২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৫:৪৪:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে ডা. মো. মিজানুর রহমান
সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে সরকারের আঁতাত হতাশার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১২-২০২২
সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে সরকারের আঁতাত হতাশার ডা. মো. মিজানুর রহমান


ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, সরকারের প্রশাসনের ওপর নির্ভরতা এবং দুর্নীতিবাজদের দমন করা, মানব পাচার, অর্থপাচার বন্ধ করার ব্যর্থতা রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুণ্ঠন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নৈরাজ্যতা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আঁতাত দেশবাসীকে আমাদের হতাশ করেছে।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে ডা. মো. মিজানুর রহমান একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেন গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করলে ডা. মো. মিজানুর রহমান যোগ দেন। তিনি গণফোরামের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির  বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেন সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর মামা মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন। 

দেশ: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: মূলত স্বাধীনতাপরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পটভূমি বিদ্যমান।

দেশ: এ ধরনের পরিস্থিতি কি আপনার রাজনৈতিক জীবনে কখনো দেখেননি?

ডা. মো. মিজানুর রহমান:  সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়, তখন ক্ষমতাসীনদলসমূহ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা, ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ইতোপূর্বে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ৯ বছরের জাতীয় পার্টির শাসন, তার পরবর্তী সময়ে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের বিগত ১৪ বছরের শাসনামল। এই পরিস্থিতি যদিও কোনোভাবেই সুস্থ চিন্তার মানুষের কাম্য নয়। রাজনৈতিকভাবে আমরা উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে চাই।

দেশ: আমি বলতে চাচ্ছি বিএনপির আমলে কি রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো ভালো ছিল ? জনগণ অনেক শান্তিতে ছিল?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: মূলত সামরিক আইনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে বিগত সময়গুলোতে দেশে স্বৈরশাসনের উৎপত্তি ঘটেছে। জনগণের সম্পদকে কুক্ষিগত করা, সংবিধানের শাসন থেকে জাতিকে বঞ্চিত করা আর দেশের সম্পদ লুণ্ঠনের পথকে প্রশস্ত করে বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দল গঠন করার যে সংস্কৃতি তা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শুরু করেন। এই সময়গুলোতে সামরিক কালাকানুন প্রবর্তন করে দুর্বৃত্তদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এছাড়াও সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের রাজনীতির সুযোগ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশকে দীর্ঘসময়ের জন্য দেশকে বিপদগ্রস্ত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জন দেয়া হয়। জিয়াউর রহমানের পথ ধরে স্বৈরশাসক এরশাদও একই ধারায় দীর্ঘ ৯ বছর দেশে লুণ্ঠনের পাশাপাশি ধর্মান্ধ শক্তিকে সমাজের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেয়। এই সময়ে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রধর্মের নামে গোটা জাতিকে বিভক্তির পথে ঠেলে দেয়। স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে এলেও এরশাদবিরোধী আন্দোলনের তিন জোটের যে রূপরেখা তা উপেক্ষা করে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, লুণ্ঠনের মহোৎসবের পাশাপাশি এই সময়ে বিএনপি সরকার জঙ্গিবাদীদের সাথে আপস করে দেশে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে। বিরোধীদের দমন-নিপীড়ন, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার, সর্বত্র দলীয়করণের নগ্নতা মূলত দেশকে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দেয় এই সময়ে। জনগণের হতাশা ক্ষোভ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনিশ্চয়তা, শিক্ষা-সংস্কৃতি তথা, জাতীয় চেতনা বিসর্জনের উৎসব বিএনপি শাসনামলে দেখেছে দেশবাসী।

দেশ: আওয়ামী লীগ সরকারকে তো অনেকগুলি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিশেষ করে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো অত্যন্ত শক্ত সিদ্ধান্ত তারা বাস্তবায়ন করছে এবং করে যাচ্ছে। তা কি সত্য না? আবার পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করাটাও কি ছোট করে দেখেন? 

ডা. মো. মিজানুর রহমান: মূলত যে দলটির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত  হয়েছে, স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, সেই দলটির কাছে প্রত্যাশা দেশবাসীর অনেক বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ প্রথম ক্ষমতাসীন হলে দেশবাসী আশাবাদী হয়ে ওঠে। দেশের মানুষের প্রত্যাশার স্তর অনেক বেশি হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার প্রক্রিয়া নানান জটিলতার কারণে বিলম্বে শুরু করা গেলেও শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এর বাহিরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেই দেশবাসী মনে করলেও সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগকে অনেক ক্ষেত্রে আপস করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক উগ্ররাজনীতি এখনো নিষিদ্ধ করা যায়নি। অন্যদিকে  শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি সামনে আসায় ওই সময়ের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র-যুব ও শ্রেণি-পেশার মানুষদের ঐক্যবদ্ধতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে। মূলত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অগ্রসর করায় দেশবাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। এই সময়ে যোগাযোগব্যবস্থার অনেকগুলো পথ অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের যুগান্তকারী ঘটনা জাতীয় জীবনে উন্নয়ন ও উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু ধারাবহিকভাবে তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মানবিকতা, মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে দেশকে যতোদূর অগ্রসর করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মূলত সরকারের প্রশাসনের ওপর নির্ভরতা এবং দুর্নীতিবাজদের দমন করা, মানব পাচার, অর্থপাচার বন্ধ করার ব্যর্থতা রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুণ্ঠন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নৈরাজ্যতা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে অঁাঁতাত দেশবাসীর সাথে আমাদেরও হতাশ করেছে।

দেশ: বিএনপি সরকার হটাতে ঐক্যের ডাক দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার অবস্থান কি?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: বিগত সময়গুলোতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা দেশবাসীর তা খুবই ন্যক্কারজনক। আমাদের সংবিধানে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার  যে নিশ্চয়তা সন্নিবেশিত করা রয়েছে তা বিগত সময়গুলো থেকে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণকে তার ভোটারধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা মনেকরি ‘আমার ভোট আমি দেবো,  যাকে খুশি তাকে দেবো’ এই দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে আমরা সবসময় সাধুবাদ জানাই। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্বাচনীব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ করার দাবিতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।

দেশ: একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি কীভাবে আদায় করবেন?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: নির্বাচন একটি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার প্রক্রিয়া হলেও ‘জনগণ রাষ্ট্রের মালিক’ আমরা জনগণের চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটুক এই বিবেচনা থেকে সকল গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক, সামাজিক, শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে চাই। জনগণের ঐক্যবদ্ধতার মধ্য দিয়ে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে বলে আমরা মনে করি।

দেশ: গণফোরাম থেকে অনেকে সরে গেছেন বা তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।  এতে কি দল দুর্বল  হয়ে পড়েছে না?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: গণফোরামে নিকট অতীতে নানান কারণে দলের কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা এসেছিল। তবে দল হিসেবে গণফোরাম দুর্বল হয়নি, আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। যে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং দলের নিবন্ধন আছে (নিবন্ধন নং ২৪), নিজস্ব প্রতীক আছে (উদীয়মান সূর্য), যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি (১০১ সদস্যবিশিষ্ট) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত এবং যার প্রচারের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ডাটাবেস রয়েছে, সেই দলটি দুর্বল নয়, ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী দলত্যাগ করলেও নতুন করে আবার অনেক নেতা-কর্মী দলে যোগদান করেছেন। নির্দ্বিধায় বলতে চাই, গণফোরাম একটাই। মূলত মানবজীবনের সকল ক্ষেত্রেই জোয়ার-ভাটা থাকে, দল হিসেবে আর্দশিক যে ধারা গণফোরাম সৃষ্টির পর থেকে সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে তা অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগে অর্জিত বাংলাদেশে জনগণের অধিকার সুরক্ষায় গণফোরাম প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্যেই গণফোরাম এগিয়ে চলছে। 

দেশ: আপনারা মাঠে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছেন না কেন?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: আমরা শিগগিরই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবো। এই লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চলছে। জেলা জেলায় সদস্য সংগ্রহ চলছে। বিভিন্ন স্তরের কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণফোরাম এককভাবে এবং সমমনাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবে। তাছাড়া সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

দেশ: এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: নির্বাচনীব্যবস্থাকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলার দাবিকে জনদাবি হিসেবে আমরা অভিহিত করছি। আগামী নির্বাচনকে অধিকতর নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আমরা সকল গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিকদলের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। নির্বাচনে  আমাদের সংগঠনের অংশগ্রহণের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সরকারকে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে এই নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।

দেশ: বলা হয় উন্নয়নের কারণে সরকারের প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। এ কারণেই বিরোধীদলের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না মানুষ। এটা কীভাবে দেখেন?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: রাষ্ট্রের মৌলিক উন্নয়ন বলতে, মানবিকতা, মূল্যবোধ, সম্প্রীতি, জাতীয়তাবোধকে বোঝায়, দুভার্গ্যজনকভাবে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় অবকাঠামোগত উন্নয়কে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়। যদিও আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ অনেকগুলি বিষয়ে অগ্রগতি উন্নয়নের অন্যতম উপাদান, এই সকল বিষয়ে বিগত সময়ের তুলনায় সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেই কারণে সমাজে এর প্রভাব কম নয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ধনী-গরিবের আকাশছোঁয়া বৈষম্যের কারণে জনজীবন বিপদগ্রস্ত প্রতিনিয়িত। ফলশ্রুতিতে সরকারের অনেক গণমুখী কাজ জনগণের মধ্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। বর্তমান সময়ে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা বরং কমতে শুরু করেছে। 

দেশ: সরকারকে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কি না?

ডা. মো. মিজানুর রহমান: আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা, জাতীয় অগ্রযাত্রার স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সবদলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক এই বিষটি সরকার আন্তরিকতার সাথে বিবেচনায় নেবেন।

শেয়ার করুন