২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


অবৈধ মাছ আনার অভিযোগ
এশিয়া ফুডস ডিস্ট্রিভিউটরের চারজনের সাজা ও জরিমানা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২২
এশিয়া ফুডস ডিস্ট্রিভিউটরের চারজনের সাজা ও জরিমানা ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক


বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে অবৈধ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত মাছ আমদানির অভিযোগে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এশিয়া ফুডস ডিস্টিভিউটর ইনকের ৪ জনের সাজা এবং জরিমানা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই ২০২২ ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের মাননীয় বিচারক শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করে। যে ৪ জনকে সাজা এবং জরিমানা করা হয়েছে তারা হলেন- শাকিল আহমেদ, মাহমুদ চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ এবং বেলায়েত হোসেন।

কোর্টের নথিতে দেখা যায়, এই ৪ জন এশিয়া ফুডস ডিস্ট্রিভিউটর ইনকের মাধ্যমে কখনো বাংলাদেশ থেকে, কখনো মায়ানমার থেকে নিষিদ্ধ মাছ আইড়, বোয়াল মাছ, বাতাসী মাছ, কাজলি মাছ, পাবদাসহ অন্যান্য মাছ এনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করতেন। ২০১৭ সাল থেকেই তারা নিষিদ্ধ মাছগুলো এনে বিক্রি করতেন, যা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। তারা ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তারা এই অবৈধ কাজটি করতেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এবং ২০২১ সালের ১৪ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

তদন্তকারী সংস্থা যে নথি কোর্টে জমা দেন তাতে দেখা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করেছেন। অভিযুক্তদের ফোনের তথ্য নিয়েছেন, মেশপ্যাথে তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন। তারা নথিতে উল্লেখ করেন মাহমুদ চৌধুরী কয়েকটি নামে পরিচিত যার মধ্যে আঙ্কেল মাসুম, মাসুম চৌধুরী। বেলায়েত হোসেন বেলায়েত সোহেল নামেও পরিচিত। প্রথমে তারা নয়ছয় জবাব দিলেও এক সময় তারা সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তদন্তকারী সংস্থা তাদের অফিস থেকে যেসব কাগজপত্র উদ্ধার করেছে তাতে এবং টেলিফোনে যেসব কথাবার্তা ও টেক্সট করেছেন তাতে সব কিছুই ধরা পড়ে যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা কখন কীভাবে নিষিদ্ধ মাছগুলো যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে তার সময় এবং সাল পর্যন্ত উল্লেখ করেন। এই কয়েক বছরে কয়টি চালান এসেছে তাও উল্লেখ করেন কোর্টে দাখিলকৃত ডকুমেন্টে। আরো উল্লেখ করা হয় এই নিষিদ্ধ মাছগুলোর মধ্যে যে অন্য মাছের লেবেল ব্যবহার করা হয়েছে।

মাননীয় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন সাজা ও জরিমানা ঘোষণা করেন। তবে তাদের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ডলারের কন্টেইনারের মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মাহমুদ চৌধুরীর জরিমানা করা হয়েছে ২৫ হাজার ১০০ ডলার। সেই সাথে ৩ বছরের প্রভিশন এবং তিনশ ঘণ্টা কমিউনিটি সার্ভিস।

বেলায়েত হোসেনের জরিমানা ৫ হাজার ১০০ ডলার। সেই সাথে ২ বছরের প্রভিশন এবং দুইশ ঘণ্টার কমিউনিটি সার্ভিস।

শাকিল আহমেদের রায়ে তার জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার ১০০ ডলারের। সেই সাথে ২ বছরের প্রভিশন এবং দুইশ ঘণ্টার কমিউনিটি সার্ভিস।

ফিরোজ আহমেদের জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার ১০০ ডলারের। সেই সাথে ২ বছরের প্রভিশন এবং দুইশ ঘণ্টার কমিউনিটি সার্ভিস।

শেয়ার করুন