২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৭:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে নুর আহমেদ বকুল
আ.লীগ সরকার আমাদের ব্যবহার করেছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৩-২০২৩
আ.লীগ সরকার আমাদের ব্যবহার করেছে নুর আহমেদ বকুল


’৯০-এর ছাত্র গণ-আন্দোলনের নেতা, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর অন্যতম সদস্য নুর আহমেদ বকুল বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক শরিক কিন্তু দেশ শাসনের শরিক নই। আওয়ামী লীগ মনে করে এটা তাদের সরকার। ’৭২এর সংবিধান প্রতিষ্ঠাসহ জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা ১৪ দল করেছিলাম। ফলে সমমর্যদার ভিত্তিতে আমরা ১৪ দলের সরকার চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি। আমাদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকায় বিশেষ সাক্ষাৎকারে নুর আহমেদ বকুল একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার তৎকালীন জগতি ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামে জন্ম। পিতা প্রথিতযশা চিকিৎসক ছিলেন। মা গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ’৭০-এর দশক ছিল বাংলাদেশের জন্মের রাজনৈতিক প্রস্তুতির ঘনীভূত কাল। ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি ঐ কালেই পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি বই বাতিলের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। কিশোর বয়সে যৌবন সৃষ্টি করেছিল মুক্তিযুদ্ধ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর বড়ভাইদের সংগে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন অস্ত্রাগার লুণ্ঠন। এপ্রিল মাসে কুষ্টিয়া প্রতিরোধ সংগ্রামে জেলা স্কুলকে ঘিরে রাখা। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঐ সময় কাল পার করা। স্বাধীনতার পর স্কুলজীবনে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ’৭৩-এ এসএসসি শেষ করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জেলায় সহ সম্পাদক হয়ে ’৭৫-এ এইচএসসি পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবন শুরু। এপ্রসঙ্গে নুর আহমেদ বকুল বলেন, তিনি জিয়া এরশাদ বিরোধী দুইটি সামরিকতন্ত্রী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। জিয়ার আমলে রাজাকারবিরোধী সূচনা লড়াইয়ে রাজাকার ভিসি আব্দুল বারীকে আপসারণে বাধ্য করা হয় তার নেতত্বের আন্দোলনে। ঐ আন্দোলনে একটানা ৭২ ঘণ্টা অনশন পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির নেতৃত্ব প্রদান। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকালীন সময়ে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। ’৮২ মার্চে সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতা নিলে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে মিথ্যা মামলা দিয়ে সামরিক আদালতে ১৪ জন ছাত্রনেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। নুর আহমদ বকুল সেই কারাদ-ভোগীদের একজন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স ও এলএল বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রত্ব নেন। এ সময় চলমান এরশাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। পাশাপাশি বামপন্থী বিভক্ত ছাত্র সংগঠন গুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালান। ’৮৮ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সংগে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঐক্য হলে নতুন নামকরণে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। নব প্রতিষঠিত ছাত্র সংগঠনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হন। ’৯০ সনে এরশাদবিরোধী ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার নুর আহমদ বকুল বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি হয়ে ১৯৯৩ সালে ছাত্ররাজনীতি শেষ করেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। নুর আহমেদ বকুল জানান একারনে বিএনপি সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ চাপিয়েছিল তার ঘাড়ে।

ছাত্রআন্দোলন শেষে যুব সংগঠন বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। নুর আহমেদ বকুল জানান খালেদা জিয়ার দুঃশাসন ও জামায়াত তোষণ, জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে যুব সংগ্রাম পরিষদ গঠনে অন্যতম রূপকার তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর অন্যতম নীতিনির্ধারক সদস্য। মেধাবী-সৎ-সজ্জন বামপন্থী রাজনীতিবিদ ব্যক্তিজীবনে দুই সন্তনের জনক। স্ত্রী কলেজ শিক্ষক সদ্য অবসর নিয়েছেন। প্রচার বিমুখ বিনয়ী নেতা নুর আহমদ বকুলের সাক্ষাৎকরটি তুলে ধরা হলো। 

দেশ : দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?

নুর আহমেদ বকুল : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রিজার্ভ সংকট, আয়-ব্যয়ের বিস্তর ফারাক, বিদ্যুত জ্বালানির অপরিণামদর্শী মূল্যবৃদ্ধি, গরিবি বেড়ে যাওয়া, ধনী গরিবের ব্যাপক বৈষম্য, ব্যাংক-বীমা খাতে সীমাহীন লুটপাট দেশকে ভেতর থেকে ঘুণে পোকার মতো খেয়ে ফেলছে। প্রথমসারির অর্থনীতিবিদগণ বারবার সর্তকবাণী শোনাচ্ছেন। এ পরিস্থিতি দীর্ঘ স্থায়ী হবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট ক্রমবর্ধমান। এরকম পরিস্থিতিতে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে আরো বেশি দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক দল হিসেবে সুশাসনের চেষ্টা করা উচিত। এক কথায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সুখকর নয়।

দেশ : ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম শরিক আপনারা। এ-ই অবস্থার দায়ভার কি আপনাদের ওপরও বর্তায় না? 

নুর আহমেদ বকুল : আমরা রাজনৈতিক শরিক কিন্তু দেশ শাসনের শরিক নই। আওয়ামী লীগ মনে করে এটা তাদের সরকার। ’৭২-এর সংবিধান প্রতিষ্ঠাসহ জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা ১৪ দল করেছিলাম। ফলে সমমর্যদার ভিত্তিতে আমরা ১৪ দলের সরকার চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি। আমাদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র।

দেশ : আপনি এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একজন অগ্রভাগের সৈনিক বলা চলে। যে লক্ষ্যে সেদিন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তা কি পূরণ হয়েছে?

নুর আহমেদ বকুল : এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিন জোটের রূপরেখা শাসকগোষ্ঠীর বড় দলগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে জনগণের সংগে। ওদের কারণে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। জাতীয় নির্বাচন এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক জান্তাবিরোধী লড়াই ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। লড়াইয়ে আমরা জিতলেও এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ইস্যুটি সমাধান করা হয়েছিল সেটিও কার্যকর করতে পারেনি এ দেশের শাসন ক্ষমতার কর্তৃত্ববাদী দলগুলো। বাংলাদেশের বয়স ৫০ পেরোলেও গণতান্ত্রিক অনুশীলন, মূল্যবোধ এগোতে পারেনি। বরং অধনমিত হয়েছে।

দেশ : এমন পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? 

নুর আহমেদ বকুল : পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাষ্ট্রযন্ত্র। সমতা ন্যয্যতার বণ্টনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্রের স্বরূপ ধরা যায় না।

দেশ : বিএনপিও তো তিন জোটের রূপরেখা মানেনি। বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ তা মানছে না। এমন অবস্থায় দেশের ভবিষ্যৎ কি?

নুর আহমেদ বকুল : আমাদের মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্র দর্শন ’৭২-এর সংবিধানকে প্রাধান্য দিয়ে এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আবশ্যিকভাবে ঐকমত্যে ফিরতে হবে। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা ব্যতিরেকে এগোনো সম্ভব নয়। তিন জোটের রূপরেখা বিএনপি ঐতিহাসিকভাবে মানতে পারে না। কারণ দক্ষিণ পন্থার দলীয় রাজনৈতিক দর্শন জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের লিগ্যাসি বহন করতে হয় বলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। কিন্তু লুটেরা পুঁজিবাদী অর্থনীতির স্বার্থরক্ষাকারীদের দল হিসেবে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র দর্শন অনুশীলন করছে না। এর ফলে তারাও তিন জোটের রূপরেখা চর্চা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ জনগণই খুঁজে নেবেন। দেশের উন্নয়ন, পুঁজির বিকাশ আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থায় জায়গা নেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো নতুন রাজনীতির ইঙ্গিত দেয়। তবে আবারও বলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক ধারা ব্যতিরেকে অন্যদিকে গেলে বাংলাদেশের পথ হারাবে। সমতা ন্যায্যতার মানবিক মর্যদার বাংলাদেশে হচ্ছে একমাত্র পথ।

দেশ : এ সরকার উন্নয়ন করছে বলে জনগণ এদেরই পছন্দ করে। বিরোধীদলের ডাকে তাই সাড়াও দিচ্ছে না। কি বলেন আপনি? 

নুর আহমেদ বকুল : ১৫ বছর শাসন ক্ষমতা ও রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা এ সরকারের প্রতি সমর্থন যেমন আছে তেমনি তীব্র সমালোচনাও আছে জনগণের। জনগণ সব থেকে অপন্দ করছেন সরকার ও রাষ্ট্রের ভেতর বাইরের উলঙ্গ দুর্নীতি। জনগণ বিকল্প চাইছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি নয়। জিয়াউর রহমানের ক্যু, খালেদা জিয়ার ব্যর্থ শাসন, হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ কানেকশন, জামায়াত লালন পালন-এগুলো জনগণ দেখেছেন। দেশের এই বাস্ততায় মুক্তিযুদ্ধের প্রগতিবাদী পক্ষই একমাত্র বিকল্প।

দেশ : দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সরকারকে আপনার পরামর্শ কি?

নুর আহমেদ বকুল : বাংলাদেশে রাজনৈতিক বাস্তবতায় ডানপন্থী শক্তি এখনো বিপজ্জনক। যার পেছনে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। ভূরাজনৈতিক অবস্থানে আমাদের দেশের ও সরকারের ওপর রয়েছে ঐ অপশক্তির চাপ। এই বিপদ অনুধাবন করে আওয়ামী লীগকে আরো বেশি মিত্র শক্তি খুঁজতে হবে। অহমিকাতাড়িত হলে ভুল করবে। দলীয় মানুষিকতায় দলবাজি অনুশীলন জনগণ পছন্দ করে না। সেটিই তারা করছে। এখান থেকে বেরোতে হবে। সর্বস্তরে দুর্নীতিকে না বলতে হবে।

দেশ : আপনাদের দল কি বাম আদর্শের সঠিক পথে আছে? নাকি সুবিধাবাদী ধারায় গা ভাসিয়ে চলছে? কেননা বলা হচ্ছে যে আপনারা সরকারি সুবিধা ভোগ করে জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। সেই ওয়ার্কার্স পার্টি আর নেই? কি বলেন আপনি?

নুর আহমেদ বকুল : আমাদের মতো দেশে মন্ত্রী-এমপি হলে এলাকার মানুষ কর্মীদের চাওয়া-পাওয়ার চাপ বাড়ে। কিছু সুবিধাবাদী প্রবণতাও তৈরি হয়। বুর্জোয়া শক্তির সঙ্গে ক্ষমতা বটোয়ারায় ভারসাম্য না থাকলে প্রতি মুহূর্তে আপস করে চলতে হয়। এ বিপদগুলোর কথা ওয়ার্কার্স পার্টি জানে, বিধায় পার্টির অভ্যন্তরীণ মতাদর্শগত সংগ্রাম অব্যাহত রেখে বিপদগুলো প্রতিমুহূর্তে মোকাবিলা করছে। জনগণের লড়াইয়ের পার্টি হিসেবে সঠিক পথেই আছে। তবে যেহেতু দলের মতাদর্শের সংগ্রাম চলছে সেহেতু আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্তও নিয়েছি যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়েই লড়বে। হাতুড়ি শ্রমজীবী মানুষের প্রতীক, মেহনতি মানুষের প্রতীক ও সাধারণ মানুষের প্রতীক। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা এ নিজস্ব প্রতীক নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।

শেয়ার করুন