২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৯:৪১:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দিল্লিতে শেখ হাসিনা মোদী বৈঠকে দৃষ্টি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
দিল্লিতে শেখ হাসিনা মোদী বৈঠকে দৃষ্টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তো বটেই বাংলাদেশের সকলের দৃষ্টি দিল্লিতে আসন্ন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে। সম্ভবত আগামী ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে ওই বৈঠক। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠক। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপর কেমন প্রভাব পড়তে পারে সেটাই দেখার বিষয়। এটা সত্যিই যে ওই বৈঠকের ম্যাসেজের  উপর নির্ভর করছে দেশের অনেক কিছু। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই নয় গোটা বাংলাদেশের মানুষই ওই বৈঠকের আমেজ উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন। সরকার পরিবর্তন, ভোট- এ সবেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটা প্রভাব নতুন কিছু নয়। ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে ২০১৪ ও ২০১৮ সনের নির্বাচনেও ভারতের ইঙ্গিত ছিল বলে অনেকেই মনে করেন। 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার বলেও ফেলেছিলেন- সেটা ছিল ২০১৮ সনের ৩০ মে। ওইদিন এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যেটা দিয়েছি তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।’ এর আগে ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা ‘বাংলাদেশ ভারতের কাছে প্রতিদান চায়’ শীর্ষক প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আপনি কোন প্রতিদান চেয়েছেন কিনা? চাইলে কোনও আশ্বাস পেয়েছেন কিনা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনও প্রতিদান চাই না। প্রতিদানের কী আছে? আর কারও কাছে পাওয়ার অভ্যাস আমার কম। দেওয়ার অভ্যাস বেশি।’

বর্তমান সময়ে ভারতের কাছে কিছুটা আনুকূল্য প্রত্যাশা এটা বেশি কিছু নয়। তাছাড়া যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোটের অব্যাহত চাপ একটি অবাদ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের। যেখানে সব দলেরই থাকবে অংশগ্রহণ। যা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের। এমন কথাবার্তার মধ্যে ওই উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো কি বলতে চায়- সেটা আর খুলে বলার প্রয়োজন নেই। 

সম্প্রতি ক্ষমতাসীন বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলও সফর করে আসে দিল্লিতে। সব মিলিয়ে দিল্লির সঙ্গে এ মুহূর্তে আরো ঘনিষ্ঠতা চায় সরকার এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের সুর কিছুটা উল্টা। ভারতের পত্র পত্রিকার খবর মতেই ভারত বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কিছুটা নীরব ভূমিকায়- এমনটাই আভাস দিয়েছে খবর মাধ্যমগুলো। যার সূত্র ধরেই দেখা গেছে ব্রিকসে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রধানের বৈঠক করা সম্ভবপর হলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুধুই হায় হ্যালো তাও খাবারের প্রগ্রামে। 

এবার জি-২০ সম্মেলনে মোদীর সঙ্গে বৈঠক আয়োজন হয়েছে। দিনক্ষণ একেবারেই চূড়ান্ত এটা বলা যাচ্ছে না এ কারণে, জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ যোগ দেবেন বিশ্বের প্রভাবশালী দেশসমূহের প্রধানরাও। ফলে ভারত প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা ক্ষাণিকটা বেশি। ঢাকার একটি সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে যে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদীর বৈঠকটা হবে। তবে সেটাও খুব অল্প সময়ের জন্য। আর ওই বৈঠক হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ওইদিন দুপুরে গিয়ে পৌঁছুবেন দিল্লিতে। একইদিন দিল্লি পৌঁছানোর কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও। 

যতদূর জানা গেছে তাতে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটাই হবে শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। সে কারণে এ বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দুই দেশেই রয়েছে। কিন্তু বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি কিংবা প্রকল্পকেন্দ্রিক বিশেষ বোঝাপড়া কী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার জানিয়েছেন, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন। 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজনীতি সরগরম। সংসদ নির্বাচনে ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকাও আলোচনার স্তরে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতি রক্ষায় ভারতের আগ্রহ, জঙ্গিদের মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাব্য প্রবণতা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়গুলো আলোচিতও হচ্ছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে যাওয়ার সম্ভাবনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া রেলমন্ত্রী। ১০ তারিখ সকালের সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।

শেয়ার করুন