২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:২২:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


দেশকে রুহিন প্রিন্স
নির্বচনে অংশ নিলেই সরকার বৈধতা পেয়ে যেতো
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৪
নির্বচনে অংশ নিলেই সরকার বৈধতা পেয়ে যেতো রুহিন হোসেন প্রিন্স


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, আমরা অংশ নিলেই তো সরকার এধরনের নির্বাচন করে একটা আইনগত বৈধতা পেয়ে যেতো। আমরাতো এটা করতে পারি না। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে সাম্প্রতিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেন। এবারের তার সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ: ‘ভোট ডাকাতির ৫ বছর; কালো দিবস’ শীর্ষক এক সমাবেশ করেছে বাম জোট। এতে বাম নেতারা বলছেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দলীয়করণের কথা সরকার দলীয় নেতারাও বলতে বাধ্য হচ্ছেন। জনগণকে ধোঁকা দিতে গিয়ে এখন নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়েছে। সারা দেশে নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি ও খুনের ঘটনা ঘটছে। আর এমন নির্বাচন বন্ধ করে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন। বিতরণ করেছেন বিভিন্ন ধরনের নিফলেট। আপনি কি মনে করেন এতে সরকার খুব বেকায়দায় পড়ছে? আর অন্যদিকে জনগণও আপনাদের কথা শুনছে?

রুহিন হোসেন প্রিন্স: প্রথমত বলি আমরা যে গণযোগাযোগ কর্মসূচি নিয়েছি সেব্যাপারে বলি। আমরা বিভিন্ন স্তরের জনগণের কাছে গেছি। জানতে চেয়েছি ভোটের অবস্থা কি? তারা বলেছে ভোটে মন নেই। তারা বলেছে প্রার্থীরা কোথাও যদি নিয় যেতে চায় ভোট দেখানোর জন্য তখন হয়তো যাবে। তবে তারা বলেছে জোর করে হুমকি ধামকি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে নিলে হয়তো কেউ কেউ যাবে। তবে অধিকাংশ মানুষ এবারে এই ধরনের নির্বাচনে ভোট দিতেই যাবে না। আর এসব শুনে আমরাও তাদের বলেছি জনগণ স্বআরোপিত ধরে থাকা কর্মসূচি জনগণ গ্রহণ করবে। এই যে বাংলাদেশের মানুষ স্বআরোপিত ভোট বর্জন করছে তার মাধ্যমে সারা দেশের বিশ্বব্যাপী জেনে যাবে। সারা দুনিয়া জানবে যে বাংলাদেশের মানুষ এবার স্বআরোপিত হয়ে ভোট বর্জন করছে। 

দেশ: এ ধরনের কর্মসূচি নেয়া বা জনগণ ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কি আপনারা প্রভাব রেখেছেন? আপনারা কি মনে করে জনগণ আপনাদের আহবানেই সাড়া দিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না?

রুহিন হোসেন প্রিন্স: হ্যাঁ আমাদের প্রচারণায়তো জনগণ সায় দিচ্ছে, আশে পাশে। 

দেশ: কিন্তু মাঠে তো প্রচার-প্রচারণা চলছেই নির্বাচনের পক্ষে। জনগণকে তো সরকার ভোটে উদ্ধুদ্ধ করে যাচ্ছেই।

রুহিন হোসেন প্রিন্স: হ্যাঁ আমিতো আগেই বললাম। আমি চারটি উপজেলায় প্রচারণা চালিয়েছি। সেখানের এলাকার লোকজন বলেছে বুঝেনই তো-এলাকায় থাকি..। কিন্তু আমাদেরতো ভোট যাওয়ার মতো কোনো ইচ্ছাই নেই। জোর করে হয়তো নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে।

দেশ: আপনি কি মনে করে সরকার জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে পারবে? জনগণ যদি তাদের নিতে না পারে..। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স: কেনো? রাজধানীরই তো একজন প্রার্থী বলে যাচ্ছেন তারা এবার ভোট চায় না। চায় যেনো ভোটরারা ভোট কেন্দ্রেই উপস্থিতি হন। তার মানে কেন্দ্রে জনগণ যাক আর না যাক সে-তো জিতবেই? তার মানে লোক দেখানোর জন্যই সে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনতে চায়। তবে শাসকরা এভাবে ভোট কেন্দ্রের নিয়ে না আসতে পারলে ভোটারদের ওপর জোর জুলুম করে ভোট কেন্দ্রে তাদের উপস্থিত করতে পারে। 

দেশ: আচ্ছা আপনারা যদি নির্বাচন অংশ নিতেন তাহলে কি সরকার এধরনের কর্মকান্ড করতে পারতো? আপনাদের অনুপস্থিতিতে কি এভাবে ভোট গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হরো না?

রুহিন হোসেন প্রিন্স: না মোটেই না..এটা মোটেই ঠিক না। আমরা অংশ নিলেই তো সরকার এধরনের নির্বাচন করে একটা আইনগত বৈধতা পেয়ে যেতো। আমরাতো এটা করতে পারি না।

শেয়ার করুন