২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:০১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের ফান্ড রেইজিং
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৬-২০২৩
বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের ফান্ড রেইজিং ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে আগত হাসপাতালের অন্যতম উদ্যোক্তাদের সাথে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ


বাংলাদেশের বিয়ানীবাজারে অবস্থিত বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের জন্য গত ১৮ জুন ওজনপার্কের দেশী সেন্টারে ফান্ড রেইজিং ডিনারের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ও স্পন্সর  ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল হক ও শামসুল আবদীন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  লন্ডনে বসবাসরত  বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাদের অন্যতম সিইও শাহাব উদ্দীন, সিনিয়র ফান্ড রেইজিং ডিরেক্টর আব্দুস শফিক, ট্রাস্টি মারুফ আহমদ, ডেপুটি ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মজনুস সামাদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সুহেল সামাদ খান, ট্রাস্টি আল মামুনের রশীদ হিলারী, মার্কেটিং ডিরেক্টর ফাহাদ হোসেন টিপু, ট্রাস্টি এন্ড মেডিকেল ডিরেক্টর ডঃ কবির  মাহমুদ। ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক্তার সাদুজ্জামান  চৌধুরীর। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন  হাজী শামসুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন ডাক্তার জিয়াউদ্দীন  আহমদ, ডাক্তার মহিউদ্দিন, শেকিল চৌধুরী, ডাক্তার আব্দুল বাসিত, বদরুল হক, আহসানিয়া মিশনের কন্স্যাল টেস্ট আব্দুর রশীদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বর্তমান সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান সভাপতি আব্দুল মান্নান, বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান উপদেষ্টা বুরহান উদ্দীন কপিল,  দেশী সিনিয়র সেন্টারের পরিচালক মিছবাহ আবদীন, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী প্রমুখ। ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে ভিডিও’র মাধ্যমেই হাসপাতালের বর্তমান কার্যক্রম,  ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। ফান্ড  রেইজিং ডিনারে ৮ জন ট্রাস্টির মেম্বার হয়েছেন। প্রতিজনে ৩০ হাজার ডলার প্রদান করবেন। অবশ্য এককালীন প্রদান না করেও প্রতি বছর ৫ হাজার ডলার প্রদান করার সুযোগ রয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য যারা হয়েছেন  তারা হলেন- ডাক্তার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মুক্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল হক, সামছুল আবদীন, শামসুল ইসলাম, আব্দুল হোসেন, এ কে এম আশরাফ উদ্দীন, মোহাম্মদ  এস রহমান, একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। ৫০ জনের অধিক  আজীবন সদস্যদের প্রতিজনের ১২৫০ ডলার সদস্য নিবন্ধন ফি। ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের  কো অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন রিজু মোহাম্মদ।

উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতালে সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা করা হয়। ২০০৯ সালে ব্রিটেনে বসবাসরত আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের উদ্যোগে মানবতার কল্যাণে ব্রত হয়ে কোন প্রকার সরকারি অনুদান ছাড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বিয়ানীবাজারবাসীর আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতায় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল  চালু করা হয়। হাসপাতালে গরীব রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা ওষুধ দেয়া  হয়। ক্যান্সার রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার পর চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ হাসপাতাল আগামীতে  সমস্ত বাংলাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক চিকিৎসার কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সুহেল সামাদ খান।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত মরহুম আব্দুর রউফ, আব্দুল গনি, আব্দুল হামিদকে স্মরণ করা হয়। সভায় বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার প্রসার ও সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

শেয়ার করুন