২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন


যুগপৎ আন্দোলনে জনগনের আস্থা বেড়েছে- মির্জা ফখরুল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৩
যুগপৎ আন্দোলনে জনগনের আস্থা বেড়েছে- মির্জা ফখরুল


সরকার হটানোর ‘যুগপত আন্দোলনে জনগনের আস্থা বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালযে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিঙে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘ যুগপত আন্দোলনে অবশ্যই মানুষের মধ্যে একটা আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই দাবির (১০ দফা দাবি) সাথে একমত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যে তারা লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন। এটা(যুগপত আন্দোলন) নিসন্দেহে অনেক বড় মাত্রা যুক্ত করেছে এবং জনগনকে আশ্বস্ত করেছে।”

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘‘ আমরা আগামী দিনে আন্দোলনকে কিভাবে আরো গতিশীল করার যায় তা নিয়ে বিএনপির সাথে কথা বলেছি এবং একটি স্থির সিদ্ধান্ত দিকে অগ্রসর হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের কথা আমি বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, সারাদেশে এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী, এই অগণতান্ত্রিক সরক্রা বিরোধী সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করাই আজকে আমাদের মূল লক্ষ্য। এ টু জেড সমস্ত সরকার বিরোধী শক্তি আজ মনে মনে, অন্তরে অন্তরে সংকল্পবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ। 

আপনারা জানেন, আগামী ৪ তারিখে জোটের পক্ষ থেকে যে যুগপত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সেদিন আমরা ঘোষণা করতে চাই আরো বৃহত্তর কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি সার্থক করা, বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

সরকার পতনে যুগপত আন্দোলনে যুক্ত থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের পর রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।


লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের তফাজ্জ্বল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু ছিলেন।

 ‘পথযাত্রা প্রসঙ্গে’

পথযাত্রা কর্মসূচিকে বিএনপির মরণ যাত্রা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ উনি(ওবায়দুল কাদের) বুঝা যায় কিশোর কুমারের একটা গান আছে না ওখানে কিন্তু এটা এসছে মরণ যাত্রা যেদিন যাবে ৃ ওইটা উনার মনে পড়ছে আরকি। উনি নিজের চিন্তা করছেন কিনা আমি জানি না।  আমরা পথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে এইটুকু বলতে পারি, আমাদের পথযাত্রার মধ্য দিয়ে একটা নতুন মাত্রা সৃষ্টি হলো এবং জনগনের মধ্যে একটা আকাংখা গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য রাজপথে নেমে আসার একটা নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।”

‘রাজশাহীর সমাবেশ: রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যবহার’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ এগুলো নিয়ে খুব বেশি কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। কারণ বাই দিস টাইম, গোটা জনগনের কাছে আওয়ামী লীগের সরকার ও তাদের যে চরিত্র, তাদের যে কর্মকান্ড এটা খুব স্পষ্টভাবে এসে গেছে। তারা এদেশে সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে সেটাই এই প্রমাণগুলো আসে। আওয়ামী লীগ সবসময় একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পলিটিক্যাল পার্টি। তারা মুখে বলে একটা কাজ করে আরেকটা।”

তিনি বলেন, ‘‘ আপনি দেখবেন, সরকার আমাদের প্রোগ্রামের সময় তিন আগে থেকে পরিবহন ধর্মঘট করিয়ে দেয়, তারা তিন আগে থেকে পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তার মধ্যে বসিয়ে মোবাইল টেলিফোন পর্যন্ত চেক করতে থাকে। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের ১৫ দিন আগে এখানে একটা বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সেই অভিযানটা কী? তাদের ভাষায় বিভিন্ন মাদক দ্রব্য, বেআইনি জিনিসগুলো প্রতিরোধ করার জন্য হোটেলে-রেস্টুরেন্টে-মেসে-ছাত্রবাসে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার ছেলেপেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।

 এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল যে, তারা বিরোধী দলকে যেকোনো মূল্যে হোক বাধা প্রদান করবে, তাদেরকে তারা কোনোভাবে কর্মসূচি করতে দেবে না। অন্যদিকে ভিন্নমত সহ্য করবে না। আর তারা(সরকারি দল) তাদেরটাকে বলতেই থাকবে, করতেই থাকবে এবং সেই ক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করবে।”



শেয়ার করুন