২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


সাহিত্য একাডেমির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
পলি শাহীনা
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
সাহিত্য একাডেমির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সাহিত্য একাডেমির মাসিক সভায় উপস্থিতি


গত ২৫ আগস্ট জ্যাকসন হাইটসের গোল্ডেন এজ পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য একাডেমি, নিউইয়র্ক’র নিয়মিত মাসিক সাহিত্য আসর। পুরো আসরটি পরিচালনায় ছিলেন একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার, এবং ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এবারের আসর দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে আলোচনা ও স্বরচিত পাঠের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বটি উৎসর্গ করা হয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি, এবং সাহিত্য একাডেমির একমাত্র উপদেষ্টা কবি শহীদ কাদরীকে। 

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে মুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালি বলেন, ১৯৬৬ সালের ৬ জানুয়ারি হাফেজ মোহাম্মদ মুসার সঙ্গে প্রথম শেখ মুজিবের সামনে দাঁড়াই, তিনি তখনও বঙ্গবন্ধু হোন নি, তিনি তখন ছিলেন আমাদের শেখ মুজিব ভাই। তাঁর কন্ঠস্বর ছিল বাঘের মতো। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে যখন কাঁপছিলাম তিনি বললেন, তুমি এত ভয় পাচ্ছো কেন, ঘাবড়াবে না, তোমরাই তো আমার ভবিষ্যৎ। তাঁর কথা শুনে অবাক হই, কারণ, রাজনীতিবিদরা বলেন তোমরা জাতির ভবিষ্যৎ, কিন্তু সেদিন মুজিব ভাই বললেন, তাঁর ভবিষ্যৎ। আমি সিরাজুল ইসলাম থেকে সিরু বাঙালি হয়েছি যেভাবে, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা প্রচার হওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তখন হরতাল ডাকা হয় ৭ জুন। হরতালের সময় বলা হলো চারজনের বেশি রাস্তায় বের হতে পারবে না। আমরা ২০/২৫ জন মিলে পল্টনের উদ্দেশ্যে মিছিল বের করলে পুলিশ আক্রমণ চালায়। আমি একটা মাজারে আশ্রয় নিই। সেখানে আমাকে মারধর করে রমনা থানায় নিয়ে যায়। থানায় কুচবিহারের একজন এএস আই নাম জিজ্ঞেস করলে ভেতরে একটা অহংবোধ আসে, নাম বললাম না। তার তীব্র আঘাতে পুনরায় রক্তাক্ত হই। কনস্টেবল নূর মোহাম্মদ মাথায় পানি দিতে দিতে বুঝালো যেন যা জানতে চায় তা বলি। তারপর নাম জানতে চাইলে মুখ দিয়ে বের হলো, আমার নাম সিরু বাঙালি। পূর্ব পাকিস্তানে তখন নিজেকে বাঙাল পরিচয় দেয়া এবং বাংলা ভাষায় কথা বলাই যেত না। তো, সেখান থেকে হাসপাতাল হয়ে জেলে আসার ২/৩ দিন পর নানা ভাইয়ের ডাক পেয়ে সারা মুখে ব্যান্ডেজ নিয়ে যখন গেলাম, নানাভাই চিনতে পারলেন না, কিন্তু ৬ জানুয়ারি যাঁর সঙ্গে দেড় মিনিট কথা বলেছিলাম আমাদের শেখ মুজিবুর রহমান ঠিকই আমার স্বর শুনে চিনতে পেরেছেন। এই হলো আমাদের জাতির পিতা, বাংলাদেশের স্রষ্টা। 

কবি কাজী আতীক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলার মতো সেই পরিমাণ প্রজ্ঞা হয়ত আমার নেই, তবে একটি কথা বলতেই পারি, বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় সব থেকে কমবয়সী যাঁরা তাঁর আদর্শকে লালন করেছেন, কাজ করেছেন, আমি তাঁদের একজন। ৬৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু, পরে ৭৫ এবং ৭৮ সাল পর্যন্ত সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবেই কাজ করেছি। ’রাজনীতি করতে হলে নীতি থাকতে হয়, সত্যটা বলার সাহস থাকতে হয়’ বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা হতে উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, এখনকার সময় এগুলোর খুব অভাব আছে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকে না। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের বুঝতে হবে এবং তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে আগামীতে পথ চলতে হবে। স্বরচিত ’আগস্টের শিরোনাম’ কবিতাটি পাঠ করেন তিনি। 

কবি ফকির ইলিয়াস বলেন, আমি বারবার কবিতার কাছে যেতে চাই, কিন্তু অনেকগুলো দেয়াল এসে আমার সামনে দাঁড়ায়, আমি যে কবিতা লিখি সেটি তখন ভুলে যাই। আমাকে সে দেয়ালগুলো ভাঙতে হয়। আমরা যারা কবিতা লিখি, জাতির পিতাকে নিয়ে কবিতা লিখেই দায়িত্ব শেষ নয়। কবি শামসুর রাহমান বলেছেন, ’আমার সত্ত্বাই যদি না থাকে, আমি যদি মিছিলেই যেতে না পারি, কবিতা লিখে কী হবে?’ বিনীত অনুরোধ করছি, যখন দেখবেন জাতির পিতা আক্রান্ত হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা আক্রান্ত হচ্ছে, আমাদের স্বাধীনতা, ভূ-মানচিত্র আক্রান্ত হচ্ছে, তখন কবিতা নয়, অস্ত্র হাতে পাশে দাঁড়াবেন, চক্রান্তকারীকে রুখে দিবেন। অস্ত্র এবং কবিতা দু’টো সত্ত্বা আমার মাঝে কাজ করে। 

লেখক হুমায়ুন কবীর ঢালী বলেন, জাতির পিতার হত্যাকান্ড ছিল একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দুঃখ লাগে কেউ কেউ বাংলাদেশে বাস করে এই হত্যাকান্ডের পক্ষে কথা বলে, জাতির জনক বলতে লজ্জা লাগে। এটি বাঙালি জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। এদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পর্বে স্বরচিত পাঠ করেন, স্বপন বিশ্বাস, বেনজির শিকদার, পলি শাহীনা। 

দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়ে লেখক হাসান ফেরদৌস বলেন, কবি শহীদ কাদরী একজন মানুষ নয়, দু'জন মানুষ। কবিও তিনি একজন নয়, দু’জন। দেশে থাকা কালীন শহীদ কাদরী এবং এই শহরের শহীদ কাদরীর তফাৎটা যোজন যোজন। আমাদের ভাগ্য যে এই শহরে তাঁকে অনেক কাছে পেয়েছি। দেশে থাকলে তাঁর দেখা সহজে পেতাম না। শহীদ কাদরী ভিন্ন আকাশের তারা ছিলেন। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ’শহীদ কাদরী তাঁর সময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন।’ ১৮/২০ বছরের শহীদ কাদরী, অথচ তাঁর পান্ডিত্য, ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা করে না এমন লোক বেশি নেই। আমরাতো অনেক ঢেকে কথা বলি, শহীদ কাদরী স্পষ্টবাদী ছিলেন, সত্যটা সরাসরি বলতেন। বাংলাদেশের এই শহীদ কাদরীকে যখন প্রবাসে পেলাম তখন তিনি আমার কাছে অচেনা মানুষ, কিছুটা অসহায়, কিছুটা একাকী, কিছুটা খেই হারা। কবি শহীদ কাদরীও একইরকম। তাঁর প্রথম তিনটি বই এবং বাকি যে একটি বই বেরিয়েছে, এরমধ্যেও ব্যবধান অনেক। শহীদ কাদরী দীর্ঘদিন প্রবাসে লেখেন নি, কারণ তিনি নিজেকে ভয় পেতেন। তিনি জানতেন, কাব্য জীবনের প্রথম ১০/১৫ বছর যে অর্জন করেছেন প্রবাসে তা কোনদিন অর্জন করতে পারবেন না। শহীদ কাদরী দেশকে প্রেমিকার মতো ভালোবাসতেন। কবির জন্য দরকার সঙ্গ, কবি সবকিছু শেয়ার করতে চায়। কবি শহীদ কাদরী নিউইয়র্কে এসে প্রাণ পেয়েছেন। তিনি সঙ্গ প্রিয় মানুষ, সঙ্গ চাইতেন। আমরা তাঁকে সঙ্গ দিয়েছি, চাপ দিয়েছি নতুন কবিতার জন্য।’ আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ কবিতায় আসলে তিনি দূর থেকে দেশকে চুম্বন পাঠিয়েছেন। তাঁর বুকের ভেতর অহর্নিশি বাজতো দেশ। 

কবি তমিজ উদদীন লোদী বলেন, কবি শহীদ কাদরীর ভরাট সে কণ্ঠস্বর এখনো কানে বাজে। এখনো মনে হয় এই বুঝি শহীদ ভাইয়ের ফোন পাবো। তাঁকে কাছে পাওয়ার আগে তাঁর কবিতা পড়ে মনে হতো, তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরের মানুষ, এক অনবদ্য কণ্ঠস্বর। পঞ্চাশ, ষাটের দশকের কবি যাঁরা ঢাকায় বাস করতেন তাঁদের প্রায় সকলের সঙ্গে কমবেশি যোগাযোগ ছিল, শুধু শহীদ কাদরীর সঙ্গে দেখা হয় নি। এখানে তাঁকে পেয়ে মনে হয়েছে, দেশের চেয়েও বেশি তাঁর কাছে পেয়েছি। শেলি, কীটস খুব বেশি লেখেন নি, বেশিদিন বাঁচেনওনি, কিন্তু তাঁরা বিখ্যাত। সময়, কাব্যগ্রন্থ, এসব বিবেচ্য বিষয় নয়। কী লিখলেন, কী দিয়ে গেলেন, সেটাই বিবেচ্য। বোদলেয়ারের কথা যদি বলি, তাঁর দু'টো মাত্র বই। তো, বই দিয়ে, সংখ্যা দিয়ে বড় কবিকে মাপার সুযোগ নেই। জীবদ্দশায় শহীদ কাদরীর চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে, এবং চারটি বই-ই শহীদ কাদরীকে শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট। 

শহীদ কাদরী পত্নী নীরা কাদরী বলেন, কবি শহীদ কাদরীর একটা সম্মোহনী শক্তি ছিল, যে শক্তিতে আবিষ্ট ছিলাম, এখনো আছি। তার কবিতা পড়লে তার কথাগুলো চোখের সামনে ভাসে। শহীদ তার সমসাময়িক সকলের প্রতি যেমনি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করত, তেমনি এই আসরে উপস্থিত সকলের সঙ্গে কথা বলার সময়ও তার শ্রদ্ধাবোধ দেখেছি। শহীদ কাদরী সবসময় আমাকে বলত, খুব বেশি লেখার দরকার নেই, তবে খুব ভালো লেখার দরকার আছে, মাথায় কবিতা আসে, যদি দেখি পুনরাবৃত্তি করছি, সে কবিতা আমি মাথায় রাখি না। নতুন কিছু সৃষ্টির চিন্তা থেকে তার অনেক কম লেখা হয়েছে। তার একটি কবিতা থেকে অন্যটি আলাদা। তার পুরনো লেখা পড়ে অবাক হই, এত আগের লেখা, পড়লে মনে হয় গতকাল লিখেছে। তার ভাষা, চিন্তা এত আধুনিক ছিল। সাহিত্য একাডেমি নিয়ে শহীদ কাদরী বলতো, যারা প্রবাসে লেখালেখি করছে সাহিত্য একাডেমি নিয়মিত তাদের চর্চার জায়গা করে দিচ্ছে। লেখকরা এখান থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, লেখার তাড়া বোধ করছে, এটা কিন্তু এই শহরে অন্য কোথাও নেই। লিখতে লিখতে কখনো ঠিক কোন একটা লেখা দাঁড়িয়ে যাবে, এবং থেকে যাবে। 

লেখক আদনান সৈয়দ বলেন, কবি শহীদ কাদরী আমাদের খুব কাছের মানুষ। এখানে যাঁরা আছেন প্রায় সকলের সঙ্গে তাঁর স্মৃতি রয়ে গেছে। তাঁর কবিতা, বোহেমিয়ান জীবন নিয়ে এখনো অনেক গবেষণার দাবি রাখে। শিল্প, সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ একটা দর্শন ছিল। তিনি কখনো আদর্শের সঙ্গে আপোষ করতেন না। তাঁর ’বৃষ্টি বৃষ্টি’ কবিতার আলোচনা  তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান এই কঠিন সময়ে তাঁর কবিতা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য।

লেখক এবিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, শোকের এই মাসে অনেক গুণীজনের সঙ্গে আমার মাকেও হারিয়েছি। কষ্টের নির্যাস থেকে শক্তি সংগ্রহ করে এই মাস আমার কাছে জেগে উঠারও মাস। কবি শহীদ কাদরী ছিলেন দৃঢ়চেতা মানুষ, যা তাঁর কবিতায় ফুটে উঠেছে। 

লেখক রাণু ফেরদৌস বলেন, ছোটবেলায় কবিতার চেয়ে গদ্য সাহিত্য বেশি পড়তাম। শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে কবিতা পড়ার প্রতি আমার আগ্রহ জন্মেছে। 

আসরে আরো কথা বলেছেন, আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, শাহ জে চৌধুরী, জাকির হোসেন মিয়া প্রমুখ। 

দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি করেন, পারভীন সুলতানা, আনোয়ারুল হক লাভলু, জেবুন্নেসা জ্যোৎস্না। স্বরচিত পাঠ করেন, সুরীত বড়ুয়া, ফারহানা ইলিয়াস তুলি, রিমি রুম্মান, ফারহানা হোসেন, মিয়া আসকির প্রমুখ। 

আসরে উপস্থিত ছিলেন, আবেদীন কাদের, আহমাদ মাযহার, রাহাত কাজী শিউলি, শামস আল মমীন, এনামুল করিম দিপু,  সুমন শামসুদ্দিন, আকবর হায়দার কিরণ, আক্তার আহমেদ রাশা, নাসির শিকদার, খালেদ সরফুদ্দীন, মারীষ্টেলা শ্যামলী আহমেদ, মিশুক সেলিম, আলম সিদ্দিকী, রূপা খানম,  স্বপ্ন কুমার, সীমু আফরোজা, ফরহাদ হোসেন, রেদোয়ান জুয়েল, মিজান, তৌফিক আল মান্নান, জয়া করিম, আমান উদদৈলা, মো: আজিজুল হক, মো: শাহ আলম, আম্বিয়া অন্তরা, মার্জিয়া আহমেদ প্রমুখ।

সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আগামী আসরের আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন মোশাররফ হোসেন।

শেয়ার করুন