বিয়ানীবাজার সমিতির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি রুহুল সমর্থকদের সেক্রেটারি পদ নিয়ে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকটের সূচনা একই গ্রামের অর্থাৎ মাথিউরার ২ জন সেক্রেটারি পদপ্রার্থী নিয়ে। এর মধ্যেই একজন রুহুল সমর্থিত সেক্রেটারি রেজাউল আলম অপু অপরজন মাথিউরা সমিতির মনোনীত প্রার্থী কমরউদ্দীন। এ দু’জন প্রার্থী নিয়ে একজন প্রার্থীর হওয়ার সমঝোতার বৈঠক দফায় দফায় হলেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আগামী ২৭ জুলাই রবিবার বিকেল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত ভোটার নিবন্ধের শেষ দিন ও সময়। এ ইস্যুকে সামনে রেখে গত ২০ জুলাই ওজনপার্কের একটি হলে রুহুল সমর্থকদের নির্বাচন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সেক্রেটারি পদপ্রার্থী ইচ্ছুক রেজাউল আলম অপু ও কমরউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেক্রেটারি পদ নিয়ে বাক-বিতন্ডা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে অপু নিজেকে সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। অন্যদিকে কমর উদ্দীন এই গ্রুপের সাথে নির্বাচন না করার কথা ঘোষণা করেন। অপু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আলাপে বলেন, নিজ গ্রাম মাথিউরা ও দলের স্বার্থে নির্বাচন করছি না। আমি চাই না আমার গ্রাম এবং দলের লোকজন অসম্মানিত হোন। এ জন্য এ সিদ্ধান্ত। যদি দল ও গ্রাম তাকে মনোনীত করে তবে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কমর উদ্দীনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মতামত হলো বিয়ানীবাজারের লোকজন সিদ্ধান্ত নিবেন তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ এককভাবে নাকি প্যানেল ভিত্তিক।.তবে সময় বলে দিবে নির্বাচনী হালচাল।
নির্বাচনের পূর্বে অনেক সমীকরণ, অনেক হিসাব- নিকাশ হয়। সময়ের প্রেক্ষিতে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। নির্বাচনে ভোট ব্যাংক, অর্থ, সমর্থক, নিজের অবস্থান- সব কিছুর সমন্বয়ে ভোট। যে কেউ আসতে পারেন। ভোট শেষে অনেক হাস্যকৌতুক হয়। অনেকে হিরো হন। আগামী ভোটে তৃতীয় কোন প্যানেল হলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রুহুল- মান্নান প্যানেলের মধ্যে- তা অনেকেই মনে করেন। সে সাথে তৃতীয় প্যানেলের ভোটারদের ভোট আমিমাংসীত হয়ে যাবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার পূর্বে সকলের চিন্তা এবং পর্যবেক্ষণ তরা ভাল। কারণ তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ফলাফল পক্ষেও আসতে পারে আবার হীতে বিপরীত হতে পারে।