২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অতিরিক্ত ভোটার নিয়ে প্রতিবাদ
বিয়ানীবাজার সমিতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৮-২০২৩
বিয়ানীবাজার সমিতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে প্রতিবাদ সভায় মঞ্চে নেতৃবৃন্দ


ভোটার নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার চারদিন পর অতিরিক্ত ১৯৬টি ভোট তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদে গত ১৩ আগস্ট ওজনপার্কের মমোস রেস্টুরেন্টে সচেতন বিয়ানীবাজারবাসীর ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৩০ আগস্ট রাত ৮টার পর ভোটার নিবন্ধন শেষে সমিতির বর্তমান সেক্রেটারি ভোটার নিবন্ধন ও অর্থ সংগ্রহের ঘোষণা দেন। তাতে সবার সামনে প্রকাশ্যেই উল্লেখ করেন ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৪৮৩ ও তহবিলে ১৫ হাজার ৭৯৫ ডলার। ঘোষণার চারদিন পর সংশোধনী বিজ্ঞাপন দিয়ে অতিরিক্ত ১৯৬টি সদস্য নিবন্ধনের কথা প্রচার করেন, যা গঠনতন্ত্রবিরোধী বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন। উপদেষ্টাদের দেওয়া প্রতিবাদলিপির উত্তরকে ফরমায়েশি বলে বক্তব্যে উঠে আসে। সচেতন বিয়ানীবাজারবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য বর্তমান কমিটি আমাদের বাধ্য করেছে। তাদের এ অগঠনতান্ত্রিক কাজের প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব, যতদিন অতিরিক্ত ভোট বাদ দেওয়া না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। বিয়ানীবাজার সমিতির প্রতিটি খবর হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ফলাও করে প্রচার করা  হতো। কিন্তু এ  বিষয়ে কেন গোপন করে পত্রিকার আশ্রয়  নেওয়া  হলো। পত্রিকার বিজ্ঞাপন কি এর  সমাধান? প্রতিবাদ সমাবেশ বলা  হয় ভুল হতে পারে- সেজন্য  উপদেষ্টা,  বর্তমান কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ সভাপতি মিছবাহ আহমদ, সেক্রেটারি রেজাউল আলম অপুসহ উভয় পক্ষের আরো চার-পাঁচজন মুরব্বি নিয়ে ঘরোয়া বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা যেতো। তা না  করে বর্তমান কমিটি অতিরিক্ত ১৯৬ সদস্য নিবন্ধন করে কারসাজির পন্থা অবলম্বন করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সমিতির ৩৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সুনামকে কলুষিত করা হলো? তারা মনে করেছিল, সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই কারসাজি বিয়ানীবাজারবাসী মেনে নেবে না। বক্তারা আরো বলেন, বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল মান্নানসহ তার পরিষদ মনে  করেছিল, অতিরিক্ত সদস্য নিবন্ধনের ফাঁদে পা দিয়ে আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হবো। এই ফাঁকে বর্তমান কমিটির দিবাস্বপ্ন ছিল আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার। তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার নয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বর্তমান সভাপতির অগঠনতান্ত্রিক, অনিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রমে সমিতি নিরাপদ নয় বলে বক্তব্যে উঠে আসে। আগামী  নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে একজন অসাংগঠনিক, অদক্ষ্য সভাপতির কাছ থেকে সমিতিকে রক্ষা করতে হবে। সেজন্য নির্বাচনী কার্যক্রম জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা  হয়। বক্তারা উপদেষ্টাদের কাছে অতিরিক্ত ১৯৬ সদস্য নিবন্ধন ভোটার তালিকায় যুক্ত না করার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মিছবাহ-অপু প্যানেল যে অনুরোধলিপি দিয়েছিলেন, সে অনুরোধলিপির উত্তরপত্রকে একটি  শিশুও এরকম উত্তর দেবে না বলে উল্লেখ করেন। উপদেষ্টাদের উত্তরকে ফরমায়েশি উত্তর বলা হয়। বক্তারা বলেন, গঠনতন্ত্রের ধারা মোতাবেক ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সংগৃহীত অর্থ সমিতির অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া, অথচ  চারদিন পর্যন্ত অতিরিক্ত সদস্য নিবন্ধন করে সংগৃহীত অর্থ হাতে  রাখা  হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট-  সেক্রেটারি সব সময় স্বচ্ছতার কথা বলেন। কোথায় তাদের স্বচ্ছতা? রাতের অন্ধকারে অতিরিক্ত সদস্য নিবন্ধন কি স্বচ্ছতার সংজ্ঞা? সমাবেশে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অগঠনতান্ত্রিকভাবে অতিরিক্ত ১৯৬ সদস্য নিবন্ধন করে বিয়ানীবাজার সমিতিকে ইতিহাসে বিতর্কিত স্থানে ঠাঁই করে দিয়েছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিয়ানীবাজার সমিতির অস্তিত্ব থাকবে না।

প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতি প্রার্থী মিছবাহ আহমদের প্রস্তাবে মুরব্বিদের দায়িত্ব দিয়ে সুন্দর একটি সমাধানের পথ বের করার আহ্বানে সবাই একমত পোষণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সভাপতি মকবুল রহিম চুনইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ তিনজন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বদরুল হোসেন খানের সঙ্গে সমিতির বর্তমান সংকট নিরসনে এগিয়ে আসার অনুরোধ করবেন।

বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সারওয়ার হোসেনের পরিচালনারয় প্রতিবাদ সমাবেশে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান, মকবুল রহিম চুনই, মাসুদুল হক ছানু, আজিজুর রহমান পাখি, কামরুজ্জামান, শামস উদ্দীন।

মাওলানা রফিক উদ্দীনের পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও দোয়ার মাধ্যমেই  সচেতন বিয়ানীবাজারবাসীর ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আসন্ন বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী মিছবাহ আহমদ, সেক্রেটারি প্রার্থী রেজাউল আলম অপু, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল হোসেন, জামাল হোসেন, ফজলে রাব্বী শেবুল, গহর চৌধুরী কিনু, শহিদুল ইসলাম দুঃখু। 

সব শেষে সভার সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন