০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১:২৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সেলফোন-ল্যাপটপ পরীক্ষা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারপোর্টে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৫
সেলফোন-ল্যাপটপ পরীক্ষা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারপোর্টে


এয়ারপোর্ট, সীমান্ত এবং নৌ-পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের সেলফোন, ল্যাপটপসহ সব ধরনের ডিজিটাল সামগ্রী পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভিসাধারী, গ্রিনকার্ডধারীগণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোন মতামত, অভিমত অথবা মন্তব্য দেখা গেলে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ তালিকার কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সম্পর্ক থাকলে, বা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশসমূহের বিরুদ্ধেও হিংসাত্মক কোন মতামত বা ছবি থাকলে কাস্টমস অ্যান্ড বোর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দিচ্ছেন না। 

ভিসাধারী, এমনকি গ্রিনকার্ডধারীকেও ফিরিয়ে দিচ্ছেন নিজ দেশে। গ্রিনকার্ডধারীরা টানা ১৮০ দিনের বেশি বিদেশে অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময় এয়ারপোর্ট, সীমান্ত ফাঁড়ি কিংবা সমুদ্র বন্দরে প্রচণ্ড রকমের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হচ্ছেন। সিবিপি জানতে চাচ্ছেন কেন তারা এতোদিন বিদেশে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কেন তারা ফিরতে চাচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ট্যাক্স প্রদান করেছেন কিনা, বাড়ির মালিক কিনা অথবা কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে কিনা ইত্যাদি তথ্য ও ডকুমেন্ট। এমনকি কোন গ্রিনকার্ডধারী যদি ফেডারেল সরকারের মঞ্জুরির ওপর নির্ভরশীল ছিলেন বলে জানতে পারে তাহলে তাকে আর ঢুকতে দিচ্ছে না। সোজা নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক সপ্তাহে এয়ারপোর্ট, সীমান্ত থেকে বেশ কিছু বিদেশিকে নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনায় এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে অভিবাসন সমাজে। ইমিগ্রেশনে অভিজ্ঞ এটর্নিরা তার গ্রিনকার্ডধারী ক্লায়েন্টদের পরামর্শ দিচ্ছেন পারতপক্ষে বিদেশে না যেতে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন অভিবাসন-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 

এ অবস্থার কঠোর সমালোচনা করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এধরনের আচরণে সিবিপি যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী লংঘন করছে। সেই সংশোধনী অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে তল্লাশী অথবা জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আদালতের অনুমতি লাগবে। এ ধরনের বক্তব্য খন্ডন করে সিবিপি অবশ্য গণমাধ্যমে বলেছে যে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এসব করার এখতিয়ার রাখেন।

শেয়ার করুন