৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ১১:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে বিএনপির সহায়তা
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে বিএনপির সহায়তা


২০১৪ জামাতের প্ররোচনায় নির্বাচন বর্জন করে আদৌ কিছু অর্জন করেনি। এবার ৯ বছর পর আবারও নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির জন্য আত্মঘাতী হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। সরকারি দল সুযোগ পেয়েছে নানা কৌশলে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন নির্বাচন করার। এখন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারকে অবশ্যই দ্রুত স্বীকৃতি দেবে ভারত, চীন, রাশিয়াসহ কিছু দেশ এবং কালক্রমে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিছু বিদেশি শক্তির প্ররোচণায় আন্দোলন এবং নির্বাচন বর্জন করে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়ে গেল বিএনপির। 

সঙ্গে যে কয়েকটি প্রান্তিক দল বড় কথা বলছে ওদের আদৌ কোনো জনসমর্থন নেই। নির্বাচনে এসে সরকারকে চাপে ফেলা এবং শক্তিশালী বিরোধীদল গঠনের বিরাট সুযোগ হারালো বিএনপি। একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন বর্জন সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। দলের তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে ছিল। সঠিক নেতৃত্বহীন বিএনপি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে সুযোগ হারলো। দেখা যাচ্ছে বিরোধীদলের কার্যক্রম ক্রমেই জন সমর্থন হারাচ্ছে। আগামী দিনে বিএনপিতে বড় ধরনের ভাঙনের দেখা দিতে পারে। কোনো বিদেশি শক্তি বা তৃতীয় পক্ষ বাংলাদেশে কোনো দলকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় বসানোর মতো বাস্তবতা নেই। বরং শাসক দল নতুন টার্মে ক্ষমতায় এসে নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে সব দেশের সঙ্গে সুস্পম্পর্ক সম্প্রসারণ করবে। নিষ্ফল হবে বিএনপির কিছু নেতার আন্তরিক প্রচেষ্টা। 

আমি কিন্তু সরকারি দলের একগুঁয়েমিকেও সমর্থন করছি না। বিরাজমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে, দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি দলের উচিত ছিল কিছু ছাড় দিয়ে হলেও বিরোধীদলকে নির্বাচনে আনা। সংসদে সত্যিকার অর্থে একটি শক্তিশালী বিরোধীদলের উপস্থিতি সরকার প্রধানের দেশ শাসনে সহায়তা করতো। নিজের দলের মন্ত্রী সাংসদরা সতর্ক থাকতো। দুর্নীতি দমন সহায়ক হতো। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সরকারকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলে। দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা যায় না। যেসব সরকার চাপ প্রয়োগ করছে, তাদের কাছে সরকার-ঘনিষ্ঠ মানুষদের সম্পদ পাচার এবং বিদেশে সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত তথ্য আছে বলে নানা সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচনের পর কিছু মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। 

যা হোক প্রসঙ্গে ফেরত আসি সরকারি দল কৌশলে নির্বাচন নিজেদের মূল প্রার্থী এবং বিকল্প প্রার্থীদের মধ্যে সীমিত করে ফেলেছে। আর সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে সহায়তা করেছে বিএনপির নির্বাচন বর্জন।

শেয়ার করুন