১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৫:০৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘সহিংসতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার একমাত্র উত্তর ভালোবাসা’ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে- ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’ সুন্দরবন দিবসের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম কিছুই জানে না! ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন দুবাই পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে- ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত- ভলকার টার্ক হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা


ব‍্যর্থ প্রেমিকদের ভ‍্যালেন্টাইন ডে!
হাবিব রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
ব‍্যর্থ প্রেমিকদের ভ‍্যালেন্টাইন ডে! হাবিব রহমান


আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারি, তথা ভালোবাসার মাস। ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভ‍্যালেন্টাইন সপ্তাহ। এই ভ‍্যালেন্টাইন কি শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাদের? যাদের ব্রেকআপ হয়েছে, যারা হৃদয় ভাঙার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, এই দিনটাতে তারা কি করবেন? তারা কিন্তু ‘দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন’ হিসেবে দিবসটি পালন করতে পারেন। কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এই দিনটিকে প্রাক্তনদের প্রতিশোধ নেওয়ার দিন হিসেবে পালনের জন‍্য নানান বৈচিত্র্যময় উপহারের আয়োজন করে থাকে। তারা তাদের প্রাক্তনদের জন‍্য এসব মজাদার গিফ্ট পাঠাতে পারেন।

ডিসপেয়ার ডট কমের মাধ‍্যমে প্রাক্তন প্রেমিকদের জন‍্য হুল ফোটানো কথা দিয়ে তৈরি করা কার্ড পাঠাতে পারেন। এ ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা লরেন্স কারস্টেন বলেন, আমাদের থেকে পাঠানো কার্ডের প্রতিটি লাইন হবে বিষবাক‍্য। এর প্রতিটা শব্দ প্রাপকের জন‍্য হবে শাস্তিস্বরূপ।

ডেড রোজেস ডট কমের মাধ্যমে আপনার প্রাক্তনের জন‍্য পাঠাতে পারেন মরা গোলাপ। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ভার্ন উইডলার বলেন, মরা গোলাপ পাঠানোর সময় আমরা খুবই সচেতন থাকি যেন প্রতিটি গোলাপের সঙ্গে কাঁটা থাকে।

দ‍্য পেরেক.কম-এর মাধ‍্যমে আপনার প্রাক্তনের জন‍্য পাঠাতে পারেন মরা এবং গন্ধওয়ালা শুঁটকি মাছ বা গায়ে জ্বালা ধরানো ম‍্যাগনেটিক সাইন। যাতে লেখা থাকতে পারে-আই লাভ পর্ন, আইএমএ বিচ, প্রাউড টু বি এ গে, আই লাভ গ্রুপ সেক্স,আই লাভ শি মেইল ইত‍্যাদি।

এই শহরে শীতের পিঠা

জ্যামাইকার হিল সাইড এলাকায় সিটি ব্যাংকের উল্টোদিক দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চমকে গিয়ে একটু থমকে দাঁড়ালাম। সুন্দর গোছানো একটা রেস্টুরেন্ট। ফাস্টফুড জাতীয়। কাচের দরজায় একটা পোস্টারÑএখানে জামভর্তা পাওয়া য়ায়। সাইন বোর্ড লাগিয়ে জামভর্তা খাওয়ার আমন্ত্রণ এটাকে কি সহজে উপেক্ষা করা যায়? দরজা ঠেলে ঢুকলাম। কাউন্টারে সাজানো ডাঁসা পেয়ারা, কাঁচা কলা, কাঁচা পেঁপে, শশা, বোম্বে এবং দেশি মরিচ ইত্যাদি। জানলাম, এগুলো মিলিয়ে নাকি নুন লংকা, গুঁড়ো মরিচ মিশিয়ে ভর্তা বানানো হয় কাস্টমারের জন্য।

কি বলেন, জিভে জল আসে না!

ভেতরের সাজসজ্জা চমৎকার। উগ্র নয়, মোমবাতির আলোর মতো সিগ্ধ। নজর কাড়ে কিন্তু পোড়ায় না।

কি খাবো জানতে আসলেন একজন মিষ্টি আপা। চিতই, পোয়া, পুলি, ভাঁপাসহ আরো কত নাম না জানা পিঠার নাম বলে গেলেন গড় গড় করে।

অর্ডার দিলাম ভাঁপা, পুলি আর পাটিসাপটা পিঠা।

মাল মসলা তৈরিই ছিল। উনুনে বসিয়ে গরম গরম তৈরি করে দ্রুতই টেবিলে পরিবেশন করলেন। বলা যায়, গার্ডেন ফ্রেশ। ধোঁয়া উড়ানো। এককথায় অপূর্ব!

আয়েশ করে খেয়ে, চেয়ারে হেলান দিয়ে ধূমায়িত চা গলাধকরণ করে তৃপ্তির ঢেউ তুলতে তুলতে বেরিয়ে এলাম বাইরে।

যাবেন নাকি ওখানে পিঠাপুলির স্বাদ নিতে?

তাহলে ঠিকানাটা টুকে নিন।

স্মার্ট ক্যাফে

১৬৮-৪৫ হিলসাউড অ্যাভিনিউ

জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক-১১৪৩২

ফোন: ৯২৯ ৫৮৯ ৭৭৬০

মন্টাক বে বিচ

অনেকে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তবে আর্থিক সচ্ছলতা, সময় ইত্যাদি বিবেচনা করে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দূরে বেড়াতে যাওয়া হয় না। সপ্তাহের ছুটির দিনে অথবা অল্প সময়ে পরিবার-পরিজনসহ ঘুরে আসতে পারেন হাতের কাছের মন্টাক বে থেকে।

নিউইয়র্ক থেকে ১০০ মাইল দূরে মন্টাক বে বিচ। এখানেই আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নির্দেশে ১৭৯৬ সালে যে লাইট হাউসটি নির্মিত হয় যা মন্টাক পয়েন্ট লাইট হাউস নামে পরিচিত এবং আমেরিকার একটি জাতীয় ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক।

এখানে বসবাসরত মনটিকেট গোত্রের লোকেরা তাদের মাছ ধরার নৌকাগুলো যাতে নিরাপদে তীরে ফিরতে পারে, এজন্য এখানকার টার্টিল হিলে আগুন জ্বালিয়ে রাখতো। পরে আমেরিকান বিপ্লবের পর তা আমেরিকান বাণিজ্যিক জাহাজের সুবিধার জন্য এ লাইট হাউস নির্মাণ করা হয়। লাইট হাউসের ভেতরে আছে চমৎকার একটি মিউজিয়াম, যেখানে মনটিকেট গোত্রের অনেক স্মৃতিচিহ্ন স্থান পেয়েছে।

সৈকতের তীরের রেস্টুরেন্টগুলোতে সমুদ্র থেকে ধরা তাজা লবস্টারসহ অন্যান্য গ্রিল করা মাছ পাওয়া যায়। জায়গাটি ‘দ‍্য এন্ড’ বলেও পরিচিত। এই পয়েন্টটা নিউইয়র্কের শেষ ভুখণ্ড, যার পরে শুরু হয়েছে ১০ কোটি ৬৪ বর্গকিলোমিটার দীর্ঘ আর ১২ হাজার ফুট গড় গভীরতর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম আটলান্টিক মহাসাগর, যা পৃথিবী পৃষ্ঠের এক-পঞ্চমাংশ জায়গা দখল করে আছে। এই মহাসাগর ডেনমার্ক প্রণালি, গ্রিনল্যান্ড সাগর, নরওয়েজিয়ান সাগর ও বারেন্টস সাগরের মধ্য দিয়ে আর্কটিক মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।

শেয়ার করুন