ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠকের খবর রেজা কিবরিয়ার ‘মনগড়া’ বক্তব্য করে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন নূরুল হক নূর গুলশানের বাসায় দুপুরে রেজা কিবরিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর বিকালে পুরানা পল্টনে জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার কোনো সদস্যের সাথে আমার কোনো বৈঠক হয়নি, কোনো অর্থ পাইনি। এসব উনার (রেজা কিবরিয়া) মনগড়া কথা।”
‘১০ জুলাই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল’
নুরুল হক নূর বলেন, ‘‘ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আহ্বায়কের কার্যক্রমে আমাদের অনাস্থা ছিলো।সেটা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অপসারণ করেছি। ১০ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলে গণঅধিকার পরিষদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।”
সংবাদ সম্মেলনটি কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার জন্য ডাকা হলেও পুরোটা সময় সাংবাদিকরা সংগঠনের নেতৃত্বে পাল্টাপাল্টি অবস্থানের বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব জানতে চান।
তিনি বলেন, ‘‘ গতকাল একটি সিদ্ধান্ত গণঅধিকার পরিষদ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে যে, গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে এবং গণঅধিকার পরিষদের কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু অস্বস্তি এবং অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছিল।সেটি নিয়ে দফায় দফায় মিটিং শেষে গতকাল(শনিবার) কেন্দ্রীয় কার্যানির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে, গঠনতন্ত্রের ৩৮ ধারা এবং গঠনতন্ত্রের আরো ধারার ক্ষমতা বলে আমরা ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। আমরা বলেছি, এই ধারার আলোকে আজকে এই কার্যকরী সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সেই সিদ্ধান্ত ছিলো, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিববিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ জন সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাব আগেই তাকে পাঠানো হয়েছিলো।যেখানে দরকার ছিলো ৪১ জনের মতামত। আর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি অভিযুক্ত হলেও সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার সুযোগ ছিলো। তিনি যদি গতকাল আসতেন তাহলে পরিস্থিতিটা ভিন্ন হতে পারতো। কিন্তু তিনি আসেন নাই।বরং মিডিয়ায় আলোচনায় থাকার জন্য এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটা ছবি দিলেন এবং লাইভ করে বলেছেন যে, তিনি কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।সেজন্য আহ্বায়ক অনুপস্থিত থাকায় এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত করে মিটিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।”
তিনি বলেন, ‘‘ গতকাল কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ জন্য সদস্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে এবং দুই জন সদস্য ভোটদানে বিরত থেকেছেন।”
নূর বলেন, ‘‘ দলের সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সম্মেলন পর্যন্ত আর কোনো কথা বলব না। এসব নিয়ে জবাব দিতে গেলে ইমেজ নষ্ট হয়। আজকেই সাংবাদিকদের সাথে আমাদের শেষ কথা।”
এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘‘ উনি ( রেজা কিবরিয়া) যে অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাসদের হাসানুল হক ইনুর সাথে আমাদের সদস্য সচিবের বৈঠক হয়েছে। এইরকম কোনো মিটিং হয়নি।”
২০২১ সালে বাংলাদেশ রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক ও নূরুল হক নূরকে সদস্য সচিব করে গণঅধিকার পরিষদ আত্মপ্রকাশ হয়।