২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:১৫:৩৭ অপরাহ্ন


শত শত মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ
আর্তমানবতার সেবায় মুনা সোশ্যাল সার্ভিস
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৩-২০২৩
আর্তমানবতার সেবায় মুনা সোশ্যাল সার্ভিস খাদ্য বিতরণ


মহামারি করোনার সময় মানুষ যখন চরম সংকটে তখন থেকেই মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। আত্মমানবতার সেবায় নেমে পড়ে। যখন কেউ ভয়ে রাস্তায় নামতে বা ঘরের বাইরে আসতে সাহস করতো না, তখন মুনার কর্মকর্তারা মানবসেবার ব্রত নিয়ে অসহায় মানুষের দিকে সাহার্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তারা তাদের কর্ম দিয়ে প্রমাণ করেছে মানুষ মানুষের জন্য। মানব সেবা অন্যতম একটি বড় সেবা। যদিও অন্য সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরাও এই সেবা করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই সেই কাজটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু মুনা তাদের কর্মকা- বন্ধ করেনি। তারই ধারাবাহিকতায় মুনা নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্পটে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিতায় গত ৫ মার্চ বিকালে জ্যাকসন হাইটসের মুনা সেন্টারে অসহায় এবং দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পূর্বে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুনার সোশ্যাল সার্ভিসের কো-অডিনেটর ডা. জাহাঙ্গীর কবীর, মুনার জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের সভাপতি নাসির উদ্দিন, মুনার জোন এডুকেশনাল মোমিন মজুমদার, মুনার এলেমহার্র্স্ট চাপ্টারের প্রেসিডেন্ট কায়কোবাদ কবীর। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলেমহার্স্ট চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন, সিদ্দিক হোসাইন, হামিমুর রহমান, আবু সাদেক, ইদ্রিস চৌধুরী, আরাফাত রহমান, আব্দুল হাকিম এবং জ্যাকসন হাইটস এবং এলেমহাস্ট চ্যাপ্টারের মেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েট মেম্বাররা। পুরো অনুষ্ঠানটি এবং খাদ্য বিতরণ পরিচালনা করেন মুনার জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক মওলানা ফখরুল ইসলাম মাসুম। খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিকেল ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খাদ্য বিতরণ করার কথা থাকলেও মানুষের উপস্থিতির কারণে তা রাত ১০টা পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করার জন্য সবাই লাইনে দাঁড়ান। মুনার কর্মকর্তারা ব্যাগে করে তাদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। লাইনে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি স্প্যানিশ, চীনসহ অন্যান্য কমিউনিটির লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মুনার জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক মওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুম বলেন, খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিলÑচাল, ডাল, পেয়াজ, তেল, আস্ত মুরগি, আলু, আটা, বিটসহ অন্যান্য সামগ্রী। তিনি আরো জানান, জ্যাকসন হাইটসে মুনা সেন্টারে প্রতি মাসে দুই বার খাদ্যসামগ্রী এবং পবিত্র রমজানে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫ মার্চ প্রায় ৪০ হাজার ডলারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই খাদ্যসামগ্রী কোথায় থেকে আনা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন নন প্রফিট সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদের দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, মুনা সোশ্যাল সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কের প্রায় ২০টি স্পটে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। আমাদের এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা চাই মানুষের সেবা করতে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

শেয়ার করুন