরে তাদেরও (ছাত্রদল) নাকি নিষিদ্ধ করা হবে। যে নেতারা বিএনপির এসব কথা বলেন, তারা নিজেদের এতো নিচে নামান কী করে?’ মাহমুদুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা অনুসারে দেশ চালাতে না পারলে, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ইউনূস সাহেব সম্পর্কে একটাই কথা, একটা বিশাল সুযোগ এসেছে। আপনি একজন নোবেল লরিয়েট। রাষ্ট্র আপনাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। জনগণ আপনাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। ছাত্র-জনতা সম্মান দিয়েছে। এই সম্মানের সদ ব্যবহার করুন। আমি আবারও রিপিট করি। হয়তো আপনি করেন. নতুবা আপনি সরে যান। যদি আপনি মনে করেন, আপনি পারবেন না, রাজনৈতিক দলকে শায়েস্তা করতে পারবেন না, নানা পরামর্শ শুনতে হবে আপনাকে। তাহলে ইলেকশন দিয়ে সরে যান। 

সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশে সংবিধান প্রশ্ন : মুজিববাদ নাকি জনমুক্তি?’ শীর্ষক সংবিধান সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমার দেশ সম্পাদক। 

বিপ্লব সংবিধান মেনে হয় না উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, ‘এই সংবিধানের জন্য এখনো ফ্যাসিবাদের আইকন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সব অফিসে শোভা পায়। বিভিন্ন প্রশ্ন ও বিতর্ক দেখা দিচ্ছে। আপনারা সুপ্রিম কোর্ট থেকে সব বিচারপতিকে সরাতে পেরেছেন, কিন্তু হাইকোর্ট থেকে সরাতে পারেননি।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান বিন হাদীর সভাপতিত্বে সংলাপে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. শরিফুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

যাদের অনেকেই মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যের সময় নীরবে মাথা নিচু করে শুনছিলেন। 

এদিকে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় বা বিপ্লবী সরকারের দিকেই ধাবিত হচ্ছে বলে কতিপয় রাজনৈতিক দলের কথাবার্তায় প্রতীয়মান হচ্ছে।

জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তার এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই।’ 

ইতিমধ্যে জাতীয় সরকারের পক্ষে অভিমত রয়েছে বলে জানা গেছে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের। দেশের নানা প্রেক্ষাপটে জাতীয় সরকারই সমাধান বলে তারা মনে করছেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে ‘রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করছেন’ বলে একজন উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘তিনি বলেছেন রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা আশা করি না, এই মাপের মানুষ এ ধরনের কথা বলবেন। আমরা রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করি না। আমরা বাংলাদেশকে হাসিনামুক্ত করার জন্য কাজ করেছি। জীবন দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি, এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা দ্রুত কাজ করছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আবারও চক্রান্ত করে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করতে যাবেন না। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। একবার বিরাজনীতিকরণের ‘মাইনাস টু’ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আবারও ওই রাস্তায় যাওয়ার কথা কেউ চিন্তা করবেন না।’

মির্জা ফখরুল অবশ্যই কোনো ইঙ্গিত না পেয়ে এভাবে বেফাঁস কথা বলবেন না। সেটা কী মাহমুদুর রহমান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে যেটা বলেছিলেন যে, হয় জাতীয় সরকার করুন বা বিপ্লবী সরকার গঠন করুন, নতুবা নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেন, তেমনই কী কোনো কিছু? 

শেয়ার করুন