২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


অনুমোদিত আবেদনের ব্যাকলগ ৮ লাখ ৭৫ হাজার
চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৮০ হাজার গ্রিনকার্ড ইস্যু হবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২২
চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৮০ হাজার গ্রিনকার্ড ইস্যু হবে


সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমানে প্রাপ্য ২ লাখ ৮০ হাজার গ্রিনকার্ড ইস্যু করার বিষয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে। এ বছর রেকর্ড পরিমাণ কাজের ভিত্তিতে ইস্যুকৃত গ্রিনকার্ডের প্রাপ্যতা অনেক বেশি। তবে তা বর্তমান অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই ইস্যু করতে হবে। কাজের জন্য দেয় প্রায় ৬৬ হাজার গ্রিনকার্ড কোভিডের জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ যথাসময়ে ইস্যু করা যায়নি। এজেন্সি গত বছরের চাইতে এ বছর অনেক বেশি কাজের চাপে আছে। ২০২১ অর্থবছরে ২ লাখ ৬২ হাজার গ্রিনকার্ড ইস্যু করার কথা ছিল। সেখানে এ বছর ইস্যু করতে হবে ২ লাখ ৮০ হজার, কিন্তু এ বছর সকল গ্রিনকার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে এজেন্সি অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে ব্লুমবার্গ নিউজের এক সংবাদে জানা গেছে। 

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থবছরের মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে এসব গ্রিনকার্ড ইস্যু করার কাজ শেষ করতে হবে। এক অভূতপূর্ব  কার্যভিত্তিক গ্রিনকার্ডের প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে বর্তমান শ্রমিক স্বল্পতার কারণে। অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিসায়, অর্থাৎ এইচ-১বি ভিসায় নিয়োগকৃত শ্রমিকরা সহসা নিয়োগকর্তা বা কাজের স্থান বদল করতে পারে না, কিন্তু গ্রিনকার্ড পেলে তারা সহসা কাজের স্থান বদলাতে পারে। তাতে তাদের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস বদলায় না। এই গ্রিনকার্ডের অতিরিক্ত প্রাপ্যতার কারণে ভারত ও চীন থেকে আগেই ইমিগ্র্যান্টরা তাদের ভিসা ক্যাপের কারণে সৃষ্ট ব্যাকলগ কাটিয়ে উঠতে পারবে।

এতোদিন কোভিডের কারণে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনেক পরিবারকেন্দ্রিক ইমিগ্রেশন ভিসা প্রসেস করেনি। এসব ভিসা পরবর্তী বছরে কার্যভিত্তিক ভিসা ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এসব কার্যভিত্তিক ভিসা প্রতিবছর এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি দেয়া হয় না। এর অন্যতম কারণ এজেন্সি এতোদিন পেপারভিত্তিক ব্যবস্থায় কাজ করতো। অনলাইন কাজ সর্বত্র চালু হয়নি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এ তথ্য জানায়। 

গত বছর ইউএসসিআইএস ১ লাখ ৮০ হাজার গ্রিনকার্ড ইস্যু করেছে। যদিও তা দেখতে অনেক বেশি, তারপরও তা সম্পূর্ণ প্রাপ্য নম্বরের চেয়ে অনেক কম। 

আগে গ্রিনকার্ড ইস্যু করার ব্যর্থতাকে নিজস্ব তৈরি সংকট বলে উল্লেখ করে ইউএসসিআইএসের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন স্টেটে মামলা করা হয়েছে। তবে এ ধরনের আরেকটি মামলা গত বছর মেরিল্যান্ডের এক বিচারক বন্ধ করে দিয়েছে। মধ্য-জুনে ইউএসসিআইএস গত বছরের চেয়ে বেশি গ্রিনকার্ড ইস্যু করেছে। সপ্তাহে তার আগের বছরের চেয়ে বেশি কার্ড দিয়েছে। তবে এজেন্সি কত কার্ড ইস্যু করেছে তার কোনো সংখ্যা জানায়নি।

সম্প্রতি ইউএসসিআইএস অন্যান্য ইমিগ্রেশন সার্ভিস থেকে গ্রিনকার্ড ইস্যু নেয়ার সার্ভিসে তাদের কর্মকর্তা বদলি করেছে। কিন্তু অফিসে আবেদনও পুনরায় বিতরণ করা হয়েছে। যদিও ইমিগ্রেশন বিভাগ ২০২১ সালের মতো সমস্যায় নেই। তারপরও আফগান ও ইউক্রেনের মানবিক পরিত্রাণের কারণে কর্মকর্তা স্বল্পতা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ২০১৫ সালে আবেদনকৃত গ্রিনকার্ডের অনেক ইমিগ্র্যান্ট গ্রিনকার্ড পাচ্ছেন না। অনেকে অন্য দেশে চলে যেতে চাচ্ছেন।

যদিও এজেন্সি এ বছর ২ লাখ ৮০ হাজার গ্রিনকার্ডের সবক’টি ইস্যু করবে। তারপরও তাতে ব্যাকলগ বেশি একটা কমবে না। ২০২১ সালের শেষের দিকে অনুমোদিত আবেদন বা গ্রিনকার্ডের অ্যাপ্রুভড আবেদনের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭৫ হাজার। আর তা এখনো গ্রিনকার্ড ইস্যুর জন্য অপেক্ষমান। তারপরও তাই ব্যাকলগের খুব বেশি সুরাহা হবে না। 


শেয়ার করুন