১৪ ডিসেম্বর ২০১২, শনিবার, ০৪:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন


দেশকে আসিফুর রহমান আগুন
শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১১-২০২৪
শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর আসিফুর রহমান আগুন


খান আসিফুর রহমান আগুন। দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। তবে গানের বাইরেও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগুনের অবাদ পদচারণা রয়েছে। এই জায়গাটায় উপস্থাপনাকে তিনি বেশ গুরুত্ব দেন। যেখানে লম্বা বিরতির পর নতুন করে সক্রিয় হয়েছেন বিটিভির ‘আগুন ঝরা সন্ধ্যা’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় আপনার বিচরণ রয়েছে। এরমাঝে কোন পরিচয়টিকে আপনি এগিয়ে রাখবেন?

আগুন: দেখেন আমি যাই করি না কেন মানুষ কিন্তু সঙ্গীতশিল্পী হিসাবেই চেনেন। আর আমার কাছেও এই পরিচয়টি দিতে ভালো লাগে। তবে উপস্থাপনা, অভিনয়, সামাজিক কর্মকা-ও আমাকে ভালো থাকার শক্তি যোগায়। সত্যি কথা বলতে, সব কিছুর মধ্যেই আলাদা এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। 

প্রশ্ন: আপনি লম্বা বিরতির পর উপস্থাপনার ফিরলেন। কেমন লাগছে বিষয়টি?

আগুন: সব সময়ই ফিরে আসার মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। আমি তো গানের মানুষ। আর ‘আগুন ঝরা সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানটি সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষ নিয়ে করছি। অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে এসেছিলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম ও ফেরদৌস ওয়াহিদ। আরও অনেক গুণী শিল্পীর সঙ্গে বসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সবার সঙ্গে প্রাণবন্ত আড্ডা হচ্ছে। সব মিলিয়ে উপস্থাপনা বেশ উপভোগ করছি। সত্যি বলতে, দেড় দশক পর উপস্থাপনায় ফিরতে পারছি, এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। বিটিভি কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানাই, কারণ এতগুলো বছর অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। শিল্পীরা কাজ করতে পারেনি। আবার এই সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি।

প্রশ্ন: আপনি কীভাবে মনে করেন, এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে শিল্পী ও সংস্কৃতির বিকাশ হবে?

আগুন: শিল্পীর বিকাশ ঘটে তার কাজের মাধ্যমে এবং সংস্কৃতিরও বিকাশ হয় শিল্পীর কাজের মাধ্যমেই। আমাদের শিল্পীদের উচিত নিজেদের কাজকে স্বাধীনভাবে করতে দেওয়া। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পীরা নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করতে পারবেন, যা দেশের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

প্রশ্ন: শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন?

আগুন: আমি মনে করি, শিল্পীদের কাজের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তা দেশের সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর। শিল্পীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ না দিলে আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি চাই, কোনো শিল্পী যেন কালো তালিকাভুক্ত না হন এবং সবাই তাদের কাজটি স্বাধীনভাবে করতে পারে। শিল্পীরা একই পরিবারের সদস্য। এখানে কোনো বিভাজন কাম্য নয়।

প্রশ্ন: আপনার নতুন গান ‘মায়াবী’। গানটি থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

আগুন: গানটি প্রকাশ হয়েছে বেশি দিন হয়নি। এর মধ্যে যারা গানটি শুনেছেন, তাদের অনেকে ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। আরও কিছুদিন যাক, তারপর বোঝা যাবে গান নিয়ে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া কেমন। ডুয়েট গানটিতে আমার সহশিল্পী রূপসী। 

প্রশ্ন: অভিনয়ের কী অবস্থা?

আগুন: গান ও উপস্থাপনা নিয়ে এখন ব্যস্ত থাকতে চাই। এ কারণে অভিনয় নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে অবশ্যই আমাকে অভিনয়ে দেখা যাবে। 

প্রশ্ন: পেশাগত কাজের বাইরে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন? 

আগুন: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি মৎস্য খামার ও ডেইরি ফার্মের পরিকল্পনা করেছিলাম। এটি বেশিদূর এগোয়নি। আপাতত এসব নিয়ে ভাবছি না। আগামীতে ফুড নিয়ে নতুন কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক কি হয়।

শেয়ার করুন